অভিশপ্ত, বেঈমান খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপি কি ঘুরে দাড়াতে পারবে? মনে হয় না। পর্ব-১
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ০১ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৫:৩০:০৬ বিকাল
আওয়ামী লীগ ও দেশ বিরোধী অপশক্তির জুলুম-অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য এদেশের মানুষ জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে ব্যাপক সমর্থন দিয়েছে, ক্ষমতায় বসিয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের আশা-আকাংখা পূরণ করলেও তার স্ত্রী বেগম জিয়া বারবার যাদের ত্যাগে ক্ষমতায় গিয়েছে তাদের সাথে ও জনগনের সাথে বেঈমানী করেছে। তাদের অভিশাপেই বেগম জিয়ার আজকের এই করুন অবস্থা।
বেগম জিয়ার বেঈমানীর ইতিহাস:
১। ৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতীয় বীরদের অসীম সাহস ও ত্যাগের ফসল ও বেনিফিসিয়ারি ছিল এদেশের মানুষ ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। প্রেসিডেন্ট জিয়া তাঁদের সাথে বেঈমানী না করলেও তাঁর স্ত্রী বেগম জিয়া শহীদ সৈয়দ ফারুক রহমান ও তাঁর সঙ্গীদের সাথে চরম বেঈমানী করে তাদেরকে হত্যার সুযোগ করে দেন। ৯৬ এর আওয়ামী সরকার বিচার বিভাগরে মাধ্যমে তাদের ফাঁসি দিলেও ২০০১ সালে বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে তাদের জন্য কিছুই করেনি বরং তার ক্ষমতার ৫টি বছর এই বীরদের জেলখানার কনডেম সেলে করুন জীবন যাপন করতে হয়। খালেদা জিয়ার জোট সরকার তাদের মামলা নিষ্পত্তি করেনি বরং তা ঝুরিযে রাখে। বেগম জিযা পারত এই বীরদের ফাঁসির রায় দিয়ে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে ক্ষমা করে দিয়ে তাদেরকে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে। কিন্তু যারা জীবন বাজি রেখে একসময় এ দেশের মানুষকে উদ্ধার করছিল তাদেরকে পরবর্তীতে নির্মম হত্যার শিকার হতে হয়েছে কিন্তু এদেশের কোন মানুষই তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করেনি। এখন যখন বেগম জিয়া ও দেশবাসী আওয়ামী দানবের হাত থেকে রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর দিকে চেয়ে থাকে তখন হয় হয়ত সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের পূর্বসুরীদের করুন বিদায়ের কথা স্বরণ করে আর সেয়দ ফারুক রহমানদের বিদেহী আত্তা মিটমিট করে হাসে। আমার মনে হয়, সৈয়দ ফারুক রহমানদের প্রতিফোটা রক্ত বেগম জিয়া ও তার দলকে জন্য প্রতিমুহুর্তেই অভিশাপ দিচ্ছে।
২। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে অধ্যাপক গোলাম আযমের সহযোগিতায বেগম জিয়া ক্ষমতায় আহরন করেন কিন্তু ক্ষমতায় গিয়েই এই অশিথীপর গোলাম আযমকে জেলখানায় নিক্ষেপ করে। শুধু তাই নয়, সারাদেশে ছাত্রদল দিয়ে ছাত্রশিবিরকে বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে উৎখাদের চেষ্টা করে। অসংখ্য নেতা-কর্মী হত্যা করে, শত শত নেতা-কর্মী পঙ্গু ও আহত হয়। এভাবেই বিএনপি ও বেগম জিয়াকে ক্ষমতায় বসানোর প্রতিদান দেওযা হয় জামায়াতে ইসলামীকে।
৩। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর চারদলীয় জোটের ২টি দলকে ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়। শুধু তাই নয় জোটের অন্যতম সহযোগী জামায়াতকে সব সময় 'ল্যাং মাড়া' আর কোনঠাসা করে রাখার অপচেষ্টা চালানো হয়। লুৎফজ্জামান বাবর ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর তান্ডব চালানোর বন্দোবস্ত করেন।
৪। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রথমেই ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত যেসব সেনা অফিসার জীবন বাজি রেখে জোট সরকারকে রক্ষা করেছিল তাদেরকে হত্যা করে কিন্তু বেগম জিয়া এ ব্যাপারে কোন ভুমিকায় পালন করেনি। আওয়ামী লীগ ৩৩ লক্ষ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সর্বশ্রান্ত করেন কিন্তু শুধুমাত্র 'মোসাদ্দেক আলী ফালু' কে রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে 'টু' শব্দ পর্যন্ত করেনি। সেদিন কোন হরতাল দেয়নি। শেখ হাসিনা বারবার দেশবাসীর উপর নির্যাতন করেছে কিন্তু বেগম জিয়া কিছুই করেনি কিন্তু যখন বেগম জিয়াকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের করে দেয় তখন তিনি 'হু হু' করে কাঁদেন আর হরতাল দেন। হয়ত এ কারণেই জনগন উনাকে ঘর থেকে বের করে দেওয়াকে কিছু মনে করেনি। আমার বিশ্বাস এসব সেনা অফিসার, ৩৩ লক্ষ বিনিয়োগ কারীদের চোখের পানি বেগম জিয়ার জন্য অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে
চলবে...........................
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৬ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিএনপির সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছিল জামায়াতের সাথে জোট করা , জামায়াতের নেতাদের মন্ত্রীত্ব দেওয়া ।
বাংলাদেশের মানুষ আর যেটাই বরদাস্ত করুক না কেন , রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়ানো দেখতে চায় না ।
বিএনপির এই জামায়াত ঘেষা নীতি বিএনপির জন্য হিতে বিপরীত হয়ে গেছে । ফ্লোটিং ভোট গুলো এক চেটিয়া ভাবে আওয়ামী লীগের দিকে গিয়েছে ।
Now we hear the noise here and there that:---
শেখ মুজিব - রাজাকার
জিয়া-- রাজাকার
কাদের সিদিকি - রাজাকার
Very confusing. would you tell me actually Who is not রাজাকার,
obviously your comment should be accepted by all Bangladeshi people. if you do not know then it is wiser to quit this
তারপরও তো বিএনপি তাদেরকে ২০০১ এ সাথে নিয়েছিল, মন্ত্রীত্বও দিয়েছিল ।
জামাতের দেওয়া সেই ফর্মূলাতে ক্ষমতায় গিয়ে সেটাকে আবার বাদ দিয়ে এখন আওয়ামী লীগ জামায়াতকেই সাইজ করছে ।
বিএনপি ভুগছে জামায়াতকে সাথে নেবার জন্য আর জামায়াত ভুগছে বিএনপির সাথে বেঈমানীই করার জন্য ।
@ আনিসুর রহমান : জামায়াত গোটা দলটাই ৭১ এ পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে , হত্যা করেছে এবং হত্যা করতে সাহায্য করেছে ।
যাদেরকে রাজাকার বলা হচ্ছে এখন তারা বরং মুক্তিযুদ্ধের সাথেই কোন না কোন ভাবে জড়িত । আর এসব তারাই বলছে যারা সে সময়ে কিছুই করে নি ।
এখানে কনফিউশনের কি আছে ?
জামায়াতকে 'সাইজ' করছে বেগম জিয়ার সাথে জোট করার জন্য অন্য কোন কারণ নাই। তবে এটা জামায়াতের জন্যই কল্যানকর হয়েছে।
বিম্পি কচুরীপানা মার্কা দল, এই দল নিজেদের নেতা-কর্মী নিয়েই ভুগছে জামায়াতকে নিয়ে নয়।
আওয়ামী লীগ - জামায়াত- জাতীয় পার্টির আন্দোলনে খালেদা জিয়া বাধ্য হন তত্ত্বাবধায়ক বিল পাশ করতে ১৯৯৬ এর মার্চের একেবারে শেষে । সারারাত সংসদ চলেছিল । নিয়ম নীতি বানিয়ে তার পর বিল পাশ হয়েছিল । তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম প্রধান হয়েছিলেন বিচারপতি হাবিবুর রহমান যার সময়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়েছিল ১৯৯৬ এর জুনে ।
আপনি মনে হয় ১৯৯৬ এর পরে জন্ম নিয়েছেন ।
বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় দল । তারা বিরোধী দলেও ছিল সর্বোচ্চ আসন নিয়ে (১১৬) ১৯৯৬ এ।
জামায়াত বিএনপির সাথে থাকলে জামায়াতের ভোট বাড়ে আর না থাকলে কমে । ১৯৯৬ এ তারা পেয়েছিল ২/৩ টা আসন । ২০০৮ এর নির্বাচনেও একই রকম ।
এই রক্তচোষা পরগাছা দলটি বিএনপি নেতার মহানুভবতায় রাজনীতি শুরু করলেও বিএনপির আশ্রয়ে বেড়ে উঠে আওয়ামী লীগকেই বার বার সুযোগ করে দিয়েছে ।
প্রত্যেক দলেরই খারাপ সময় যায় । বিএনপি একসময় না একসময় ঠিকই রিকভার হয়ে আসবে । জামায়াতকে কিছু করতে হলে বিএনপির শেল্টারেই করতে হবে ।
জামায়াত তাদের অতীতের কর্মফল ভোগ করছে এবং করতেই থাকবে । কারণ এরা অপরাধ করে মাফ তো চায়ইনি উপরন্তু দম্ভ করেছে।
Brother veery thing is confusing even certificate of "Freedom Fighter are fake!!! so how do you know who is not a agent and who is a Real freedom figther!!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন