সেনাবাহিনীর কলংক কুখ্যাত খুনী কর্ণেল জিয়াউল আহসান

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ৩০ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:২৩:৪৭ সন্ধ্যা



১/১১ এর কুখ্যাত সরকার তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে ফ্যানের সিলিং এ ঝুলিয়ে বর্বর নির্যাতন করলে তারেক রহমান জ্ঞান হারিয়ে পরেন। সিলিং থেকে দড়ি খুলে দিলে আচড়ে পড়ে কোমর ভেঙ্গে যায় তারেক রহমানের। এই টর্চার গ্রুপের অন্যতম সদস্য ছিলেন র্রাবের বর্তমান উপ-প্রধান লে. কর্ণেল জিয়াউল আহসান।



১১ এপ্রিল, ২০১৩ জামায়াতের জয়পুরহাট জেলা সেক্রেটারী নজরুল ইসলামকে কর্ণেল জিয়াউল আহসানের নেতৃত্বে গুম করে র্যাব। রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে হেলিকপ্টার থেকে নামার সময় জিয়াউল আহসানকে টেলিভিশনে দেখেই নজরুল ইসলামকে গ্রেফতারের প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে সনাক্ত করেন এবং নজরুল ইসলামের পরিবারকে অবগত করেন।



৫ মে, ২০১৩ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় র্যাবের পক্ষে নেতৃত্হাব দেন কর্ণেল জিয়াউর আহসান। এদিন কুখ্যাত এ্ই সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান শত শত আলেম ও এতিম হত্যা করে।



১২ ডিসেম্বর, ২০১৩ লক্ষীপুরে ১৮ দলের অবরোধে র্যাব গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই নিহত হয ২জন। জনতার হাতে র্রাব সদস্যরা অবরুদ্ধ হযে পড়ে। পরে জিয়াউল আহসান-তারেক সাঈদ গং হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগানের গুলি ছুড়ে আর ৩ ব্যক্তিকে হত্যা করে এবং অনেকেউ গুলিবিদ্ধ হয়। একইদিন রাতে জেলা জামায়াত নেতা ডা. ফয়েজ এর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। জিয়াউল আহসান কে বাসার ছাদে নিয়ে গুলি করে নিচে ফেলে দেন এবং ট্রাকে করে তার লাশ নিয়ে গুম করার চেষ্টা করেন।





৫ জানুয়ারীর কুকুর-শিয়ালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ কে জোরপূর্বক নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য চাপ দিতে এরশাদের বারিধারার বাসায় যান কর্ণেল জিয়াউর আহসান ও মে. জে. আকবর। এক পর্যায়ে কর্ণেল জিযা এরশাদের কলার চেপে ধরেন, আকবর এরশাদকে থাপ্পর মারেন, এরশাদ মৃদ হার্ট এ্যাটাক করলে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে মাগি সাপ্লাই দিয়ে এরশাদকে ঠান্ডা করা হয়।



২৭ এপ্রিল, ২০১৪ কর্ণেল জিয়াউল আহসানের নির্দেশনায় নারায়নগঞ্জে গুম করা হয় কাউন্সিলর নজরুল সহ ১১জনকে। এই গুমে নেতৃত্ব দেয় জিয়াউল আহসানের ডানহাত লে. কর্ণেল তারেক সাঈদ। পরে তাদেরকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডের জন্য জুনিয়র অফিসারদের হত্যা করা হলেও র্যাব গডফাদার জিয়াউল আহসান এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।



এভাবেই এদেশের শত শত মায়ের বুক খালি করেছে জিয়াউল আহসান। ডাকু সর্দার জিয়াউল আহসান অনেক পরিবার ধ্বংশ করেছে। আমরা এই খুনির সকল অপকর্মের বিচার চাই। সেনাবাহিনীর প্রতি আহবান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অহংকার। এই বাহিনীর সদস্যদের অপকর্ম সমগ্র বাহিনীর উপরেই পরে। অতএব এই বাহিনীর অপকর্মের হোতাদের আইনের আওতায় আনা আবশ্যিক মনে করা উচিত।

বিষয়: বিবিধ

১৮৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File