সাকা-হাসিনার অমর প্রেম: হয় বিয়া করবা না হয় ফাঁসিতে ঝুলবা (সম্পূর্ণ কাল্পনিক)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ০৮ অক্টোবর, ২০১৩, ০৮:২৪:২৭ সকাল
ফাঁসির রায়ের পর কনডেম সেলে বিষন্ন মনে বসে আছে সাকা। মেমরীতে জীবনের ইতিহাসের পাতা উল্টাচ্ছে আর অতীতের স্মৃতি মন্থন করছে। হঠাৎ কেমন যেন তোড়জোর। প্রধানমন্ত্রী জেলে আসছেন, সাকার সাথে দেখা করে একান্তে কথা বলবেন। বিরক্ত লাগছে সাকার। এই মেয়েটা বুড়া বয়সেও পিছ ছাড়ছে না।
হাসিনা ভাল রুমে কথা বলতে চেয়েছিল কিন্তু সাকা রাজি হয়নি। ফাঁসির সেলই আমার ভাল লাগে, কথা বললে এখানে এসেই বলতে হবে। সাফ জওয়াব সাকার।
হাসিনা এসেছে, সবাই চলে গেছে, সাকার সামনা সামনি হাসিনা। কোন কথা নেই দুজনার মধ্যে্। পিনপতন নিরাবতা, হঠাৎ কথা বলল সাকা। কেমন আছ হাসু? মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে হাসিনার। চোখ দিয়ে দর দর করে পানি বের হচ্ছে।
সাকা- হাসু তুমি কাঁদছ? কোন জবাব নেই। আবারও সাকার প্রশ্ন, ''কি হয়েছে কাঁদছ কেন হাসু?
হাসু- তোমার এ অবস্থা কেন?
সাকা- তুমিই তো করেছ! অভিযোগের সুর সাকার।
হাসু- তুমি তো আমার কোন কথায় শোন না।
সাকা- তোমাকে বিয়ে করা ছাড়া আর কোন কথা শুনি নাই্?
হাসু- তুমি কি আমার সাথে প্রেম কর নাই?
সাকা- করেছি।
হাসু- তাহলে বিয়ে করতে আপত্তি ছিল কোথায়?
সাকা- অতীত বাদ দাও। প্রেম করেছি নিজের ইচ্ছায়, বিয়ে করেছি মায়ের ইচ্ছায়।
হাসু- 'প্রথম প্রেমের প্রথম দাগ সব হৃদয়েই লাগে, যায় না ভোলা কোন দিনও শেষ বিদায়ের আগে' গানটি শোন নাই।
সাকা- শুনেছি। মনির খানের গান।
হাসু- তাহলে অতীত ভুলতে বলো কেন। তোমার মনে কি দাগ নাই।
সাকা- আছে। কিন্তু আমারও নাতি-নাতনি আছে, তোমারও নাতি আছে। বুড়া বয়সে ভীমরতি।
হাসু- প্রেমের বুড়া জুয়ান নাই। তোমার হাতটা একটু দিবা?
সাকা- কেন?
হাসু- একটু ধরতে ইচ্ছে করছে।
সাকা- বউ শুনলে কষ্ট পাবে।
হাসু- ৬৬ সালের কথা কি মনে আছে। সেলিম ভাইয়ের সাথে প্রথম তুমি আমাদের বাসায় এসেছিলে। পরে আমি ধানমন্ডিতে তোমার বাসায় গিয়েছিলাম, তুমি বিশাল বাসায় একাই থাকতা। আমরা কত আনন্দ করেছি।
সাকা- শুধু বাসায় কেন? তুমি ইডেনে পড়তা আমি ঢাবিতে। দুজন টিএসসি, বুয়েটের রাস্তার পাশে পাশাপাশি বসে কত আড্ডা দিয়েছি। কত বেড়িয়েছি।
হাসু- সবই মনে পড়ে। কিন্তু তুমিতো আমাকে ছেড়ে গেছ। তোমার জন্য আমি কত কষ্ট করেছি।
সাকা- কি কষ্ট?
হাসু- বিয়ের পরও তোমাকে একনজর দেখার জন্য তোমার মত লন্ডন গিয়েছি। রেহানাকে জার্মানীতে পাঠিয়ে আমি একাকী লন্ডনে থাকতাম শুধু তোমার জন্য। আমি পাগলের মত তোমার পিছে ছুটেছি। অবশ্য বাবা নিহত হওয়ার পর লন্ডনে তুমি যে আর্থিক সাহায্য করেছ আমি কোন দিনও ভুলব না।
সাকা- ওসর কথা মনে করে লাভ নাই। এখন বলো কেন এসেছ?
হাসু- আমি তোমাকে বিয়া করব।
সাকা- পাগল নাকি। আমার বউ-বাচ্চা আছে। তাছাড়া তোমার বয়স ৬৭ আমার ৭০। এই বয়সে বিয়া!
হাসু- সমস্যা কি? রেহমান সোবহান কি বুড়া বয়সে তার প্রেমিকাকে বিয়া করেনি। সামাদ আজাদ চাচা কি বুড়া বয়সে বিয়া করেনি। জালিল চাচা কি বুড়া বয়সে বিয়া করেনি। তোমার সমস্যা কোথায়?
সাকা- হাসতে হাসতে। সমস্যা তুমি কালো আর বেশী সোনা চাও। ফরহাত (সাকার স্ত্রী) সুন্দরী, পর্দানশীল, ভাল মেয়ে। তুমি তো ডাইনী। তোমার পোলা একখান হইছে এক্কেবারে প্রতিবন্ধি টাইপের। আমার টা দেখছ?
হাসু- ফালতু বকো না।
সাকা- ফাঁসির আসামির সাথে কতদিনের জন্য বিযা বসবা।
হাসু- আপিল বিভাগে তোমাকে মুক্ত করব। মানিকরে দিয়া সব ব্যবস্থা করব। তুমি চিন্তা করো না। লক্ষিটি একবার বলো, বিয়া করবা।
সাকা- ধুর তা হয়? রেহমান ব্যাটা ছিল চিরকুমার, আজাদের বউ মারা গিয়েছিল....
হাসু- আমারও তো স্বামী মারা গেছে। আমিও একাকী। তাছাড়া ইসলামে চার বিয়ের অনুমতি আছে। সতীনের সংসার করতে আমার সমস্যা নাই।
সাকা- তুমি পাগল হইছ।
হাসু- তুমি আমারে পাগল করছ। জানো লোকজন আমাকে নিয়ে কি বলে?
সাকা- কি?
হাসু- লোকে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে,'সাকা যখন বউ লইয়া, আমার বাড়ীর সামনে দিয়া রঙ্গ মাইরা হাই যায়, ফাইটা যায়, বুকটা ফাইটা যায়।'
সাকা- হা হা হা। মহিলা মানুষ। Water in pot character. যখন যে পাত্রে রাখে তার আকার ধারণ করে। আগের টার্মে প্রধানম্ন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইনকিলাবের মোবায়দুর রহমান তোমার নামে লিখছিল,' ফ্রুডিয় মতবাদে আছে মানুষের যৌন বিকৃতি হলে মানষিক বিকৃতিও হয় আমাদের প্রধানমন্ত্রী..
হাসু- বাদ দাও এসব কথা। 'পাছে লোকে কিছু বলে'।
সাকা- আচ্ছা, আমাকে না হয় তোমাকে ছ্যাকা দেয়ার জন্য ফাঁসি দিবা, সাঈদী সাহেব কি অপরাধ করল?
হাসু- ঐ হুজুর ২০০১ সালের নির্বাচনের ক্যাসেট আমার পরাজয়ের অন্যতম কারন। সেখানে আমাকে শকুনের সাথে তুলনা করেছে, বলেছে টাকা দিয়ে গোস্ত খাইলে শকুন নাকি গোস্ত খাইত না আর লেখা-পাড়া করে ডক্টরেট পাইলে আমি নাকি কোন ডক্টরেট ডিগ্রি পাইতাম না। আমার বাবাকে টিটকারি করে বলেছে, আমার চেয়ে আমার বাবাই নাকি ভাল ছিল। তাছাড়া ভারতেরও দাবী উনাকে তিলে তিলে মেরে ফেলতে হবে। আমরা গতবারই ভারতকে ট্রানজিট দিতাম কিন্তু উ্নার জন্য পারি নাই। উনি ভারত সম্পর্কে বলেছেন,' যে দেশ আমাদের মুসলমানদের হত্যা করে, সীমান্তে মানুষ হত্যা করে তাদের গাড়ির চাকা এদেশে চলতে দেব না'। উনার কথা মানুষ বিশ্বাস করে আর মন্ত্রমুগ্ধের মত শোনে।
সাকা- হুম। বাচ্চু রাজাকার।
হাসু- উনাকে আমিই তো বিশেষ গাড়িতে করে উত্তরা থেকে হিলি দিয়ে ভারত হয়ে পাকিস্থান পাঠিয়েছি। হুজুর ঐখানে ভালই আছে। ওয়াজ করে, ভাল স্কলার।
সাকা- কাদের মোল্লা?
হাসু- কাদের মোল্লা চটাং চটাং কথা বলে, লিয়াজো কমিটির বৈঠকে অনেকবার গোর্য়াতুমি করেছে, আর কামারুজ্জামান জ্ঞানী বাইরের সাথে যোগাযোগ ভাল। তাছাড়া দু'জনেই সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ হওয়ার কারণে আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি বোঝে। এজন্যই খতম।
সাকা- মুজাহিদ?
হাসু- সাজুগুজু খালেদার কাছের লোক। বেশী মেজাজ দেখায়। টেম্পার কমাইয়া দিলাম।
সাকা- সবাইকে তো সাইজ করতেছো। তুমি আবার সাইজ না হও।
হাসু- তোমার নেত্রী তো ২১ আগষ্ট হত্যা করতে চাইছিল, ঐখান থেকে বেঁচে এসেছি। এখন মরণে ডরায় না।কাউকে ছাড়ব না। বেঈমানের শাস্তি সবাই পাবে। শেখ সেলিম, নাসিম, জলিল, মায়া, রাজ্জাক, তোফায়েল, এদেরকেই ছাড়ি নাই আরতো অন্যরা। আসল কথা বলো।
সাকা- কি কথা?
হাসু- বিয়ার কথা।
সাকা- আসলে তুমি চোদনা হয়ে গেছ।
হাসু- কি বললা?
সাকা- চোদনা।
হাসু- মুখ সামলে কথা বলো সাকা।
সাকা- সাকার মুখ বন্ধ হয়। তুমি এখান থেকে যাও নাহলে খবর আছে।
হাসু- মারবা? মারো। কিন্তু আমাকে বিয়া করতে হবে। হয়া বিয়া করবা নাহয় ফাসিতে ঝুলবা।
সাকা- তোমারে বিয়া করলে প্রাণহীন দেহ অর্থাৎ মমির মত হব। ওয়াজেদ মিয়ারে তিলে তিলে মারছ এবার আমার কাছে আইছ। আমাকে হাজার বার ফাঁসি দিলেও তোমার মত ডাইনীকে বিয়া করা সম্ভব না।
হাসু- আমি ডাইনী? তোমার পিয়ারের বউ-বাচ্চাকেও জেলে ভরব।
সাকা- বাল ছিড়ো হারামজাদি। যা ভাগ এখান থেকে। ভাগ, ভাগ ডাইনী, যা ভাগ।
হাসিনা দুঃখে-কষ্টে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তোরে ছাড়ন না সাকা তোরে ছাড়বনা, তুই আমার জীবন শেষ করেছিস আরও কি যেন বির বির করতে করতে কনডেম সেলের সামনে থেকে বের হয়ে আসল। হয়ত সাকা আর তার পরিবারের ওপর নতুন খড়গ নামবে।
বিষয়: বিবিধ
৩১০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন