বামপন্থীদের সাথে রেখে কোন বিপ্লবই সফল হয় না। দরকার শেখ মজিব আর জিয়ার মত ব্যবস্থাগ্রহন
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ০৪ জুলাই, ২০১৩, ১২:২৭:৫০ দুপুর
বামপন্থীদের বিশ্বাসঘাতকতায় বিপন্ন হলো মিশরের গণতন্ত্র। এই বিশ্বাসঘাতকতায় শরীক হয়েছে মোহাম্মদ আল-বারাদেই এর মত আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। বামপন্থীরা জন্মের শুরু থেকেই পৃথিবীর সবদেশে দেশ, জনগন ও সরকারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা এরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছে। বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতা দখল করেছে। এদের বাব-দাদ মাওসেতুং, চেগুয়েভারা, ফিদেল ক্যাস্ট্রোদের ইতিহাস রক্তপাত আর বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস।
আমাদের দেশেও বামপন্থীরা স্বাধীনতার পর একাত্তর বিপ্লবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এদেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে কিন্তু শেখ মজিবুর রহমান ৪০ হাজার বামপন্থীকে হত্যা করে দেশকে বিশৃংখলা থেকে রক্ষা করেন।
আবার ৩-৭ নভেম্বর,৭৫ এই বামপন্থীদের বেঈমানির কারণে এদেশ অনিশ্চয়তার দিকে যায়। এই বামপন্থিরা নিজেরা এককভাবে কিছু করার মুরোদ ছিল না সেজন্য জিয়াকে ব্যবহার করে বিপ্লব-প্রতিবিপ্লব ঘটিয়ে দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে। কিন্তু জেনারেল জিয়া এই ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে দেশের আপামর জনতার আবেগ-অনুভুতির সাথে একাত্বতা ঘোষনা করেন। ৭ নভেম্বর হাসানুল হক ইনু আর কর্ণেল তাহের এলিফ্যান্ট রোডে মুক্ত জিয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন কিন্তু জিয়া তাদের কাছে না গিয়ে ক্যান্টনমেন্টে যাওয়ার ফলে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায় এবং মন্তব্য করেন 'পাখি হাত ছাড়া হয়ে গেছে'। পরে জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করেন দেশ রক্ষা করতে হলে কুখ্যাত তাহের ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই বিচারে তাহের ও বামপন্থি শ-পাঁচেক অফিসারের বিচার করে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দেন। হাসানুল হক ইনু'ও যাবজ্বীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হন। এভাবেই বামপন্থী শকুনদের হাত থেকে দেশ রক্ষা পায়, গণতন্ত্র রক্ষা পায়।সেদিন কুখ্যাত তাহের আর তার সহযোগীতের হত্যা না করলে জিয়া এদেশের গণতন্ত্রের বীজ বপন করতে পারতেন না।
মিশরেও হোসনী মোবারকের পর তার প্রেতাত্বাদের হত্যা না করে মুরসী ফিল্ড মার্শাল হোসেন তানতাবী ও তার সহযোগীতের নিরাপদ প্রস্থানের পথ খুলে দিয়ে নিজেই আজ বিচারের সম্মখীন। বিপ্লবের পর পরই তাদের হত্যা করলে আজ ইখওয়ানুল মুসলিমিন কর্মীদের হত্যার শিকার হতে হতো না।
এটা সবার জন্যই শিক্ষা সাপের সাথে বন্ধুত্ব হয় না, সাপকে খাচায় না ভরে পকেটে রাখলে যেকোন সময় ছোবল দিবে। যেকোন বিপ্লব সাধিত হওয়ার সাথে সাথেই বামপন্থী ও শত্রুদের বিচারের আওতায় নিয়ে এসে হত্যা করার মাধ্যমেই সেই বিপ্লব পুর্ণাঙ্গ বিপ্লবে পরিণত হয়।
বিষয়: বিবিধ
১৭৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন