হাতি-ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল: আওয়ামী নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল বনাম জামায়াতে ইসলামীর ৭৭ বৎসরের ইতিহাস-১ম পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:৪৯:৩৫ রাত
ছবি: লিয়াকত আলী খান
পাকিস্থানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান, খাজা নাজিমউদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, পাকিস্থানের গর্ভনর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা, ফিল্ড মার্শাল রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান, বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ মুজিবর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা বাঘা বাঘা হাতি-ঘোড়া শাসকগণ যেখানে জামায়াতের পিছনে লেগে ফেল মেরেছে সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত ভেড়া নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে জামায়াত বাঁধ ভাঙ্গা জোয়াড় আটকানোর জন্য বালির বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করতেছে।
যে আল্লাহর আইনের জন্য ভেড়া কমিশন ২০১৮ সালের অক্টোবরে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করল সেই শাসনতন্ত্রের দাবীতে ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে পাকিস্থানের করাচীতে সমাবেশে 'ইসলামী শাসনতন্ত্র' এর দাবীর কারণে জামায়াতে ইসলামীকে দমানোর জন্য গভর্নর জেনারেল খাজা নাজিম উদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের সরকার ৪ অক্টোবর, ১৯৪৮ আমীরে জামায়াত মাওলানা মওদূদী (রঃ) কে গ্রেফতার করে এবং ১৯৫০ সালে তিনি মুক্ত হন।
পাকিস্থানে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন জোরদার করার জন্য এবং কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলনের জন্য গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ ও প্রধানমন্ত্রী নাজিম উদ্দীন এর সরকার ১৯৫৩ সালে আমীরে জামায়াত মাওলানা মওদূদী (রঃ) সহ শীর্ষ জামায়াত নেতাদের গ্রেফতার করে। বগুড়ার মোহাম্মদ আলীর সরকার মাওলানা মওদূদীকে মার্শাল ল এর মাধ্যমে ফাঁসির আদেশ দেন। উদ্দেশ্য ছিল, পাকিস্থানে 'ইসলামী শাসনতন্ত্র' দাবীর বলিষ্ঠ আওয়াজ বন্ধ করা। আমীরে জামায়াতকে সরকারের কাছে ক্ষমার চাওয়ার মাধ্যমে জীবন ভিক্ষা চাওয়ার আহবান জানালে তিনি প্রশান্ত চিত্তে ঘোষনা দেন, "মৃত্যুর ফায়সালা জমিনে নয়, আসমানে হয়"। এরপর প্রবল আন্দোলনের মুখে তাকে প্রথমে ১৪ বছরের কারাদন্ড পরে ২ বছর কারাভোগের পর ১৯৫৫ সনের ২৭ এপ্রিল আমীরে জামায়াত মাওলানা মওদূদী মুক্তি পান।
চলেবে
বিষয়: বিবিধ
১৬৩১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন