ইন্ডিয়ান শকুনের দৃষ্টি বিচার বিভাগের দিকে, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশ বিচারপতিই হিন্দু

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ১৮ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:৫৫:০৩ বিকাল

গতকার বাংলাদেশ জুডিশয়ার সার্ভিস কমিশনের আওতায় ৬৭ জন সহকারী জজ নিয়োগ হয়েছে। এই ৬৭ জনের মধ্যে ২২ জন হিন্দু পুরুষ, ১৯ মুসলমান পুরুষ, ২৬ জন নারী। অথাৎ ৫৩.৬৫% হিন্দু পুরুষ ৪৬.৩৫ মুসলমান পুরুষ নিয়োগ পেয়েছে। নারীদের মধ্যে ৫ জন হিন্দু নারী রযেছে। যতদুর দেখেছি কোন বৌদ্ধ, খৃষ্টান বা উপজাতি এ তালিকায় নেই। বাংলাদেশের পুরুষ মুসলমানরা মেধাহীন তাই প্রশাসন বিভাগ, পুলিশ বিভাগের পর বিচার বিভাগেও হিন্দুদের জয়জয়াকার

বাংলাদেশ ৯০% মুসলমান অধ্যুসিত দেশ। এদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর 'ল' বিভাগে ৯৫% মুসলমান ছাত্র অধ্যয়ন করে এ হিসাবে ৯০% মুসলমান ছাত্র ৫% হিন্দু ছাত্র এবং ৫% নারী রয়েছে। তাহরে কিভাবে হিন্দু এবং নারী মিলে ৭১.৭৫% জজ নিয়োগ পায় আর ২৮.২৫% পুরুষ নিয়োগ পায়। মুলতঃ ৭৫% জজ আওয়ামী লীগের তল্পিবাহক হিসাবে কাজ করবে এই চিন্তা থেকেই এদেশের মুসলমানদের পুলিশ, প্রশাসন এবং বিচার বিভাগে সংখ্যালঘু করে রাখা হচ্ছে।

আসলে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ নিয়ে ইন্ডিয়া সুদুরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত। আগামীতে যদি কখনও দেশপ্রেমিক সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে সেই সরকারকে বেকায়দায ফেরতে এসব জজরাই যথেষ্ট এছাড়াও নির্বাচনকে 'অবেধ' ঘোষনা দিতেও এরা কুণ্ঠাবোধ করবে না। ইন্ডিয়ার সাথে আওয়ামী লীগ দেশ বিরোধী যেসব চুক্তি করেছে সেসব চুক্তি হালাল করতেও এরা ব্যবহার হবে। আরও রযেছে, আওয়ামী লীগ যেসব অপকর্ম করছে সেজন্য দায মুক্তিও পাবে এদের সহযোগিতায়। বিগত জোট সরকার ক্ষমতা ত্যাগ করার সময় হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টে ৮২ জন বিচারপতির পদ খারি রেখে ক্ষমতা ত্যাগ করে আর এ সরকার যে পরিমাণ বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছে তাতে আগামী ২০ বছরেও বিচারপতি নিয়োগ না দিলেও চলবে। এই বিচারপতিরাই হবে আগামীতে আওয়ামী লীগের ডান হাত।

উল্লেখ্য এখন দেশে ইন্ডিয়ার ইশারায় আওয়ামী বিচারপতিদের নির্যাতনে এদেশের জনগন অতিষ্ট। খাযরুল হক এর মত আওয়ামী বিচারপতিরা দেশের রাজনীতি অন্ধকারে নিয়ে গেছে। এরা দেশে বিচারিক হত্যাকান্ড চালাচ্ছে। ইতোমধ্যেই এরা শ্রমিক নেতা বিএম বাকির, এ্যাড. এমইউ আহমেদ, আবদুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করেছে। পাইপলাইনে রয়েছে, কামারুজ্জামান, মতিউর রহমান নিজামী, মে. জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার, ব্রি. জেনারেল আবদুর রহিম সহ শতাধিক দেশপ্রেমিক জনতা। এতএব এখনই ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে না পারলে আবারও জগৎশেঠ, উর্মিচাদ, রাযবল্রভদের সহযোগিতায় মীর জাফররা এদেশের স্বাধীনতার সূর্য় হরণ করবে।

নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী জজদের নাম ও কর্মস্থল প্রকাশ করা হলো-

সুব্রত ঘোষ শুভ-ময়মনসিংহ, মল্লিকা বসাক-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শিরিন সুলতানা-খুলনা, মো. আরিফুল ইসলাম-পঞ্চগড়, এসএম মাহফুজ আলম-বগুড়া, পার্থ ভদ্র-দিনাজপুর, মানিক দাস-চুয়াডাঙ্গা, নয়ন বড়াল-যশোর, মো. আব্বাস উদ্দীন-নরসিংদী, মৈত্রী ভট্টাচার্য-কুমিল্লা, অমিত কুমার বিশ্বাস-নীলফামারী, রত্না সাহা-দিনাজপুর, মো. হেলাল উদ্দিন-রংপুর, ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী-হবিগঞ্চ, সবুজ পাল-সিরাজগঞ্জ, অনুতোষ চন্দ্র বালা-দিনাজপুর, এএসএম আনিসুল ইসলাম-বগুড়া, রূপন কুমার দাশ-দিনাজপুর, জুবাইদা রওশন আরা-নীলফামারী, মো. গোলাম মাহবুব খাঁন-বগুড়া, অনামিকা চৌধুরী-হবিগঞ্জ, অলরাম কাজী-লীলফামারী, শারমিন রীমা-ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, বিশ্বেশ্বর সিংহ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শংকর কুমার বিশ্বাস-নওগাঁ, মো. জাহিদ হাসান-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কহিনুর আক্তার-নোয়াখালী, রেজওয়ানা আফরীন-কুষ্টিয়া, ধীমান চন্দ্র মণ্ডল-দিনাজপুর, জিহান সানজিদা-চট্টগ্রাম, মো. জাহিদ হোসাইন-নওগাঁ, ধ্রুব জ্যোতি পাল-যশোর, রোকেয়া আক্তার-চাঁদপুর, তানজিলা মরিয়াম-চট্টগ্রাম, ফাতিমা খাতুন-নীলফামারী, পাপিয়া নাগ-কক্সবাজার, মো. তাওহী-আল-আজাদ-নড়াইল, রাজীব কুমার দেব-হবিগঞ্জ, মুক্তা পারভীন-কুড়িগ্রাম, শারমিন আক্তার পিংকি-দিনাজপুর, মো. সুমন হোসেন-নওগাঁ, সুস্মিতা আহমেদ-পিরোজপুর, ঝুমু সরকার-গাজীপুর, ফানি ফারজানা-সিলেট, তানিয়া ইসলাম-চাঁদপুর, প্রবীর কুমার দাস-যশোর, শেখ সাদী রহমান-বাগেরহাট, ফারহানা খান-জয়পুরহাট, মুরাদ জাহান চৌধুরী-মুন্সীগঞ্জ, হরিদাস কুমার-নওগাঁ, মো. মামুনুর রশিদ-গোপালগঞ্জ, সমির মল্লিক-মাগুরা, নাহিদ আকতার জুলিয়েট-বগুড়া, দেবাংশু কুমার সরকার-ঠাকুরগাঁও, কামরুল নাহার-ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নওরিন মাহবুবা-মুন্সীগঞ্জ, ফাতেমা বেগম মুক্তা-ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, মারুফা আহমেদ-লালমনিরহাট, উপেন্দ্র চন্দ্র দাস-ঠাকুরগাঁও, ফারজানা ফারুক-গাজীপুর, রায়হান চৌধুরী-নড়াইল, ইসরাত জাহান-খুলনা, মেহেদী হাসান-কক্সবাজার, মো. তারেক আজিজ-কুড়িগ্রাম, আলিফ রহমান-বাগেরহাট, মো. হাদিউজ্জামান-কুড়িগ্রাম এবং হোসনে আরা বেগম-নারায়ণগঞ্জ।

বিষয়: বিবিধ

১৩৯১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য