"আমরা শপথ করছি যে আজ থেকে কোন জামাত শিবির ফ্যামিলির সাথে কোন আত্মীয়তার বন্ধনে আবধ্ব হবনা"

লিখেছেন লিখেছেন আবু মাঈশা ০৫ মার্চ, ২০১৩, ১১:০০:৫৫ সকাল

কয়েকদিন আগে শাহবাগে আওয়ামীলীগ এম পি আসাদুজ্জজামান নুরের একটি শপথ শুনে খুব পুলকিত হলাম!

শপথের ঘোষনাটা এই রকম ছিলো যে কোন জামাত শিবিরের সাথে আত্মীয়তা করা যাবেনা। "আমরা শপথ করছি যে আজ থেকে কোন জামাত শিবির ফ্যামিলির (রাজাকারের ফ্যামিলি না কিন্তু.... রিজন বিহাইন্ড আমরা সবাই জানি!! Cook) সাথে কোন আত্মীয়তার বন্ধনে আবধ্ব হবনা" একটু হেসে নেই...হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা....

এই ঘোষনার পর আমার কেন জানি মনে হল আমার ব্যাক্তিগত জীবনের একটা কাহিনী আমার ফেসবুক বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা যায়।

আমার গ্রেজুয়েশনের ঠিক পর পর ই আমি দেশে যাই, উদ্দেশ্য বাবা মা ভাই বোন কে দীর্ঘ ৪ বছর পর দেখতে যাওয়া। কিন্তু বাসার সবাই মিলে এমন আয়োজন যেন আমি বিয়ে ই করতে গিয়েছি। যাই হোক সেবার আমি বিয়ে করতে পারিনি কিন্তু চার চারটি পাত্রী আমাকে দেখতেই হয়। এমন একটি পাত্রী দেখার কাহিনী ই বলা আমার মুল উদ্দেশ্য। ঢাকার এক এলাকার কমিশনার মেয়ের কাজিন, দাদার নামে পুরান ঢাকায় এক ঐতিহ্যবাহী স্কুল আছে, এলাকার নাম বলতে চাচ্ছিনা... মুটামুটি ঐ এলাকার অর্ধেক মালিক মেয়ের বাবা কাকারা। মেয়ের বাবা ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী। আমার ফ্যামিলি এক সময় খুব ফুরফুরার পীর বক্ত ছিলো, সেই মেয়ের বাবা আমার বাবার পীর ভাই। যাই হোক ঘরোয়া পরিবেশে মেয়ে দেখার আয়োজন হলো। আমি আমার মা, একমাত্র বোনের মেয়ে ঐশী বয়স ১০, মেঝ আর এক ভাইয়ের মেয়ে সাবিহা নয়স ৯ (আলহামদুলিল্লাহ out of 22 kids they are the senior 2) কে নিয়ে মেয়ে দেখতে গেলাম। সত্য না বলে পারছিনা, মেয়ে দেখতে সুন্দরী, ডি এম সি তে পড়তো আবার হিজাব ও করতো।

মেয়ে দেখে যখন বাসায় ফিরলাম আমার গেরিলা বাহিনী তো খুব ই একসাইটেড। সেদিন আমাদের বাসায় সব পিচ্ছি পাচ্ছা উপস্থিত ছিলো, আর আমি ফ্যামিলির সর্ব কনিষ্ঠ বলে সবাই খুব ই উচ্ছসিত থাকে আমাকে নিয়ে সবসময়। ঐশি আর সাবিহা তো মুটামুটি সব বাচ্চাদের নিয়ে উচ্ছাসে বিশাল হৈ হুল্লুর। আমার মা ও মোটামুটি কনভিন্সড। অবশেষে সব বাচ্চারা আমাকে ধরলো যে এখন ই মিস্টি আনতে হবে। আমার অবস্থা তখন বারোটা। যাই হোক অবশেষে বাসার নিয়ম অনুযায়ী সব বাচ্চাদের নিয়ে মিটিং এ বসলাম। ঘটনাটা ছিলো ২৮ শে অক্টোবর ২০০৭ এর ঠিক কয়েক দিন পর।

আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি যেই না বলে ছিলাম যে সব ঠিক আছে কিন্তু মেয়ে আওয়ামীলীগ সাপোর্ট করে, সারা ঘরে এক বিশাল আওয়াজ হলো যা ছিলো না না না, হতেই পারেনা, ওরা আমাদের মেরে ফেলবে, কেটে ফেলবে, ওদের কোন মায়া নাই... আর ও কত কিছু। আমি সেদিন মহান আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করেছিলাম আমার এই ২২ টি বাচ্চার জন্য। আজ ওরা বড় হয়ে যাচ্ছে, হয়তো ৫/৬ বছরের মধ্যে ওদের বিয়ে শাদি শুরু হবে।

আলহামদুলিল্লাহ আমি ও বিয়ে করেছি আজ প্রায় ৬ বছর হতে চলল। মনে আছে যেবার আমি বিয়ে করতে গিয়ে ছিলাম, আমার দাবি একটাই ছিলো অন্তত মেয়ে যেন আওয়ামীলীগ ফ্যামিলির না হয়!!!! আল্লাহ আমার কথা কবুল করেছিলেন। পাত্রীর পরিচয় আজ নাই বললাম।

বিষয়: বিবিধ

১২০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File