৩ লাখ টাকা নিয়েও হুজুরকে ৪টি মামলা দিয়েছে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার বিতর্কিত ওসি আলমগীর
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৯:০০:১৬ সকাল
চিত্র: শ্রেষ্ট অধ্যক্ষ মোকাদ্দাস হুজুর
"ঘুষের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ওসি-এসআই হাতাহাতি"
"নিজ থানার বাইরে ফোর্স নিয়ে জমি দখল করতে গিয়ে আহত ২ পুলিশ"
"অবশেষে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ওসি প্রত্যাহার"
২০১২-২০১৩ সালে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানার বিতর্কিত ওসি আলমগীর বিভিন্ন অপকর্ম করে সমালোচিত হয়েছিল। আবারও তাকে বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে অপকর্ম করতে। এবার তার অপকর্মের শিকার রাজশাহীর মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জনাব মোকাদ্দাসুল ইসলাম।
চিত্র: মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা
ওসি আলমগীরকে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও হুজুরের নামে গাড়ী পোড়ানো, অটো রিক্সা, ট্রাক ভাংচুর, পুলিশের উপর হামলা ইত্যাদি ৪টি মামলা দিয়েছে। এর পিছনেও রয়েছে কিছু চমকপ্রদ কাহিনী। ২০১৩ সালে জামাত-শিবির ধরার নাম করে ওসি আলমগীর ব্যাপক গ্রেফতার বাণিজ্যে নেমে পড়ে। সে মদিনাতুল উলম কামিল মাদ্রাসার ছাত্রাবাস থেকে ছা্ত্রদের ধরে নিয়ে আসে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোকাদ্দাস হুজুর থানায় গেলে ওসি আলমগীর টাকা দাবী করে। এদিকে তখন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিল ডিসি। হুজুর ডিসিকে ফোন করলে, ডিসি জানায় ছাত্রদের শিবিরের মিছিল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিসি একজন ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেন। ওসি, ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন 'এদের মিছিল থেকে ধরেছি' আর মোকাদ্দাস হুজুর বলেন, 'এদের ছাত্রাবাস থেকে ধরে নিয়ে এেসেছে, এই দ্যাখেন এরা সবাই লুঙ্গি পড়া, কারও গায়ে শার্ট, কারও গায়ে গেঞ্জি, সবাই স্পন্জ এর স্যান্ডেল পড়া'। তখন ওসি আলমগীর ধরা পড়ে যায়। ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, 'ওসি সাহেব আপনি সত্য বলছেন না'। ঐ ছাত্রদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন কেলেংকারী নিয়ে রাজশাহী ত্যাগ করে ঘুষখোর আলমগীর। আবারও অদৃশ্য খুটির জোড়ে গত জানুয়ারী-১৫ মাসে ওসি আলমগীর রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় যোগদান করেন। প্রথম সপ্তাহেই মোকাদ্দাস হুজুরের বাসায় গিয়ে ধরে নিয়ে থানায় আসেন। অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ, তাঁর স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করা এবং ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে ৪টি মামলা দিয়ে হুজুরকে জেলে ভরেন ওসি আলমগীর। ওসি আলমগীর এর লিখে গুগল এ সার্চ দিলেই তার অপকর্মের রেকর্ড বের হতে থাকবে।
ওসি আলমগীরের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে প্রথম আলোর রিপোর্টের লিঙ্ক
http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-01/news/309881
বিষয়: বিবিধ
১২৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন