হাজি সেলিম বলল,"তোমরা ওকে মেরে ফেলেছ, ওর পা দুটো কেটে নাওনি কেন?" স্মতিতে ২৮ অক্টোবর ও শহীদ জসিম উদ্দিন
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ২৮ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:৫৮:৪৪ সকাল
২০০৬ ইং সনের ২৮ অক্টোবর পল্টনে প্রীতম হোটেলের সামনে সাদা পাঞ্জাবী, ঘিয়া রংয়ের প্যান্ট পরিহিত যে ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়, যার নিথর দেহের উপর দৈত্যনৃত্য করা হয়, যে হত্যাকান্ড দেখে বিশ্ব স্থম্ভিত হয়ে যায়, যে হত্যাকান্ড দেখে জাতিসংঘ মহাসচিব বিবৃতি দিয়েছিলেন, সে ছিল আমাদের প্রিয় ভাই জসিম উদ্দিন, পিতা- আলহাজ্ব আবদুর রশিদ খান, গ্রাম-ভরাকর, ইউনিয়ন-কলমা, থানা- লৌহজং, জেলা-মুন্সিগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানা বংশি বাজার, মিটফোর্ড রোড, লালবগ, ঢাকা। আমি ৬৭ নং ওয়ার্ডে কাজ করাতাম আর শহীদ জসিম উদ্দিন ছিলেন ৬৮নং ওয়ার্ডের মিটফোর্ড ইউনিটের সভাপতি। পাশাপাশি হওয়ায় এবং ৬৮নং ওয়ার্ড অফিসে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করায় আমাদের মধ্যে ভাল সখ্যতা ছিল। এছাড়াও থানা, জোনে একই পাঠচক্রের সদস্য হওয়ায় আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে বোঝাপড়া হতো।
১৯ অক্টোবর, ০৬ মোতাবেক ২৩ রমজান বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে শহিদ ফারুকী ভাইয়ের পাঠচক্রে আমি উপস্থিত হই। প্রোগ্রাম শুরুর কিছুক্ষন পর হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসলেন জসিম উদ্দিন। শহীদ ফারুকী ভাই দেরীর কারণ জিজ্ঞেস করতেই দোকন থেকে বের হওয়ার সমস্যার কথা বললেন। পাঠচক্রের বিষয়বস্তু ছিল "গঠনতন্ত্র"। উপস্থিতিদের মধ্যে সবচেয়ে কম শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও জসিম উদ্দিনের পারফরমেন্স সবার চেয়ে ভাল ছিল। প্রোগ্রাম শেষে ইফতার করে আমরা বাসে একসাথে আসলাম। জসিম ভাই বাসের টিকেট ক্রয়ের টাকাটা দিয়েছিলেন। আমি কাঁটাবন নামলাম আর উনি খিলগাঁও এর দিকে গেলেন বললেন ব্যবসায়িক কাজ আছে। ঐ দিনই জীবিত জসিম উদ্দিনের সাথে আমার শেষ দেখা।
২. ২৫ অক্টোবর, ০৬ ইং তারিখে ঈদ উদযাপন করে ২৬ তারিখ বাড়ীতে থেকে ২৭ তারিখ গ্রামের বাড়ী সিরাজগঞ্জ থেকে রওনা হলাম। কড্ডার মোড় এসে কোন বাস পেলাম না। ২৮ অক্টোবর জামায়াতের পল্টনের জনসভায় যোগদান করতে হবে সেজন্য যেভাবেই হোক ঢাকা আসার পণ করলাম। সন্ধার সময় স্টেশনে ট্রেন আসল। জীবনে অনেক দিন ও রাত ট্রেনে কাটিয়েছি কিন্তু এত ভীড় দেখিনি আর কষ্টও করিনি। এক নববিবাহিত দম্পতি ট্রেনে ছিল। কনের কানের গহনা পায়ের নিচে পড়েগিয়েছিল কিন্তু ভীড়ের কারণে তা তুলতে পারল না। জয়দেবপুর স্টেশনে এসে ভীড় কমলে আমি পায়ের নীচ থেকে কানের গহনা তার হাতে তুলে দিয়েছিলাম। কোন রকম গেট দিয়ে উঠলাম কোন নড়া-চড়ার সুযোগ না পেয়ে এক দাড়াতে ৩.৫ঘন্টা পর জয়দেবপুর স্টেশনে আসলাম। এখানে কিছুটা ভীড় কমল। রাত ১২টার দিকে ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে পৌছল। স্টেশনের বাহিরে এসে রিক্সা/সিএনজিকে চকবাজার/মৌলভীবাজার/জেলগেট যাওয়ার কথা বলতে তারা সবাই বলল ঐদিকে মারপিট, অগ্নিসংযোগ হয়েছে যাব না। অগত্য পায়ে হেটে রওনা দিলাম। মতিঝিল পার হতেই পল্টন মাঠে আওয়ামী লীগের উস্কানীমুলক শ্লোগান শুনতে পেলাম। রাত বারটা থেকে পল্টন মাঠে ১৪৪ ধারা জারি ছিল কিন্তু কিভাবে আওয়ামী লীগ কর্মীরা সেখানে গেল এবং অবস্থান করছিল তা বোধগম্য হলো না (পরে জেনেছিলাম এটা বাবর আর তার সহকর্মীদের কাজ যারা সকলেই এখন জেলে) তবে পরিবেশ যে ভয়াবহ তা উপলব্ধি করছিলাম। রাত প্রায় একটার দিকে বাসায় পৌছালাম। রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
৩. ফজর নামাজ পড়ে থানা সেক্রেটারী এ্যা. রেজা্উল করিম ভাইকে ফোন করলাম। কখন প্রোগ্রামে যাব, তিনি জানালেন বেলা দুইটা থেকে প্রোগ্রাম। সকালে নাস্তা করে ঘুমিয়ে পড়লাম। দুপুরে খাবারের পর টিভি অন করে পল্টনের নিউজ আপডেট দেখে মাথা চিন চিন করে উঠল। পল্টনে ব্যাপক মারামারি, বহু হতাহত। দ্রুত প্যান্ট-শার্ট পড়ে মফিজ ভাই, রেহান ভাইকে ফোন দিলাম। উনারা জেলগেটে আসতে বলল। ইতোমধ্যেই আমাদের ওয়ার্ডের জহির ভাইসহ অনেকের আহত হওয়ার খবর পেলাম। এছাড়া পল্টন থেকে এক ভাই ফোন করে জানাল হাইকোর্ট, প্রেসক্লাবের রাস্তা বাদ দিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে আসতে। আমরা তিনজন রিক্সা নিয়ে অলি-গলি ঘুড়ে ফুলবাড়িয়া আসলাম। ডানে-বামে যতদুর চোখ যায় শুধু আগুন আর আগুন। লীগ কর্মীরা রাস্তার পাশে বিভিন্ন দোকানপাটে আগুন দিয়েছে। বিডিআর এর সাথে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা দাওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা বঙ্গভবনের পাশ দিয়ে দিলকুশা হয়ে মতিঝিলের দিক দিয়ে পল্টনের দিকে আসলাম। কানে মাইকের শব্দ ভেসে আসল আবুল কাশেম ভাইয়ের কণ্ঠে গান "এখানে কি নেই কেউ ওমরের মত আজ.....'। বাইতুল মোকারম এর উত্তর গেটে জামায়াতের সমাবেশে কিছুক্ষন থাকার পর পল্টন মোড়েরর দিকে এগিয়ে গেলাম। আজাদ প্রোডাক্টস এর গলি সহ বিভিন্ন অলিতে-গলিতে জামায়াত-আওয়ামী লীগ ব্যাপক সংঘর্ষ হচ্ছে। মাথায় ব্যান্ডেজ অবস্থায় নুরুল ইসলাম বুলবুল ভাই, শফিকুল ইসলাম মাসুদ ভাইসহ শত শত জামায়াত কর্মী আহত অবস্থায় ব্যান্ডেজ সহ আজাদ-প্রোডাক্টস এর উল্টা পার্শে নির্মানাধীন র্যাংকস বিল্ডিং পর্যন্ত ব্যারিকেড দিয়ে লাঠি হাতে দাড়িয়ে আছে। আমিও একহাতে বাঁশ অপর হাতে ইটের টুকরা নিয়ে দাড়ালাম। অপরদিকে পল্টন মোড়ে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ ও চৌদ্দ দলের কর্মীরা লগি-বৈঠা এবং আগ্নেয়অস্ত্র সহ পুলিশ ব্যারিকেডে দাড়িয়ে আছে। বিকেল ৪টার দিকে আমীর জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সবেমাত্র ভাষন দিতে শুরু করেছে। এমন সময় র্যাংকস ভবনের উপরে কয়েকজনের অসংলগ্ন চলাচল লক্ষ্য করলাম। লোকনজন নারায়ে তাকবির শ্লোগান দিতেই উপর থেকে বৃষ্টির মত বোমা নিক্ষেপ হতে লাগল। বোমার ধোয়ায় চারিদিকে অন্ধকার। কোনরকম রাস্তা ডিভাইডার পার হয়ে পল্টন মোড়ের দিকে আওয়ামী লীগারদের ধাওয়া করলাম। কিছু লোকের ধাওয়ায় হাজার হাজার লীগ পঙ্গপালের মত পালাতে লাগল। একদৌড়ে পন্টন মোড়ে পৌছে পল্টন মোড়ের দখল নিলাম। পল্টন মোড়ের সম্মুখে আমরা ৪০-৫০জন অপরদিকে হাজার হাজার লীগ কর্মী। আমরা ১টি ঢিল ছুড়লে মুক্তাঙ্গন, বিজয়নগর আর প্রেসক্লাবের রাস্তার দিকে থেকে শত শত ঢিল ছুটে আসছিল। বাম হাতের বাঁশটা নাক আর মাথা বরাবর ফিট করলাম। বাঁশটা আল্লাহর রহমত হিসাবেই কাজ করছিল। টুং টাং, টাক, টুক শব্দ করে ইট-পাথরের টুকরা বাঁশে লেগে মুখের মানচিত্র পরিবর্তন হওয়া থেকে রক্ষা করছিল। গোটা শরীরে ইটের আঘাতে জর্জরিত হচ্ছি কিন্তু পল্টন মোড় ছড়ছিলাম না। একসময় পিছু হটতে বাধ্য হলাম। আমরা ৪-৫জন সামনে অপরদিকে শত শত লীগ কর্মী অনেকটা হাতাহাতি লড়াই। পায়ের নীচ থেকে ইট নিয়ে সম্মুখ দিকে ছড়ছিলাম আর মুল দলের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য পিছু হটছিলাম। রাস্তার উত্তর পাশে থাকার কারণে ডিভাইডারের ঐ পাশে লীগ কর্মীরা বেশী এগিয়ে এসেছিল তা খেয়াল করিনি আর করলেও কিছু করার ছিল না। লগি-বৈঠার ঘেরাওয়ের শিকার হলাম। শরীরে লগি-বৈঠার বারি পড়তে লাগল। হাতের বাঁটশটা দিয়ে পাগলের মত মারপিট করে আমাদের অন্য এক গ্রুপের সহযোগিতায় নিজেকে ছাড়িয়ে আনতে সক্ষম হলাম। মুল দলে মিলিত হলাম। সংঘর্ষ চলল সন্ধা পর্যন্ত। সন্ধায় বিডিআর এসে দুই দলের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষ থামাল। রাস্তায় ইট-পাথরের উপর মাগরিবের নামাজ পড়ে সব কর্মীদের খোঁজ নেওয়ার জন্য এলাকায় রওনা হলাম। নিরাপত্তার জন্য মতিঝিল-নয়াপল্টন-কাকরাইল-শাহবাগ-নিুমার্কেট-বকশিবাজার হয়ে জেল খানার সামনে আসলাম। ওয়ার্ড অফিসে আহত কর্মীদের ওষুধ, ব্যান্ডেজ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হলো। এখা্নেই জসিম উদ্দিন এর শাহাদতের খবর শুনলাম।
২৮ অক্টোবর আমরাও অনেক আওয়ামী লীগ ক্যাডারকে ধরতে পেরেছিলাম। আটক আওয়ামী লীগ কর্মীদের গায়ে একটি চুলের আচড়ও পড়তে দেওয়া হয়নি। আহত লীগ কর্মীদের আমরাই চিকিৎসা করে নিরাপদে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। "হত্যার বদলে হত্যা" এই নীতি গ্রহণ করলে আমরা অনেক লীগ কর্মীকেই সেদিন হত্যা করতে পারতাম।
৪. ২৯ অক্টোবর জসিম উদ্দিনের বাসায় গেলাম। সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্য আর বুক ফাটা কান্না। কাফনের কাপড় সরিয়ে এক নজর দেখলাম জসিম উদ্দিন কে। মুখের সম্মুখভাগ থেতলে গেছে। সব দাঁত লগি-বৈঠার আঘাতে ভেঙ্গে ঠোঁট কেটে বেরিয়ে গেছে। আর দেখতে পরলাম না চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগল। ২৮ অক্টোবর ৫জন শহীদের জানাজা একসাথে হওয়ারর জন্য তাঁর লাশ নিয়ে মগবাজার যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের আপত্তির কারণে যেতে পারলাম না। ট্রাকে করে লাশ নিয়ে আজিমপুর কবরস্থানে গেলাম। সেখানে নাসিরউদ্দিন পিন্টু সহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ ছিল। প্রিয় বন্ধুর লাশ কবরে রেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পাললাম