রোহিঙ্গা সমস্যা: হাসিনা-মোদি-সুচীর নির্মম সাপখেলা

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:২৯:১৫ দুপুর



হঠাৎ করেই রোহিঙ্গাদের জন্য দরদ উৎলে উঠেছে শেখ হাসিনার। কয়েকদিন আগেই বিজিবিকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল যেন কোন রোহিঙ্গা দেশে প্রবেশ করতে না পারে, হাসিনার নির্দেশে হাজার হাজার রোহিঙ্গা সাগরে ভেসেছে, অনেকের নির্মম সলিল সমাধি হয়েছে, হাসিনা আইন করেছিল কোন রেহিঙ্গা বিয়ে করা যাবে না। আর সেই হাসিনাই দৌড়ে গেল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। উদ্দেশ্য পরিস্কার, রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ডলারের ত্রাণ আসতেছে। উনি ত্রাণ গ্রহণে ওস্তাদ। ইসলামী ব্যাংকের ত্রাণ, ব্যাংক এসোসিয়েশনের ত্রাণ, রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ, সব ত্রাণ উনার দরকার। রোহিঙ্গাদের ত্রাণ লুট করতে উনি রোহিঙ্গাদের ত্রাণকর্তা সাজার ভান করছেন। উনার আরও একটা উদ্দেশ্য আছে। উনার অনেক দিনের সুপ্ত বাসনা 'নোবেল পুরস্কার'। ইউনুস সাহেব নোবেল পাইছে আর উনি নোবেল পাননি, সেজন্য উনি ইউনুস সাহেবকে সবধরণের লাঞ্চনাই দিয়েছেন। উনি চাচ্ছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের দৃষ্টি কারবেন আর নোবেল কমিটি এই ডাইনী-খুনীকে নোবেল পুরস্কার দিবেন।

ইন্ডিয়া এখন এক ঢিলে অনেক পাখি মাড়ে। বাংলাদেশের হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখা, মায়ানমারের সেনা প্রভাবিত সরকারের বাহবা পাওয়া, মায়ানমারে চীনের প্রভাব ঠেকানোর জন্য রোহিঙ্গা ইস্যু ভারতের খুবই প্রয়োজন। সেজন্যই তথাকথিত 'আরসা' নামক 'র' এর এজেন্টরা মায়ানমারের সেনাচৌকি, পুলিশ ফাড়িতে আক্রমন করে। ব্যস, বর্বর মগরা রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে আর মোদি বাবাজি মায়ানমার গিয়ে একদিকে মায়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে, রোহিঙ্গা তাড়িয়ে আরাকানে রোহিঙ্গাদের জায়গা দখল করে শিল্পকারখানা তৈরী করার জন্য কোটি কোটি ডলার লগ্নি করতেছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করতেছে, রোহিঙ্গাদের ভারত ত্যাগের হুমকি দিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্রোত বাংলাদেশের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে ফলে বাংলাদেশে ভারতের নীতি বাস্তাবায়ন হচ্ছে। যেমন বাংলাদেশের মানুষ আর অবৈধ হাসিনা সরকার, মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশনার বার নির্বাচন নিয়ে লাফালাফি না করে রোহিঙ্গা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে, রোহিঙ্গা দিয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করতেছে, হাসিনাকে ত্রাণ লুটের সুযোগ করে দিচ্ছে, হাসিনা দিদিকে 'নোবেল পুরস্কার' এর মুলা ঝুলাইছে।

ভারতের সাথে চীনের যে সমস্যা, সেই সমস্যায় মায়ানমার মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতেছে, কারণ রেন্ডিয়া রোহিঙ্গা হত্যায় সমর্থন দিচ্ছে। এছাড়া মায়ানমারে চীনের প্রভাব ঠেকাতেও রোহিঙ্গা ইস্যু ভারতের জন্য একটি হাতিয়ার। একটি বিষয় লক্ষনীয়, বাংলাদেশ, মায়ানমার এর মতো দেশগুলোতে ইন্ডিয়ার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সফরের আগে এসব দেশগুলোতে 'জঙ্গি, জঙ্গি' খেলা শুরু হয়। আর গো-বৎসরা 'গো' খেকো মুসলমানদের হত্যা করে একদিকে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে অপরদিকে অর্থনীতি পাকাপোক্ত করে।

গণতন্ত্রের নেত্রী যে সুচী ডাইনীতে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতার লোভে মায়ানমার সেনাবাহিনী ও জনগনকে না চটিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য রোহিঙ্গা হত্যার ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে সুচী। সাথে পেয়েছে হাসিনা দিদি, আর মোদি দাদা। সব মিলিয়ে সাপখেলা ভালই জমেছে। হাসিনা-মোদি-সুচী নামক সাপের নির্মম কামড়ে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে মানবতা।

বিষয়: বিবিধ

১১৭৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383976
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ দুপুর ০৩:১৬
নকীব কম্পিউটার লিখেছেন : চমৎকার লিখেছেন। আপনার কথায় যুক্তি আছে।
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাত ০৯:৩২
316811
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File