গণতান্ত্রিক দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলনে সরকারের ভুমিকা: বাংলাদেশ Vs থাইল্যান্ড

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ০১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৭:২৮:৫৭ সন্ধ্যা



বর্তমানে এশিয়ার ২টি গণতান্ত্রিক দেশে ব্যাপক সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। একটি বাংলাদেশ অপরটি থাইল্যান্ড। দুই দেশের সরকার প্রধানই মহিলা। ২০১১ সালের নির্বাচনে পুয়ে থাই পার্টি বিজয়ী হয় এবং ইংলাক সিনাওয়াত্রা সরকার প্রধান হন। এখনও ২ বছরের বেশী এই সরকারের মেয়াদ রয়েছে। অপরদিকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় এবং শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হন। এই সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

থাইল্যান্ডে সরকার বিরোধীদের দাবী সরকারের আগাম পতন এবং আগাম নির্বাচন। অপরদিকে বাংলাদেশের বিরোধীদের দাবী অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। থাইল্যান্ডের বিরোধীদের দাবী অযৌক্তিক হলেও ইংলাক সিনাওয়াত্রা আলোচনার আহবান জানিয়েছেন অপরদিকে বাংলাদেশে বিরোধীদের দাবী যৌক্তিক হলেও শেখ হাসিনা তাদের পাত্তায় দিচ্ছে না।



[img]

চিত্র: থাইল্যান্ডের সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারী

থাইল্যান্ডের সরকার বিরোধীরা আন্দোলন করে টিভি, বেতার, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এমনকি সেনা সদরও দখল করে নিয়েছে। বিরোধীদের এমন আন্দোলন মোকাবেলায় ইংলাক সিনাওয়াত্রা বলেছেন, "বিক্ষোভকারীরা একের পর এক সরকারের মন্ত্রণালয়গুলো দখল করে নিতে থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো শক্তি ব্যবহারের নির্দেশ দেবেন না"। তিনি আরও বলেন, "দেশের জন্য একটি জিনিসই তার দরকার, আর তা হচ্ছে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখা"।



চিত্র: বাংলাদেশ সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারী

অপরদিকে বাংলাদেশের সরকার বিরোধীদের দমনে দলীয় ক্যাডার, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি নিয়োগ করেছে তারা পাখির মত বিরোধীদলের কর্মীদের হত্যা করছে, প্রতিভাবান বিরোধী নেতাদের গুম করছে, সংবাদপত্র বন্ধ করে দিচ্ছে। শেখ হাসিনা সােবিরোধী দলীয় নেতাকে বলছেন, মাঠে নেমে শক্তি পরীক্ষা করতে।

থাইল্যান্ড আর বাংলাদেশ এ বিরোধীদের সাথে সরকারের

আচরণই বলে দেয় কোনটি গণতন্ত্র আর কোনটি খুনতন্ত্র।

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File