ডা: আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও তাঁর হিন্দু রোগী
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৩:৫১:১১ রাত
গতকাল দেশের শিল্পপতিদের এক মিটিং এ এক হিন্দু ব্যক্তি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে তাঁর স্মৃতিচারণ করেন। হিন্দু ভদ্রলোক একজন বিশিষ্ট ডাইং রং ব্যবসায়ী। তার একমাত্র কন্যা সন্তান চোখের 'নেত্রনালী' দিয়ে পুঁজ ও পানি বের হতো। একমাত্র কন্যার চিকিৎসার জন্য তিনি দেশ-বিদেশের অনেক চিকিৎসক দেখিয়েছেন কিন্তু রোগ সারছিল না। একদিন মেয়েকে ডাক্তারের কাছ থেকে ফিরে আসার সময় পল্টনে নেমে নারায়নগঞ্জে যাওয়ার সময় মাইকে আওয়াজ শুনলেন "এখন আপনাদের সামনে ওয়াজ ও আখেরী মোনাজাত করবেন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী"।
তিনি বাসে না উঠে মেয়েকে নিয়ে মাহফিলে গেলেন। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের মাহফিলের অন্যতম আকর্ষন তাঁর মোনাজাতে হিন্দু ভদ্রলোক অংশ গ্রহণ করলেন। মোনাজাতের এক পর্যায়ে সাঈদী সাহেব বললেন, "এখন আপনাদের যার মনে যা আছে, তা আল্লাহর কাছে চান"।
তখন হিন্দু ভদ্রলোক আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন, " আল্লাহ আমি এক ইশ্বরে বিশ্বাস করি। আজ তোমার এক প্রিয় বান্দার মাহফিলে এসেছি। এই মাহফিলের উসিলায়, তোমার ওলির উসিলায় আমার কন্যার চোখের রোগ সারিয়ে দাও........."। মাহফিল শেষে বাসায় গেলেন। রাতে হাত-মুখ ধুয়ে খাওয়া-দাওয়া করে মেয়েকে ডাকলেন। চোখের নিচের পাতায় হাত ক্ষতস্থানে হাতের আঙ্গুলের চাপ দিলেন কিন্তু পানি বের হলো না। সকালের আদরের কন্যাকে আবার ডাকলেন, আবারও ক্ষতস্থানে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলেন কোন পুঁজ বের হলো না। একদিন পর নারায়নগঞ্জে তাঁর মেয়ের ডাক্তারের কাছে মেয়েকে নিয়ে গেলেন। ডাক্তারকে বললেন, "দেখেন তো আমার মেয়ের চোখের নালিতে কোন ব্লক হলো কি না; রক্ত-পুঁজ কিছুই তো পরে না"।
ডাক্তার ভাল করে পরীক্ষা করে বললেন, " আপনার মেয়ের চোখ তো ভাল হয়ে গেছে, কোন ডাক্তারকে দেখিয়েছেন?" হিন্দু ভদ্রলোক বললেন, "ডাঃ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আমি গতদিন তার মাহফিলে গিয়েছিলাম....." সম্পূর্ণ ঘটনা বললেন। উপস্থিত দেশের একেজন স্বনামধন্য শাড়ী ব্যবসায়ী 'আল্লাহু আকবার' বলে চিৎকার করে উঠলেন।
বিষয়: বিবিধ
১৯৯৫ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
আমাদের এলাকায় ১৯৯৭ সালের দিকে গ্রামে হটাত করে কোথায় থেকে আগুন লেগে যেত। ১৯৯৭ সালে সাইদী সাহেব আমাদের এলাকায় মাহফিল করেন এবং আগুন নিভে যাওয়ার জন্য দুয়া করেছিলেন। আল্লাহর রহমতে আগুন নিভে গিয়েছিলো
চেয়ারম্যান সাহেবের কথায় মনে হল যে সাঈদী সাহেব মুজেজার অধিকারী ছিলেন ।
মনে রাখতে হবে আমরা যারা মুসলমান তাদের সবাইকে :
এসব কিছু সবই আল্লাহর দয়াতেই হয়েছে । আল্লাহ এদেরকে ঢিল দেন ফলে এরা পাপের মধ্যে নিজেদের আরও জড়িয়ে ফেলে , তাদের অনুসারীরা এসবকে হুজুরের কেরামতি বলেই মনে করতে থাকে ।
সাঈদী হয়ত এখন বেশ ভাল হয়ে গেছে । কিন্তু ৭১ এ তার কৃত কর্মের জন্য সে একবারের জন্যও মাফ চায় নি । সে সময়ে তারা হত্যা ও হত্যা করতে সাহায্য করেছিল একেবারে নিরপরাধ মুসলমান ভাইদের , যারা স্বাধীন হতে চাইছিল অত্যাচারী শাসকদের থেকে । কোন নিরপরাধকে হত্যা করা মানে সারা মানব জাতিকে হত্যা করার সামিল । তার উপর উনারা মাফ না চেয়ে বরং ঠিকই করেছেন বলে দম্ভ করেছিলেন ।
কিয়ামতের মাঠে সেই সব লোক কি আল্লাহর কাছে তাদেরকে হত্যা ও কষ্ট দেবার জন্য সাঈদীর বিচার চাইবে না ? বান্দার হক বান্দা না মাফ করলে সেটা আল্লাহও মাফ করেন না । এটা আমাদের জাশির ভাই বোনেরা দম্ভ ভরেই মানতে চায় না ।
আল্লাহ কোন দাম্ভিককে পছন্দ করেন না ।
সাঈদীর ৭১ এ কৃত অপরাধের জন্য দুনিয়াতে তার যে বিচার হয়েছে তা বরং পুরষ্কারেরই সামিল ।
আখেরাতে তার জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করার কথা কারণ , সে তো মাফ চায়ই নি সেই সব নিরপরাধ লোকদের হত্যা করার জন্য তাদের ওয়ারিশদের কাছে এবং তারাও যে তাকে মাফ করে দিয়েছে না চাইতেই তাও শোনা যায় নি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন