জেএমবির চিরকুট, মানবাধিকার ও পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের স্ত্রী হত্যাকান্ড
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ১৫ জুন, ২০১৬, ১০:২০:২৭ রাত
‘'ভাই, জায়েদ ভাইকে তারা গলার সাথে গ্রেনেড বেঁধে দিয়ে ব্লাস্ট করে শহীদ করে দেয়। তার পিছনে বড় কারণ হল সে নিজেকে আইএস দাবি করেছিল।’"
‘'ভাই, আপনাদের প্রতি আমার আকুল আবেদন, আপনারা ওই জালেম দোসরদের হত্যা করতে থাকুন এবং তাদের অফিসে গিয়ে হলেও হামলা করুন। তারা যদি ছুটিতে যায় তখন হলেও তাদের হত্যা করুন এবং প্রতিশোধ নিন। '’
বুলবুলের চিরকুট
চট্রগ্রামের কারাগারে গ্রেফতারকৃত জেএমবির সেকেন্ড ইন্ কমান্ড বুলবুল এভাবেই তাঁর সহযোগীদের চিরকুট পাঠিয়ে পুলিশ সদস্যদের হত্যার আহবান জানায়। বুলবুলের চিরকুট মতে ২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর চট্রগ্রাম জেএমবির কমান্ডার টেক্সটাইল প্রকৌশলী জাবেদকে (জায়েদ) পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতার গলায় গ্রেনেড ঝুলিয়ে ব্রাস্ট করে হত্যা করে। ৫ অক্টোবর জাবেদ ও তার সহযোগীদের ধরতে গিয়ে জাবেদের গ্রেনেড বিস্ফোরণের হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় বাবুল আকতার ও তাঁর সঙ্গীয় ফোর্স। সম্ভবত সেই ক্ষোভেই জাবেদকে হত্যা করা হয়।
'মানবতা' ও 'বর্বরতা' এর পার্থক্য হলো, যে কেউ অপরাধ করতে পারে, তাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে এটাই 'মানবতা' আর বিনা বিচারে হত্যা করা 'বর্বরতা'। শেখ হাসিনাও তাঁর বাবার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় ফাঁসি দিয়েছে, জামায়াত-নেতাদেরও আইনের আওতায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সে্ই হিসাবে শেখ হাসিনাকে 'বর্বব' বলা যাবে না যদিও শেখ হাসিনার আইন 'বর্বর আইন'। সুতরাং আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। শুধুমাত্র অসভ্য, বর্বর ব্যক্তিরাই আইন হাতে তুলে নিতে পারে।
বর্তমানে 'ক্রসফায়ার', 'বন্দুকযুদ্ধ' নাটক সাজিয়ে যেভাবে র্যাব, পুলিশ যাকে তাকে হত্যা করছে তাতে আইন-শৃংখলা বাহিনী 'বর্বর' বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। উনারা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশে অরাজকতা দেখা দিয়েছে। বাবুলের অপরাধের খুন হয়েছে তাঁর স্ত্রী, 'মা' হারা হয়েছে তাঁর সন্তানেরা। বাবুল আকতার স্ত্রী হ্ত্যার ব্যাপারে বলেছে, 'ইট ওয়াজ বেটার টু শুট মি'। আমার মনে হয়, জাবেদকে হত্যা না করে, 'ইট ওয়াজ বেটার টু হ্যান্ডওভার হিম টু কোর্ট'। একটি কথা মনে রাখা দরকার, কোন খুনীরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয় না।
বিষয়: বিবিধ
১২৮৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন