নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে ধুর্ত হাসিনা যা যা করতে পারে
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ১০ নভেম্বর, ২০১৩, ০৬:৫৬:০১ সন্ধ্যা
হাজার বছরের শ্রেষ্ট মিথ্যাবাদী, প্রতারক ও ধোকাবাজির শিরমনি শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিয়ে যা যা করতে পারে:
এক. হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিবে:
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলিয়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নিবেন এবং জাতীয় নির্বাচনে সবদলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন। এখন 'মানবনা, মানবনা' করছে মুলত জনরোষ থেকে আওয়ামী লীগ ও তার পিঠের চামরা যেন জনগন না তুলতে পারে, বিরোধী দলকে অপ্রস্তুত অবস্থায় নির্বাচনে যেতে বাধ্য করে সর্বোচ্চ সুবিধা নেওয়া, নির্দলীয় সরকার যেন প্রশাসন ও পুলিশ ঠিকমত পরিবর্তন করতে না পারে। সেজন্য নির্বাচনের আগে আগে সে সংবিধান পরিবর্তন না করেই ঘোষনা দিবে 'আমি প্রধানমন্ত্রী থাকব না, জনগনের জন্য আমি ত্যাগ স্বীকার করলাম' নির্বাচনে হাসিনা জিতলে সমস্যা নাই আর পরাজয় বরণ করলে 'সংবিধান' অনুসারে নির্বাচন হয়নি এই মর্মে কোটে রিট করবে আর শামসুদ্দিন মানিক গং 'নির্বাচন কেন অবৈধ নয়' মর্মে নির্বাচন কমিশন বরাবর রুল জারি করবে এবং নির্বাচনী ফলফল অবৈধ ঘোষনা করবে।
দুই: ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবে:
হাসিনা ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন করবে। এক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে বিএনপির একটি গ্রুপকে বিএনপি ভেঙ্গে অন্যান্য দলে ঢুকিয়ে নির্বাচন করবে। জামায়াত নেতাদের কয়েকজনকে ফাঁনি দিবে এবং আন্দোলন করলে পুলিশ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করবে। এই সরকার ২-৩ বছর ক্ষমতায় থাকবে এবং ভারতের অবশিষ্ট আবদার পুরণ করবে।
তিন: সেনাবাহিনীর নিকট ক্ষমত হস্তান্তর করবে:
হাসিনা জনরোষ থেকে বাঁচা এবং নিজের 'নিরাপদ প্রস্থান' এর জন্য সেনাবহিনীকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। বিদেশী প্রভুদের দিয়ে 'সেনাবাহিনী' ম্যানেজ করার চেষ্টা করবে।
চার: ভারত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করবে:
শেখ হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতা আকড়ে থাকার চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী যদি প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়ায় তাহলে হাসিনার মহাপ্রভু ভারত এদেশে হস্তক্ষেপ করবে। এছাড়া শেখ হাসিনর জনপ্রিয়তা না থাকার কারণে 'র' তাঁকে হত্যা করবে এবং ভারতের বিশিষ্ট অনুচর তোফায়েল আহমেদ, আমু, জয় ইত্যাদি দিয়ে নতুন আওয়ামী লীগ গড়বে।
পাঁচ: ভারত সেনা হস্তক্ষেপ করবে:
যেহেতু শেখ হাসিনা দেশের আর্মি, বিডিআর, নদী ও সমুদ্র বন্দরসমূহ, স্থলবন্দর সমূহ, গার্মেন্টস সেক্টর, বিদেশী স্বাধীনতাকামী যেমন উলফা, ট্রানজিটের নামে রাস্তাঘাট, ফেনসিডিল ও নেশার মাধ্যমে যুবসমাজ ভারত মাতার চরণে বলি দিয়েছে, সেহেতু ভারত অবশ্যই চাইবে জোরপূর্বক হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে এবং প্রয়োজনে সেনা হস্তক্ষেপ করবে। কয়েকবছর পর দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে। ১৯৭১ সালে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যুকে ৩০ লাখ বলে চালিয়ে দেওয়ার কাজ পূর্ণ করবে ভারত। ভারতের সথে লড়াই এ ২৭ লাখ শহীদের কোটা পূর্ণ হবে। ভারত যুদ্ধ করতে গিয়ে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হবে, এদেশ স্বাধীন হবে, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী শেখ মুজিবুর রহমান এর নাম মীল জাফর আলী খান এর নামের সাথে লিখা হবে।
এভাবেই আগামী নির্বাচন হতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৭১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন