টপ নিউজ:- দলে দলে হেফাজতীদের আওয়ামিলীগে যোগদান। এবার কি করবে বি.এন.পি?

লিখেছেন লিখেছেন রাফায়েল ২০ মে, ২০১৩, ০৯:১১:৪১ সকাল

হুজুরদের কথা তোয়াক্কা না করেই দলে দলে আওয়ামিলীগে যোগ দিচ্ছে হেফাজত কর্মীরা। তাদের দাবি, হুজুররা তাদের কোন কাজে আসে না, হুজুরদের সামনেই তারা মার খায় ,হুজুররা কিছু বলে না, উল্টা স্থান ত্যাগ করে পালায়। তাই তারা দলে দলে আওয়ামিলীগে যোগদান করছে। )

কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে তাদের সাথে সাথে রাফায়েল নামক এক কট্টর ইসলামপন্থী এবং কট্টর আওয়ামী সমালোচক ব্লগারও আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছেন।চলুন কেন তিনি আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছেন তার মুখ থেকেই শুনে নেই----

অবাক ঘটনা,অনেকেই বলছেন হঠাৎ করে কেন আমি কট্টর আওয়ামিলীগ বিরোধী থেকে আওয়ামী প্রেমী হয়ে গেলাম? আমি পুরো ঘটনা ব্যখ্যা করার আগে বলি, এদেশে আওয়ামিলীগ একমাত্র দল যারা স্বাধীনতার স্বপক্ষে আছে, তারা যা করে সব কিছুই আমজনতার পক্ষেই গিয়ে থাকে। অনেকেই পিলখানা ষড়যন্ত্র, শেয়ার মার্কেট কেলেংকারী, হলমার্ক কেলেংকারী, পদ্মা সেতু দুর্নীতি ইত্যাদি ইস্যুতে আওয়ামিলীগ বয়কট করার কথা বললেও আমি এইসব ব্যাপারে অত্যন্ত সূক্ষদৃষ্টিতে সরকারের দেশপ্রেম পরিলক্ষিত করেছি । আর তাই আমি মনে করি.এদেশের সরকারী দল হবে আওয়ামিলীগ, বিরোধী দলও আওয়ামিলীগ এমনকি বাদ বাকি যত দল হবে সবই হবে আওয়ামিলীগ।

পিলখানা ষড়যন্ত্র এখনও একটি অমিমাংসিত বিষয়। সরকার এতে জড়িত কিনা তা কেউ প্রমান করতে পারে নি। আর সরকার যদি তা করে থাকে তাহলে জনতা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারন বাংলাদেশে সেনাবাহিনী, বিজিবি এইগুলার কোন প্রয়োজন নাই। বাংলাদেশের চতুর্দিকে আছে প্রানপ্রীয় ইন্ডিয়া ।তারা থাকতে আমাদের আর্মির পেছনে এত এত টাকা খরচ করার কোন প্রয়োজনীয়তা নাই। আর তাই মাত্র ৫৭ জন আর্মি অফিসার কেন পুরা সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করলেই বরং সেটা গনমানুষের পক্ষেই যেত। সুতরাং এই ইস্যুতে যারা ভ্রান্তিতে আছেন, সুবুদ্ধির উদয় হওয়ার সময় এখনই।

পদ্মা সেতুর সব টাকা মেরে দেওয়ার জন্য আবুলকে থ্যাংকস। কারন,সব টাকা না মারলে হাফ দুর্নীতির টাকা দিয়ে বানানো সেতুটি চিটাগাংয়ের ফ্লাইওভার গুলার মত ভেংগে পড়ত, সাধারন মানুষ প্রান হারাত, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি নষ্ট হত।বিরোধী দল সরকার বিরোধী আন্দোলন করত আর তাতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পিছিয়ে যেত।তাই পদ্মা সেতু কেলেংকারীকে সর্বদা সাধুবাদ জানাই।

বাংলাদেশ একটি পুজিবাদী অর্থনীতির দেশ।এই অর্থনীতিতে লুটপাট হওয়াটাই হচ্ছে স্বাভাবিক। বরং না হলেই পুজিবাদ তার ইজ্জত হারায়। আর তাই যে বা যারা শেয়ার মার্কেট লুটপাট করে পুজিবাদের ইজ্জত বাচাতে সহায়তা করেছেন,তারাই চলমান আধুনিক বিশ্বের মানুষ। তাদেরকে তিরস্কৃত না করে বরং পুরস্কৃত করা হোক। আর যেহেতু বর্তমান সরকার সেই কাজ খুব মুন্সীয়ানার সহীত করছে তাই তাকে সমর্থন ভিন্ন অন্য কিছু করা সম্ভব না। তারপরও যারা এই ইস্যুতে তেনা পেচায় তারা রাবিশ।

হলমার্ক কেলেংকারীর ঘটনাতেও যারা ফালতু সংশয়ে আছেন তারা নিতান্তই পরগাছা শ্রেনীর অপদার্থ। মাত্র চার হাজার কোটি টাকার জন্য বাংলাদেশ ফকির হয়ে যাবে না। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় চার হাজার টাকার উপর, সেই হিসেবে টোটাল আয় ৬৪ হাজার কোটি টাকা। তাই হলমার্ক কেলেংকারীর টাকা মোট টাকার ২ পারসেন্টও না। আর এই কেলেংকারীতে দেশের টাকা দেশেই আছে, কোকো আর তারেক জিয়ার মত দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে না এই সরকার,তাই এই মামুলী বিষয় নিয়ে যারা চিন্তায় মশগুল তারা আসলেই পরগাছা শ্রেনীর অপদার্থ।

তাই যারা এখনো সন্দেহে দিন কাটাচ্ছেন হাম্বালীগের প্রতি তারা অচিরেই হাম্বালীগে যোগদান করুন আর হাম্বা হাম্বা করুন।

(উল্লেখ্য হেফাজতীদের আওয়ামী লীগে যাওয়ার ঘটনা সম্পুর্ন ভুল তথ্য, তথ্যে ভুল থাকার জন্য আমি দুঃখিত।)

বিষয়: বিবিধ

২৪০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File