বনানীর চাঞ্চল্যকর ধর্ষন মামলা: ওরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাকি পেশাদার বেশ্যা? ধর্ষকের সাথে বেশ্যাদেরও বিচার হওয়া উচিত।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ১৪ মে, ২০১৭, ০৭:০১:১০ সন্ধ্যা
"ভাই ভাল মাল আছে লাগাবেন?" সন্ধার পর বনানীর রাস্তায় চলাচল করলে বেশ্যার দালালরা এভাবেই সামনে এসে লুচ্চামির জন্য আহবান করে। এই 'ভাল মাল' গুলো হলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন হোটেলে দেহ ব্যবসা করে। গভীর রাত পর্যন্ত বা কোন কোন সময় সারারাত এরা বাড়ীর বাইরে থাকলেও পিতা-মাতা বা অভিভাবকরা কিছুই বলে না কারণ এই বেশ্যাদের আয়-উপার্জন দিয়ে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চবেতন, ঢাকায় ভাল বাসায় পরিবার নিয়ে থাকা-খাওয়ার খচরসহ অন্যান্য খরচ এবং সঞ্চয় হয়। সম্ভবত এমনই ঘটনা ঘটেছিল হোটেল বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে। লুচ্চা সাফাত হোটেলে বেশ্যা আর নর্তকী নিয়ে ফুর্তি করেছে এবং মনে হয় তাদের ঠিকমত পেমেন্ট করে নাই সেই জন্যই তারা 'ধর্ষনের' মামলা ঠুকে দিয়েছে অথবা এমনও হতে পারে সাফাতের সাবেক স্ত্রী মক্ষিরাণী ফারিয়া তার বেশ্যা সহকর্মীদের দিয়ে ধনীর দুলাল সাফাত ও তার বাবাকে মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে ব্লাকমেইল করছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বেশ্যাদের মামলা কেন 'ধর্ষন' মামলা হিসাবে গ্রহণ হবে? এই বেশ্যাদের 'টেস্ট' করলে শুধু সাফাত বা তার বন্ধু নয় বরং দেখা যাবে শত শত ছেলেদের পেনিস ওদের ভিতরে ঢুকেছে। ওদের জীবন-যাপনের হিসাব নিলে দেখা যাবে বেশ্যাবৃত্তি করে ওরা লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছে। সাফাত বা তাদের মত ধনীদের প্রতিদিনের যে ২ লক্ষ টাকা হাত খরচ তা এই 'শিক্ষার্থী' নামক বেশ্যাদের দেহ ভোগ করার জন্যই খরচ হয়। কয়েকদিন পূর্বে খবরে প্রকাশ, বিভিন্ন মডেল, নায়িকা সহ অনেকে মেয়েই জীবিকা উপার্জনের জন্য বেশ্যাবৃত্তি করে। এই বেশ্যাদের টাকা দিয়ে ভোগ করলে সেখানে ধর্ষনের কি আছে? বরং এই বেশ্যাদেরই বিচার হওয়া উচিত যারা শত শত পুরুষের যৌন শক্তি নষ্ট করেছে, দেশে ইয়াবা ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছে, শত শত পুরুষের সংসার ধ্বংশ করেছে, শত শত পুরুষকে কপর্দকহীন করেছে আবার এই বেশ্যারাই প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিজেদের 'বেশ্যা' পুরিচয় আড়াল একটি ভাল ছেলেকে বিয়ে করে তার জীবনটাই ধ্বংশ করে। এই বেশ্যারা দেশের শত্রু, মানুষের শত্রু , মানবতার শত্রু। এদের বিচারের আওতায় এনে দেশের যুব সমাজকে 'নারী' এবং 'মাদক' এর ছোবল থেকে রক্ষা করতে না পারলে দেশে বিপর্যয় তৈরী হবে। আর এই বেশ্যাদের মামলা করার সুযোগ দিলে এরা দেশের অর্থনীতিই ধ্বংশ করে দেবে।
সবচেয়ে দুঃখজনক, দেশের প্রধান সংবাদপত্রগুলো এই বেশ্যাদের 'শিক্ষার্থী' হিসাবে উপস্থাপন করছে। রাতে হোটেল যাওয়া বেশ্যারা শিক্ষার্থী বলা হলে পড়ার টেবিলে সারারাত বইয়ের সামনে পড়ুয়াদের অপমান করা হবে।
দেশের নারী বান্ধব কালো আইনের মাধ্যমে লুচ্চাদের 'ধর্ষক' হিসাবে বিচার হলেও বেশ্যাদের কোন বিচার হয় না। বেশ্যাদের মামলায় যেভাবে সাফাতদের গ্রেফতার করা হয়েছে সেভাবে সব বেশ্যারা যদি মামলা করে তাহলে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ থেকে একজন সাধারণ কর্মীও ধর্ষনের মামলা থেকে রেহাই পাবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৯৮৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন