সংবিধান থেকে "তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা'' সরিয়ে ফেলা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোয়ার্তুমি, মনগড়া ও পিঠ বাঁচানের সিদ্ধান্ত।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ২৭ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:৩১:০৫ রাত
বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ খাওয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেন কিন্তু দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতার আলোকে আরও দুই টার্ম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার মত প্রদান করেন। পরবর্তীতে খায়রুল হক আবারও শেখ হাসিনার থেকে টাকা খেয়ে অবসর গ্রহণের পর রায় লিখেন এবং শেখ হাসিনার কথামত পুণাঙ্গ রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায় প্রদান করেন।
গরীবের ত্রাণ খাওয়া বিচারপতি খায়রুল হকের প্রাথমিক রায়ের পর ২০১০ সালের ২১ জুলাই প্রথম ১৫ জন সদস্য নিয়ে সংবিধান সংশোধনী কমিটি গঠন করা হয়। তারা ২৭টি মিটিং করে। মিটিং শেষে ২০১১ সালের ২৯ মার্চ বিদ্যমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ করা হয়।
সংবিধান সংশোধনী কমিটির বিভিন্ন সদস্যদের বক্তব্য এরকম, তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন এটা সেটল ইস্যু এটা পরিবর্তন করার দরকার নেই। আমির হোসেন আমু বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেভাবে আছে সেভাবেই রাখা উচিত। ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছিলেন সংবিধানে তিন মাস নির্দিষ্ট করে দেয়া যেতে পারে। এডভোকেট আমীর খসরু বলেছিলেন এমন কিছু করা ঠিক হবে না যা বিতর্ক সৃষ্টি করে। রাশেদ খান মেনন বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক পরিবর্তনের দরকার নেই। বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমিন বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সংশোধনের দরকার নেই। কমিটির কো-চেয়ারম্যান প্রস্তাব করে বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার দরকার নেই।
কিন্তু ২৭ এপ্রিল ২০১১ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংবিধান সংশোধন কমিটি দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী বলেন জনগণ আর অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায় না। ১০ মে কমিটি আবার বলে শর্তসাপেক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। ২৯ মে সংবিধান সংশোধনী কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার পক্ষে সুপারিশ করে। ৩০ মে কমিটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে সবকিছু উল্টে যায়, সবকিছু বদলে যায়। ২০ জুন কমিটি নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সুপারিশ করে। ২৫ জুন ২০১১ তা কেবিনেটে ও ৩০ জুন সংশোধনীতে তোলা হয়।
অনেকে মনে করেন শেখ হাসিনা তার আত্বীয় ফজলে নুর তাপস এর সহযোগতিায় বিডিআর হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, শেখ রেহানা কি দিয়ে শেয়ার বাজার লুট করেছে, জয়কে দিয়ে পদ্মা সেতু আর কুইক রেন্টাল এর টাকা মেরেছে, এসব তথ্য থাকার কারণে সাগর-রুনিকে হত্যা করেছে আরও খুন-হত্যার কারণে শেখ হাসিনা বিচারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্যই ভারতের 'র' এর পরামর্শে সংবিধানে অবৈধ সংশোধনী এনেছেন যা জনগন এর গনভোটে স্বীকৃত তো দুরের কথা সংবিধান সংশোধনী কমিটিও স্বীকৃতি দেয়নি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন