মৃত্যুদন্ড রায়ের দিন ট্রাইবুনালে আল্লামা সাঈদী (রঃ) এর সাথে অধ্যাপক আনোয়ার গং কি আচরণ করেছিল

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ১০ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:০২:০১ সকাল

আজকে ভারতীয় দালাল পত্রিকা নিউজ করেছে ৫ আগষ্ট নাকি জাবির সাবেক ভিসিকে জনগণ গণধোলাই দিয়েছে।

ছবি: গণ ধোলাইয়ের শিকার আনোয়ার হোসেন

২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩, বৃহস্পতিবার। তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের রায় ঘোষনার দিন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আল্লামা সাঈদীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইবুনালে আনা হয়। সকাল এগারটার দিকে ট্রাইবুনাল-১ এর কোর্ট বসে এবং দুপুরে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে বিচারপতিতা এটিএম ফজলে কবির আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে হত্যা, ধর্ষন, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক হিন্দুদের ধর্মান্তরিকরণ এরকম ৮টি অভিযোগে দন্ড প্রদান করে। তন্মথ্যে ইব্রাহিম কুট্রি ও আল্লামা সাঈদীর গুম হওয়া স্বাক্ষী সুখরঞ্জন বালির ভাই বিশা বালির হত্যার দায়ে আল্লামাকে মৃত্যুদন্ডের রায় প্রদান করে।

রায় ঘোষনার পর আল্লামা সাঈদী ট্রাইবুনালের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে বিচারকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলা শুরু করলে, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তংকালীন ভিসি প্রফেসর আনোয়ার হোসেন আল্লামা সাঈদীর দিকে উন্মুত্তের মত তেড়ে আসেন। তিনি আল্লামা সাঈদীকে বলতে থাকেন, "চুপ কুত্তার বাচ্চা চুপ, একদম কথা বলবি না"। আনোয়ার হোসেনের দিকে যোগদেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ঢাবি শিক্ষক মুনতাসির মামুন, প্রসিকিউটর শাহিদুর রহমানসহ ঘাদানিক নেতারা। তারা বয়োবৃদ্ধ আলেমেে দ্বীন, কোরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে মারতে উদ্যুত হন। নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও মুনতাসির মামুন "তুই রাজাকারের বাচ্চা, চুপ কোন কথা বলবি না"। "রাজাকারের আবার কিসের কথা" বলে চিল্লাতে থাকেন। প্রসিকিউপর শহিদুর, "ধর, ধর..." শ্লোগান তুলে সবাইকে নিয়ে সাঈদী সাহেবকে মারতে উদ্যুত হন। তবে পুলিশ সতর্ক থাকায় তারা আল্লামা সাঈদী সাহেবকে মারতে পারেনি।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়েও আনোয়ার হোসেন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত একজন অসহায় আলেমে দ্বীনের প্রতি টোকাই-সন্ত্রাসীদের মত আচরণ সারাদেশের মানুষকে ব্যাথিত করে।

এদিন হরতাল থাকায় আল্লামা সাঈদীর সিনিয়র কোন আইনজীবি আদালতে উপস্তিত ছিলেন না। দুইজন জুনিয়র আইনজীবি আল্লামা সাঈদকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। এরপর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পুলিশ আল্লামা সাঈদীকে আসামীদের কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে আল্লামা সাঈদী হাতে থাকা কোরআন শরীফ রেখে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়েন।

বিষয়: বিবিধ

২৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File