না, অঝোড় ধারায় কাঁদলাম। ভিডিও ক্লিপ এ জসিম উদ্দিন কেপৌশাচিকভাবে আঘাত করার চিত্র দেখেছি আর তাঁর বাবার কাছ থেকে শুনেছিলাম মর্মান্তিক কাহিনী। আহত জসিম উদ্দিন কে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পারও তাঁর প্রাণ ছিল। সে শুধু 'আল্লাহ', আল্লাহ করছিল। একজন পকেট থেকে পাওয়া নম্বর নিয়ে তাঁর বাবাকে ফোন করে হাসপাতলে নিয়ে আসে। হাসপাতালে এসে তিনি ছেলের অবস্থা দেখে পাগলের মত হয়ে যান। ডাক্তার তাঁকে ওষুধ আর রক্ত সংগ্রহ করতে বলেন। এসব করতে করতেই জসিম উদ্দিন শাহাদতের অমিয় সুধা পান করেন। ইতোমধ্যেই লাশ নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু হয়। ভন্ড হাজি সেলিমের নেতৃত্বে একদল লীগ কর্মী জসিম উদ্দিনকে নিজেদের কর্মী পরিচয় দিয়ে তার লাশ ছিনিয়ে নিতে চায়। জামায়াত কর্মীরা তীব্র বাঁধা প্রদান করে। ডাক্তার জসিম উদ্দিন এর বাবাকে ছেলে কোন দল করত প্রশ্ন করেন। জবাবে সে জামায়াত করত একথা জানাল ভন্ড হাজী সেলিম তার কর্মীদের বলে, "তোমরা ওকে মেরে ফেলেছ, ওর পা দুটো কেটে নাওনি কেন?" চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে বানানো কোম্পানী মদিনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই বর্বর হাজি সেলিমকে তার নেত্রী ঢাকার মেয়র পদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তাই নেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য সে কয়েকদিন পূর্ব থেকেই লালবাগ, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীর চড়ে লোকজন জড় করে রেখেছিল। তার নেতৃত্বে সকাল এগারটার দিকে লালবাগ থেকে যে মিছিল পল্টনে গিয়েছিল সেই মিছিল থেকেই হামলার সুত্রপাত হয়েছিল।
৫. জীবনে জামায়াত-শিবির কর্মীদের মধ্যে যত সহজ-সরল, গোবেচারা, নিরীহ ও ভদ্রলোক দেখেছি তন্মধ্যে জসিম উদ্দিন ছিল অন্যতম। ছোট বেলায় মা হারিয়েছিলেন জসিম উদ্দিন। কোনদিন কোন অভাব-অভিযোগ ছিল না। সৎ মায়ের সংসারে সে ছিল এটা জেনেছি তাঁর শাহাদতের পর। সৎ ভাইবোনদের সে নিজের ভাই-বোন হিসাবেই দেখত। দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর সে বাবার ব্যবসায় জড়য়ে পড়ে। জামায়াতের রোকন হওয়ার জন্য কর্মব্যস্ত জসিম সব কাজ শেষে রাতে চেয়ারে বসে বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ত। তাঁর বাবা ঘুম থেকে ডেকে বিছানায় যেতে বললে আবার ও বই পড়ত। যত রাতেই ঘুমাক আর ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, শীত কুয়াশা যাইহোক না কেন কোন কিছুই তাঁকে ফজরের নামাজ জামায়াতে পড়া থেকে বিরত রাখতে পারত না। এলাকার লোকজনকে ভাল কাজের উৎসাহ দিতেন। খোদা-ভীতি এত বেশী ছিল আর এত বেশী নেজেকে লুকিয়ে রাখত যে তাঁর শাহাদতের পর কোন ছবি খুঁজে পাইনি। অবশেষে পরিবারের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্টেশনের ছবি পত্রিকা ও সংগঠনকে দেযায়। তাঁর ছবি ছিলনা বলেই হয়ত তার মর্মান্তিক ছবি বিশ্ববাসী দেখেছে।
বিষয়: বিবিধ
৩২০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন