গুলশান ট্রাজেডি: সামান্য ক্ষয়-ক্ষতির বিনিময়ে এক ঢিলে অনেক পাখি শিকার করে অপারেশন সাকসেস করল ইন্ডিয়া
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ০৫ জুলাই, ২০১৬, ০৯:৫৫:৪৫ সকাল
জঙ্গিরা ট্রেনিং নিয়েছিল বেলুচিস্থানে, বাংলাদেশে প্রবেশ করে চট্রগ্রাম দিয়ে, অস্ত্র আসে থাইল্যান্ড থেকে, জঙ্গিরা সেনা বিদ্রোহের আহবান জানাচ্ছে, বিভিন্ন সেনা অফিসারদের সাথে যোগাযোগ করছে, তারা অত্যাধুনিক আই-ফোন ব্যবহার করছে যা মোবাইল নেটওয়ার্ক বাইপাস করে আই-ফোন টু আই-ফোন কম্যুনিকেশন করতে পারে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মিঃ দোভাল রাত ১১:৪০ ঢাকায় নেমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের সাথে কাজ করছে, ২ প্লাটুন কমান্ডো কলকাতায় প্রস্তুত, ই্ন্ডিয়ান বায়ুসেনা রেড এলার্ট জারি করে প্রস্তুত, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিদ্রোহ করলে ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনী তা মোকাবেলায় প্রস্তুুত, মিডিয়া হলি আর্টিাসানের ৫০০ মিটারের মধ্যে নিষিদ্ধ এসব তথ্য গুলশানে হামলার পরপরই RAW এজেন্ট ইন্দ্রজিত দত্ত তাঁর ফেসবুক পেজে আপডেট দিচ্ছিলেন।
আসলে ইজরাঈলের সহযোগিতায় ইন্ডিয়া এই হামলা চালিয়েছে সেজন্যই, হলি আর্টিসান বেকারীর ভিতর থেকে 'আই-ফোন' ব্যবহারের খবর থেকে শুরু করে জঙ্গিদের নারী-নক্ষত্র সব তথ্যই তাদের কাছে ছিল। ভিতরে একজন ইন্ডিয়ান ডাক্তার এবং একজন ইন্ডিয়ান তরুণী ছিল, তাদেরই কেউ হয়ত RAW এর এজেন্ট ছিল এবং তারাই ভিতর থেকে টুকরো টুকরো করা ছবি ও অন্যান্য সব রিলে করছিল। 'দুজন ইতালিয়ান কুটনৈতিক নিহত' এটা তাদেরই পাঠানো সংবাদ।
কয়েকদিন আগে পাকিস্থান আর্মি বেলুচিস্থান থেকে ইন্ডিয়ান নেভি অফিসার গ্রেফতার করে যে বিদেশী জঙ্গিদের ট্রেনিং দিচ্ছিল Dawn news Click this link, অর্থাৎ বেলুচিস্থানে নিয়ে বিভ্রান্ত মুসলমানদের অস্ত্রের ট্রেনিং দিয়ে স্ব-স্ব দেশে পাঠায় ইন্ডিয়া আর বদনাম হয় পাকিস্থানের। এই ইন্দ্রজিত দত্ত থাইল্যান্ডে অবস্থান করে এবং সেখান থেকেই অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। গুলশানের মত সুরক্ষিত জায়গায় ইন্ডিয়া এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীর ইন্ডিয়ান সহযোগিদের সহযোগিতা ছাড়া এত অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে সেখানে যাওয়া অসম্ভব।
এক ঢিলে অনেক পাখি মারল ইন্ডিয়া:
কয়েকদিন আগে ইন্ডিয়া ঘোষনা দেয় তারা তৈরী পোশাক শিল্পে পিছনে ফেলতে চায়। এই 'পেছনে ফেলতে' ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতেই 'ইতালির' বায়ারদের টার্গেট করেছে এবং অন্যদের মেসেজ দিয়েছে। কয়েকটি জাপানী 'বায়ার' তাঁদের বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছে। এখন তারা ইন্ডিয়ার কাছ থেকে তৈরী পোশাক নিতে পারবে।
'মেট্রোরেল' প্রকল্পের ২২ হাজার কোটি টাকার কাজ ইন্ডিয়াকে দেওয়া হয়নি, সেজন্যই মেট্রোরেল প্রকল্পের 'জাপানী' নাগরিকদের হত্যা করে কার্যক্রম বন্ধের পদক্ষেপ নিল, মনে করেছে ওদের দালালদের কাছ থেকে মেট্রোরেলের 'ঠিকাদারি' পাবে।
বাংলাদেশে 'জঙ্গি' আছে এটা প্রমান করতে পারলে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে একতরফা সমর্থনও হালাল হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ 'জঙ্গি রাষ্ট্র' প্রমান করতে পারলে এদেশের বিদেশী বিনিয়োগ ইন্ডিয়ায় নিয়ে 'মেক ইন ইন্ডিয়া' সফল করা যাবে। বাংলাদেশে ঘাটি করার সবুর্ণ সুযোগ তৈরী হবে এছাড়াও শেখ হাসিনাকে মেসেজ দিয়েছে পরবর্তী সব 'ঠিকাদারী' ইন্ডিয়াকে না দিলে উনার আরও সমস্যা হবে। আরও কত কি...
ট্রান্সকম গ্রুপ ও লতিফুরের পরিবার টার্গেট ছিল কেন?
জঙ্গি নামক ভারতীয় 'র' এর এজেন্ট হত্যায় পারদর্শিতা দেখিয়েছিল এসপি বাবুল আকতার। তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করে ইন্ডিয়া এর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। এরপর তাঁকে চাকরিচ্যুত করে। ট্রান্সকমের প্রতিষ্ঠান 'প্রথম আলো' এ ব্যাপারে বাবুলের পক্ষে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছাপাচ্ছিল। এরই খেসারত দিতে হলো লতিফুরের নাতি ও ট্রান্সকমের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান 'হলি আর্টিজেন' রেস্তোরাকে।
মিডিয়া ও সেনাবাহিনীর জন্য ইন্ডিয়ার কিছু ক্ষতি হয়েছে:
ইন্ডিয়ার উদ্দেশ্য ছিল বিদেশীদের হত্যা করে 'জঙ্গি' ও 'র' এর এজেন্টদের নিরাপদে সরিয়ে দিবে। এলক্ষ্যে তারা মিডিয়াকে সরে যেতে বলে, লাইভ কাস্টিং বন্ধ করতে বলে কিন্তু সাংবাদিকদের গোয়ার্তমির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এজন্য অবশ্য ইন্ডিয়ার দালাল মিডিয়াকে হুমকিও দিয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর আক্রমনে তাদের এজেন্টরা নিহত হয়। কয়েকজন এজেন্ট নিহত হওয়া ছাড়া অন্য ক্ষয়-ক্ষতি না করেই অপারেশন সাকসেস করেছে ইন্ডিয়া।
'সেনাবাহিনী ধ্বংশ', 'দেশ প্রেমিক রাজনীতিবিদদের হত্যা', 'ট্রানজিট-করিডর আদায়' করে এখন বাংলাদেশের অস্তিত্বই শেষ করতে চাই ইন্ডিয়া।
বিষয়: বিবিধ
৪১৭৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর জাপানীরা যদি বোঝে যে ঠিকাদারী তাদের কাছ থেকে ভারত ছিনিয়ে নিতে চায় - তাহলে তো জাপান ভারতের সাথে শক্ত বোঝাপড়ায় যাবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন