বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরঃ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পাইওনিয়ার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গ্যারান্টার

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৯:৫১:৪১ রাত



বাংলাদেশের জন্য ইসলামী ছাত্রশিবির আল্লাহ প্রদত্ত 'অসীম নিয়ামত'। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশই তরুন, যা সারা বিশ্বে বিরল। এই তরুণরাই একটি দেশকে বিপদেও ফেলতে পারে আবার সমৃদ্ধও করতে পারে। অসৎ, মেধাহীন, উচ্ছৃংখল, নেশাখোর, কর্মবিমুখ, দায়িত্বহীন, অযোগ্য, অশিক্ষিত, অলস, অদূরদর্শী, আত্বমর্যাদাহীন তরুণরা যেমন একটি দেশের জন্য বোঝা অপরদিকে জ্ঞানী, সৃশৃংখল, সৎ, যোগ্য, দক্ষ, কর্মঠ, দায়িত্বশীল, শিক্ষিত, দূরদর্শী, আত্বসম্মানবোধসম্পন্ন, সাহসী তরুণ সমাজ একটি দেশকে শুধু সমৃদ্ধই নয় বরং বিশ্বের দরবারে শির উঁচু করে দাড় করিয়ে দেয়। আর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এই ধরণের তরুণই এদেশে উপহার দিচ্ছে। ইসলামী ছাত্রশিবির পরকালের চেতনা, খোদার কাছে জবাবদিহীতার মানষিকতা সমৃদ্ধ জনশক্তি তৈরী করার ফলে তাঁরা হচ্ছে 'সৎ'; পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও নিজস্ব সিলেবাস অধ্যয়ন এবং শিক্ষা শিবির, শিক্ষা বৈঠকের মাধ্যমে জ্ঞানী ও অধ্যবসয়ী জনশক্তি তৈরী করছে; ব্যক্তিগত রিপোর্ট, ডায়েরী লিখার মাধ্যমে সৃশৃংখল, নিয়মানুবর্তী জনশক্তি তৈরী করছে; নিম্নস্তর থেকে নেতৃত্ব তৈরীর মাধ্যমে যোগ্য, দক্ষ, কর্মঠ, দায়িত্বশীল, দূরদর্শী, সাহসী ও আত্বমর্যাদাবোধসম্পন্ন নাগরিক উপহার দিচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির। আর ইসলামী ছাত্রশিবিরের তৈরী করা এই কর্মীরা ছাত্রজীবনে যেভাবে অপচয়, আত্বকলহ, নেশাহীন জীবন যাপনের মাধ্যমে দেশের অর্থ, নৈতিক অবক্ষয়, সামাজিক সামাজিক অস্থিরতার মাধ্যমে দেশ ও সমাজকে সমৃদ্ধ করছে তেমনি এই জনশক্তি কর্মজীবনে গিয়ে শিল্পোদ্যোক্তা' হচ্ছে, সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও কর্মঠ কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা এবং চিকিৎসা, স্বাস্হ্য সেবার পথপ্রদর্শক। এভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পাইওনিয়ার বা অগ্রদূত হিসাবে কাজ করছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।।

একটি দেশ যখন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায় তখন সাম্রাজ্যবাদী ও বলদর্পী শক্তির লোলুপ দৃষ্টিতে পরে সেই দেশ। তারা চেষ্টা করে সেই দেশের ভৌগলিক স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাত করতে। দেশের ভিতর দালাল ও তাঁদের অনৈতিক সুবিধা দিতে পারে এই ধরণের বেঈমান সৃষ্টি করতে। সেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে। বাংলাদেশও এই ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকার। আর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের প্রধান অন্তরায়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির তৈরী করেছে দেশপ্রেমিক জনশক্তি যারা কোন অন্যায়ের কাছে মাথানত করে না, কারও দালালী করে না, দেশের স্বার্থ বিকিয়ে কারও সাথে কোন কর্ম-সম্পাদন করে না। অন্যায় ও বাতিলের প্রতি এক প্রচন্ড বিদ্রোহের নাম 'ছাত্রশিবির'। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছাত্রশিবিরের শত শত নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছে, চোখ হারিয়েছে, হাত-পা হারিয়েছে হাজার হাজার নেতা-কর্মী তবুও দেশবিরোধী শক্তির সাথে ছাত্রশিবির আপোস করেনি। ফলে দেশের মানুষ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের গ্যারান্টার বা নিশ্চয়তার প্রতীক 'বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির'।

বিষয়: বিবিধ

১১১২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380829
২১ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ১০:২০
কুয়েত থেকে লিখেছেন : যাদের শত শত নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছে চোখ হারিয়েছে, হাত-পা হারিয়েছে হাজার হাজার নেতা-কর্মী তবুও দেশবিরোধী শক্তির সাথে তারা মাথা নত করেনি নিশ্চই আল্লাহ তাদের দিয়েই এই দেশের ষ্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবেন ইন্সাআল্লাহ লেখাটি ভালো লাগলো ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
২১ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ১১:১২
315093
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
380832
২১ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ১১:০২
২১ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ১১:১২
315094
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : Love Struck
380836
২২ ডিসেম্বর ২০১৬ সকাল ১০:৪০
ইয়াফি লিখেছেন : যেসব কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্টানে ছাত্রশিবিরের আধিপত্য থাকে সেখানে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ থাকে, কোন অনৈতিক কান্ড হতে পারে না, চাঁদাবাজি হয়না। প্রতিবেশী দোকানদার সবাই খুবই নিরাপদ বোধ করে। যদি পুরো দেশের শিক্ষাপ্রতিস্টান ছাত্রশিবিরের নিয়ন্ত্রণে থাকলে..
২২ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ০৯:৩৭
315112
মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী লিখেছেন : ঠিকই বলেছেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File