আজহার ভাই বলল "তোমরা দোয়া ইউনুস পড়"

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ০৯ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:৪২:৩৬ সকাল







19 September কাকরাইল লড়াই এ শোচনীয় পরাজয়ের পর কেন্দ্রীয় অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে বের হওয়ার সময় ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী এটিএম আজহারুল ইসলাম, প্রচার সেক্রেটারী তাসনীম আলম এবং ইজ্জত উল্লাহ ভাইকে। তাদের ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।

ডিবি অফিসের ছোট্র একরুমে প্রায় ৫০জন কর্মীকে পূর্বেই কাকরাইল থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়েছে। বিধ্বস্ত চেহারা দেখে বুঝা যায় গাড়িতে তুলেই নির্যাতন করা হয়েছে আজহার ভাইকে। তাসনীম আলম, ইজ্জত উল্লাহকে বাহিরে রেখে আজহার ভাইকে লকআপে ভিতরে ঢোকানো হল। আজহার ভাই হাসতে হাসতে ভিতরে ঢুকল। গাদাগাদি করে থাকা কমীরা মাঝে একটু জায়গা করে দিল সেখানেই বসল আজহার ভাই। ডিবি অফিসের দোতলা থেকে নেমে এলো ডিবির কর্মকর্তা মেহেদী হাসান (এডিসি মেহেদী নয়)। মাতাল মেহেদী আজহার ভাইকে দেখেই চিৎকার করতে থাকে ' লাল দাড়ি ঐ কুত্তার বাচ্চাকে ভিতরে ঢুকাইছিস কেন? চিৎকার করে গালাগালি করতে থাকে আর বলে শালার চোখ বাঁধ, হাত বাঁধ, আমার রুমে নিয়ে নিয়ে।

দুজন ডিবির লোক আজহার ভাইকে নেওয়ার জন্য গেট খুলল। আজহার ভাই বলল, 'তোমরা দোয়া ইউনুস পড়'। গেটের বাইরে বের হওয়ার পর একজন বলল চশমা খোলেন চোখ বাঁধতে হবে। আজহার ভাই বলল, ''চোখ বাঁধার দরকার কি আমি তো আপনাদের সাথেই আছি"। এমন সময় ক্ষুধার্ত নেকড়ের মত ''কুত্তার বাচ্চাকে আনতে এত সময় লাগে....." চিৎকার করতে করতে উপর থেকে নামতে লাগল মেহেদী হাসান। নেমেই দুই হাতে থাপ্পড় মারতে থাকে আজহার ভাইকে। চোখ থেকে চশমা ছুটে পড়ে যায়। এরপর হাতকড়া আর চোখে বেঁধে টর্চার সেলে নেওয়া হয় আজহার ভাইকে। প্রায় পৌনে একঘন্টা পর তাকে ৩জন ডিবি পাজাকোলা করে আধামরা আজহার ভাইকে নিচে নামিয়ে নিয়ে এসে ফ্লোরে শুইয়ে দেয়।

তাসনিম আলম ভাইকেও আজহার ভাইয়ের পাশের রুমে নিয়ে নির্যাতন করা হয়, তবে তুলনামুলক কম। পাশের রুমে আজহার ভাইয়ের গোঙ্গানী শোনানো হয় আর বলে তোকেও এভাবে দেওয়া হবে। বল কোন ফোরামে কবে তোরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিস। হাইকোর্টের আইনজীবিকে আমরা হত্যা করেছি কিছু হয়নি আরতো তোরা। আমরা মাইর দিয়ে বিদেশ যাব তোরা কি করবি? তাসনীম ভাই এর হাতের আঙ্গুল, পা, হাটুতে আঘাত করা হয়। ইজ্জত উল্লাহ ভাইকে অল্প চড়-থাপ্পর দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এক জামাত নেতার মেয়ের জামাই মিরপুরের এডিসি মশিউর। ডিএমপিকে সে আশ্বস্ত করে সে যা করতে পারবে অন্যরা তা পারবে না। তার সহযোগিতায় শিবির নেতা সাজ্জাদ সহ সাতাশজনকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিরপুর আউটার স্টেডিয়ামের কাছে পিলার আর গাছে সাথে বেঁধে তাদের পিটানো হয়। প্রায় দশটি হকিস্টিক ভেঙ্গেছে তারা। সাজ্জাদের হাত-পা গুড়া করে দিয়েছে।

আত্নীয়দের মোবাইল ট্রাক করে শিবির সভাপতি দেলাওয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিরপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন তার হাত-পা গুড়া করে দেয়। এখন পর্যন্ত দেলাওয়ার ভাই পায়ের উপর ভর করে দাড়াতে পারে না। ওসি সালাউদ্দিন বিভিন্ন থানায় যেত জামায়াত-শিবির কর্মীদের নিজের থানায় নিয়ে আসার জন্য।

বিষয়: বিবিধ

৩৪৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File