চট্রগ্রাম লালখান মাদ্রাসায় পারমানবিক বোমার বিস্ফোরণ, হাজার হাজার....

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ০৮ অক্টোবর, ২০১৩, ০৩:৩২:৫৫ দুপুর







গতকাল সকাল এগারটার দিকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণূ বিজ্ঞানী পীরে কামেল মাওলানা মুফতি ইজহারুল ইসলাম এর লালখান মাদ্রাসায় পরমাণু ওয়ারেহেড সম্বলিত আইপিএস বিস্ফোরণ ঘটেছে। প্রচন্ড বিস্ফোরণে আইপিএস এর ব্যাটারী, সার্কিট, বাইরের বক্স প্রচন্ড বেগে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস অফিসে আঘাত করে, এতে ফায়ার সার্ভিস অফিসের কয়েকজন আহত হয়।

এছাড়া দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার সময় একটি পুলিশ ভ্যানে ধাক্কা লেগে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। আহত পুলিশদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। পুলিশ আহতের ঘটনায় অতিরিক্ত ফোর্স ও র্যাবের একটি দল ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি খুঁজতে খুঁজতে লালখান মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়।

ছাত্রাবাসের একজন শিক্ষানবীস পরমাণু বিজ্ঞানী আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদিকে মাদ্রাসায় পরমাণূ বোমা বিস্ফোরণ ও তার রেডিয়েশনে আতংকিত হয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা কিলার দিদার মিছিল বের করে।

অপরদিকে আহত পুলিশের সঙ্গীরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের মারপিট করতে থাকে। মাদ্রাসার বিজ্ঞানীরা যুবলীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়। সার্বিক অবস্থা দেখে প্রথম আলো ও তার সহযোগী পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলগুলো প্রথমে 'শব্দ হয়েছে' পরে 'বিস্ফোরণ হয়েছে', তারপর 'বোমাসদৃশ' বস্তু পাওয়া গেছে, তারপর 'গ্রেনেড পাওয়া গেছে' তারপর 'ডিনামইট পাওয়া গেছে' তারপর 'পরমাণূ বোমা' পাওয়া গেছে রিপোর্ট করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বিবৃতি দেয়। সবদেখে বিবিসি, রয়টার, ভয়েস অব আমেরিকা, এএফপি বাংলাদেশের মাদ্রাসায় পরমাণূ বোমা বিস্ফোরণ মর্মে রিপোর্ট করে। এতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও পেন্টাগন নড়েচড়ে বসে।

যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী মিটিং আহবান করে। মিটিং এ রাশিয়াকে রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে সহায়তা দেওয়ার জন্য ভৎসনা করা হয়। জবাবে রাশিয়া জানায়, জাতিসংঘের নিয়ম মেনেই সব করা হচ্ছে তবে ৮০০০ কোটি টাকার অস্ত্রের ব্যাপারে বলা হয় নির্বাচনের পূর্বে সেনাবাহিনীর জেনারেলদের হাত করার জন্য সংসদ কেন না জানিয়ে এসব অস্ত্র কেনা যার ৮০০ কোটি আর্মি জেনারেলদের দেওয়ার পরিকল্পনা করছে হাসিনা।

সার্বিক তদন্তের স্বার্থে জাতিসংঘ লালখান মাদ্রাসায় প্রতিনিধি পাঠায় এবং জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল এসে দেখে এটা একটা মাদ্রাসা যেখানে ছাত্ররা ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করে। পরমাণূ গবেষনা তো দুরে থাক তারা বিজ্ঞানও পড়ে না। তদন্তে আরও দেখা যায় এসব ছেলেরা একেবারেই গোবেচারা এবং এসব মাদ্রাসা শত বৎসরের ঐতিহ্যবাহী যাদের সাথে কারও কোন বিরোধ নাই। তদন্দে পাওয়া যায়, ইউপিএস এ আগুন ধরে ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয় এবং কুইক রেন্টাল আর ইন্ডিয়ার বিদ্যুতে এধরণের বিস্ফোরণ স্বাভাবিক এবং ইতোপূর্বেও ঢাকার মিরপুরে একজন মন্ত্রীর ল্যাপটপ বিস্ফোরণে দুর্ঘটনার কথা বলা হয়। তবে স্থানীয় যুবলীগ ক্যাডার দিদারকে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নীত করা হয়। আর প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির নিন্দা জানানো হয়।

এছাড়া ঘটনাকে শেখ হাসিনার প্রতিবন্ধী সন্তান জয় এর মাদ্রাসার ছাত্র কমানেরা একটি কর্মকৌশল হিসাবে গোপন রিপোর্ট করা হয়। এভাবেই জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে মাদ্রাসায় পরমাণূ বোমা নাটকের ইতি ঘটে।

বিষয়: বিবিধ

১৮৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File