বিশ্বজিৎ এর খুনি পাতি নেতা চাপাতি শাকিলদের ফাঁসি হয়, হুকুমের আসামী সোহাগ-জাকির গং কিভাবে রক্ষা পায়?
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ১১ আগস্ট, ২০১৭, ১১:১৩:৫৮ সকাল
আওয়ামী গুন্ডা বাহিনীর আস্ফালন ভালই বেড়েছে। সিলেটে অন্তদ্বন্ধে লীগে লীগে কামড়া-কামড়ী করে ঘটনার দোষ ছাত্রশিবিরের উপর চাপিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সেক্রেটারী জাকির, আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতারা 'যেখানেই জামাত-শিবির, সেখানেই প্রতিরোধ', 'আইন হাতে তুলে নেব', 'ধোলাই করব' ইত্যাদি উস্কানীমুলক বক্তব্য দিতেছে। তাদের বক্তব্যে উৎসাহিত হয়ে কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা 'শিবির' সন্দেহে সাধারণ ছাত্র পিটিয়ে রক্তাক্ত করতেছে। যেহেতু জামাত-শিবির তথা ইসলামপন্থীদের কোন মানবাধিকার নেই, সেজন্য সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্য মোতাবেক রাবির সোহরাওয়ার্দী হলে শিবির নিধন অভিযান পরিচালনা করে ছাত্রলীগ।
ইতোপূর্বে ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কৃর্তক জামাত-শিবির নিধনের ঘোষনা দেয়। পদ-পদবীর লোভে সারা দেশেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা-আঘাত করতে থাকে একই সাথে পুলিশ ছাত্রশিবিরের ছেলেদের ধরে গুলি করে পঙ্গু করতে থাকে। কিন্তু ঘটনার অন্যদিকে মোড় নেয় শিবির মনে করে হিন্দু 'বিশ্বজিৎ দাসকে হত্যার মাধ্যমে। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মীর মো. নূরে আলম ওরফে লিমন, মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, মো. ইমদাদুল হক ও মো. ওবাইদুল কাদের, ইউনুস, তাহসিন, জনি, শিপলু ও কিবরিয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের হুকুমে 'শিবির' মেরে তাদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য শিবির স্টাইল খোচা খোচা দাড়িওয়ালা হিন্দু বিশ্বজিৎ দাসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে, রড দিয়ে পিটিয়ে নৃসংস ভাবে হত্যা করে। যেহেতু মুসলমান কর্তৃক হিন্দু মারা হয়েছে সেহেতু দাদারা নড়েচেড়ে বসে। ইন্ডিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত পত্রিকাগুলো 'হিন্দু' হত্যার জন্য হইচই শুরু করে দেয়। এবার ছাত্রলীগের কেন্দীয় নেতা, যারা শাকিল গংদের নিয়োগ দিয়েছিল তারা ভোল পাল্টে ফেলে। 'হিন্দু' হত্যার জন্য দল থেকে শাকিলদের বের করে দেয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়, সনদ বাতিল করা হয়। এবার তারা অসহায়ের মত পালিয়ে বেড়াতে থাকে। কিন্তু হইচই এতই বেড়ে যায় যে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। বিচারের মাধ্যমে তাদের ৮ জনের ফাঁসি দেয় নিম্নআদালত। এভাবেই কেন্দ্রীয় নেতা নির্দেশ মানতে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ার, পরিবার ধ্বংশ হয়ে যায়।
আর যেই নেতাদের নির্দেশে তারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে ছাত্রলীগের সেই নেতারা এখন আরও বড় নেতা হয়েছে। রাষ্ট্র, সরকার, আদালত তাদের কেশাগ্রই স্পর্শ করতে পারে নাই।
আসল কথায় আসি, সোহাগ-জাকির, আওয়ামী গংরা আবারও তাদের কর্মীদের জামাত-শিবির নিধনের ঘোষনা দিয়েছে। এই ঘোষনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা যদি আবার বিশ্বজিৎ দাসের মত কোন হিন্দুকে হত্যা করে তাহলে তার দোষ কি পাতি নেতাদের হবে নাকি সোহাগ-জাকির গং এর হবে?
বিষয়: বিবিধ
৮০২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন