শীর্ষ কর্মকর্তা নাকি শীর্ষ সন্ত্রাসীর বক্তব্য? যদি মুরোদ থাকে পোশাক খুলে রাস্তায় আয়
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ১৭ জানুয়ারি, ২০১৫, ১২:৪০:২১ রাত
শুক্রবার দুপুরে রংপুরের মিঠাপুকুর ডিগ্রী কলেজ মাঠে সন্ত্রাস ও নাশকতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় শীর্ষ শাপলা চত্বরের কসাই, গণহত্যাকারী, খুনী-সন্ত্রাসীদের বক্তব্য:
পুলিশের আইজি এ.কে.এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘সংবিধানের কোথাও আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধের মতো নাশকতা ও সন্ত্রাসমূলক কার্মকান্ডের কথা উল্লেখ নেই। হরতাল-অবরোধ সংবিধান পরিপন্থি। আমরা জননিরাপত্তার স্বার্থে ৫ জানুয়ারি ঢাকায় কাউকেই সমাবেশ করার অনুমতি দেইনি। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য থেকে জেনেছি ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা ছিলো।
শহীদুল হক বলেন, ‘সারা দেশের মধ্যে মিঠাপুকুর, গোবিন্দগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সন্ত্রাস ও নাশকতা বেড়ে গেছে। এগুলো কারা করছে। যারা স্বাধীনতা চায়নি। আপনাদের এসব মৌলবাদী সংগঠনের দোসর হওয়া যাবে না। পুলিশ প্রশাসন আপনাদের পাশে থাকবে’।
আইজি বলেন, নির্বাচনের দাবি তুলে যারা এভাবে হরতাল অবরোধের নামে নাশকতা সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করছে। তারা আসলে কি চায়। দেশেতো সংবিধানুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। জনগণ ভোট দিয়েছে। যারা নির্বাচন চায়নি তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে এরকম সন্ত্রাস করেছে’।
এবার আর কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না হুশিয়ারি উচ্চারণ করে পুলিশের এ আইজি বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভুল করেছে। এর খেসারত জনগণ দিবে না। বিএনপি-জামায়াতকেই এর খেসারত দিতে হবে। এদেশে আমরা আর কোনো অশুভ শক্তির উত্থান হতে দেয়া হবে না’।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি বক্তব্যে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা যারা দেখতে চায় না। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চায় না। তাদেরকে আমাদের এদেশে প্রয়োজন নেই। তাদের দমনে ষড়যন্ত্র দমনে যা যা করা দরকার সবই করা হবে’।
বেনজীর বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের সংখ্যা খুবই কম। এদের নিশ্চিহ্ন করা কোনো ব্যাপার নয়। আমরা এই অপশক্তিকে ২০১৩ সালে রুখে দিয়েছি। এবারো রুখে দিব ইনশাআল্লাহ’।
হরতাল অবরোধ কর্মসূচিকে অন্যায় যুদ্ধ আখ্যায়িত করে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত অন্যায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ যুদ্ধে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অন্যায় যুদ্ধ ঘোষণাকারীদের আমরা পরাজিত করে বিজয়ী হব’।
সভায় জেলা প্রশাসক ফরিদ আহম্মদ-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, রংপুর রেঞ্জ‘র ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি হুমায়ূন কবির, র্যাব-১৩ অধিনায়ক লে. কর্নেল ইসমত হায়াৎ, রংপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক পিপিএম।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখন বাকী আছে সেনাবাহিনীর প্রধানের কিছু বলা ।
ছাত্রলীগ থেকে আসা এদের কাছে থেকে এরকমই তো শুনতে পাওয়া স্বাভাবিক
মন্তব্য করতে লগইন করুন