নেতারা যেভাবে হচছে বড়লোক আর মানুষ যেভাবে হচ্ছে ফুতুর।

লিখেছেন লিখেছেন রাফায়েল ৩০ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৫৩:৪৮ দুপুর

সে অনেক কাল আগের কথা।রমান রেফি নামক এক বনিক গেল বাংলাদেশে ব্যবসা করবে বলে । কিন্তু বাংলাদেশের রানী তাকে কোন অবস্থাতেই মাগনা জাহাজ ভিড়াতে দেবেন না। তিনি কহিলেন “চান্দা দিবি না, এইটা আমার এলাকা”। তখন চতুর(420) রমান রেফি বলিলেন, “মহারানী আমার একটা দাবি শুনবেন প্লীজ ”. মহারানী কহিলেন, “হ্যা বল”। রমান রেফি বলিলেন, “আমি আপনার দেশে মাত্র একমাস ব্যবসা করব, ব্যবসার লাভের ৯০% আপনার আর বাকি ১০% আমার ”। মহারানী রাজি হইলেন সহসাই। তখন রমান রেফি আরো এক চামচ বাড়িয়ে বলল, “মহারানী আপনি আরো একটা শর্তে রাজি হইতে পারেন ”। মহারানী কহিলেন, “হ্যা বল”। রমান রেফি বলল, “আমি যে এক মাস আপনার এইখানে থাকব ততদিন আমি আপনাকে প্রতিদিন ১০লাখ টাকা করে দিব আর আপনি প্রথমদিন আমাকে ১ টাকা দিবেন আর এর পর থেকে প্রতিদিন ডাবল করে টাকা আমাকে দিবেন ”। মহারানী সানন্দে রাজি হইলেন, ভাবিলেন ওরে বনিক কত বোকারে। সাত দিনে যায় এক সপ্তাহ, তিরিশ দিনে যায় মাস। বনিকের এক মাসে লাভ হয় প্রায় ১ কোটি টাকা আর পুর্বের প্রতিশ্রুতি অনুসারে সে মহারানীকে লাভের ৯০ ভাগ অর্থাৎ ৯০ লাখ টাকা দিয়ে দিল।কিন্তু মাস শেষে মহারানী দেখলেন,বনিক তাকে দিয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা কিন্তু তিনি বনিককে দিয়েছেন ১১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সাধারন গানিতিক হিসাব না করে লোভের ফাদে পা দিয়ে শেষমেষ নিজের সর্বনাশ করলেন মহারানী।

কাল্পনিক কাহিনী হলেও এই কয়েক বছরে এম.এল.এম ব্যবসার নামে খুব চতুরতার সহিত মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা লুটে নিয়েছিল কিছু বিদেশী কোম্পানী। আর তাদের পাতা ফাদে পা দিয়েছিল কোন মহারানী বা মহারাজারা না দিয়েছিল বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ। যদিও মহারাজার ও রানীরা নিজের এলাকার চান্দা ঠিকই পেয়েছিলেন।

বিষয়: বিবিধ

১৩৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File