মুসলিম নারীর নেতৃত্ব হারাম হিন্দু নারীর নেতৃত্ব কি জায়েজ? শুকুর নিধনের জন্য প্রয়োজনে কুকুরের সাথে ঐক্য করতে হবে।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ৩০ মে, ২০১৬, ০৭:০৯:২৫ সন্ধ্যা
বাংলাদেশের একদল ক্বওমী ভিত্তিক আলেম 'নারী নেতৃত্ব হারাম' চিৎকার করছেন। কিন্তু পশ্চীম বঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মন্ত্রী সভায় পশ্চীম বঙ্গ জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর সেক্রেটারী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে টাইটেল পাস করেন। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার করজগ্রামে তাঁর বাড়ি। তিনি নিজ গ্রামে জামেয়া ইসলামিয়া করজগ্রাম গড়ে তুলেছেন। এই মাদ্রাসায় ছাত্র সংখ্যা প্রায় ছয়শ’। ভারতজুড়ে ৯৭৩টি কওমি মাদ্রাসা নিয়ে দারুল উলুম দেওবন্দভিত্তিক একটি শিক্ষাবোর্ড রয়েছে। তিনি ১৯ বছর ধরে এই শিক্ষাবোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
তাহলে কেন তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মত হিন্দুর মন্ত্রী হলেন? আসলে পশ্চীম বঙ্গে নাস্তিক, কম্যুনিষ্টদের ঠেকাতে অপেক্ষাকৃত লিবারেল তৃণমুল কংগ্রেসের সাথে ঐক্যের বিকল্প ছিল না। অর্থাৎ শুকুর নাপাক, কুকুরও নাপাক তবে কুকুরের চেয়ে শুকুর বেশী নাপাক। তাই শুকুরকে পাকড়াও করার জন্য কুকুরের সাথে ঐক্য দোষনীয় কিছু না।
একটি বিষয় অত্যন্ত মজার তাহলো, মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মাওলানা মওদূদী (রঃ) এর কট্রর সমালোচক হলেও বাংলাদেশে জামায়াত নেতাদের যুদ্ধাপাধী আখ্যা দিয়ে বিচারিক হত্যার জন্য ব্যাপক বিক্ষোভ করেন। সিদ্দিকুল্লাহর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কলকাতার প্রগতিশীল আন্দোলনের কর্মী অরিন্দম মুন্সীর তার অতীত কার্যকলাপের উদাহরণ টেনে তার বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করার ইতিহাস তুলে ধরেন।
কলকাতা শহরকে স্তব্ধ করে দেওয়া সে মিছিল থেকে হাসিনাকে ফাঁসি দাও দাবিও জানানো হয়েছিল বলে লিখেন অরিন্দম।
অরিন্দম মুন্সী ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বাংলাদেশিদের উদ্দেশে লিখেছেন- বাংলাদেশী ভাইলোগ, তোমাদের জন্য সুখবরঃ জামাত-ই- উলেমা হিন্দের সর্বময় কর্তা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, যিনি লক্ষাধিক মুমিনের মিছিল থেকে রাজাকারের মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা এবং সাথে শাহবাগী নাস্তিকদের চরম শাস্তির দাবী তুলে কলকাতা শহরকে ক্ষুব্ধ করে দিয়েছিলেন, তিনি আজ পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তৃণমূল সরকারে। সেই দিনের মিছিল থেকে স্লোগান উঠেছিল “নাস্তিকদের ফাঁসী দাও, হাসিনাকে ফাঁসী দাও। যে মিছিলকারী দের আক্রমণে ১৩ টি পুলিশের গাড়ী আক্রান্ত হয়েছিল।”
তাই বাংলাদেশেও আলেম-ওলামাদের নাস্তিক, কম্যুনিষ্ট ছাড়া সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশ থেকে 'শুকুর' উৎখাত করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
২০৭৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উপমা দিয়ে তো আর শরীয়ত গঠিত হয় না।
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন