নাটকের জন্যে তৈরীকৃত স্ক্রীপ্ট দিয়ে কি যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়? কিন্তু আজব দেশ বাংলাদেশে চলছেই.........।।
লিখেছেন লিখেছেন মডার্ন মুসলিম ১৫ মার্চ, ২০১৩, ১১:২৬:০১ রাত
মুক্তিযুদ্ধ -রাজাকার এই নাটকের স্ক্রিপ্ট তৈরী শুরু হয় নব্বইর দশক থেকে। সেই থেকে শুরু করে টিভি-সিনেমায় ব্যাপক প্রচার করে বিগত বিশ বছরে ও কোন সফলতা না পেয়ে সর্বশেষ ঐ সকল নাটকের স্ক্রিপ্টের উপর ভিত্তি করেই আজকের এই ট্রাইবুনাল।
কিন্তু কেন? জাতির কি লাভ ? কোটি কোটি দরিদ্র মানুষের কি লাভ?
কাদের লাভের জন্যে এই বিচার-বিচার খেলা?
বাংলাদেশের কোন গোষ্ঠীটি এই বিচার-বিচার নাটকের মুল হোতা?
বাংলাদেশ অরথনৈতিকভাবে কি লাভবান হচ্ছে এই বিচার-বিচার খেলা থেকে? কত হাজার কোটি টাকা ব্যায় এবং ক্ষতি হচ্ছে দেশের এই বিচারকে কেন্দ্র করে?
নতুন প্রজন্মের মনে আজকে এই প্রশ্ন গুলো বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। আসুন দেখি এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর খুঁজি...।
আমরা যারা নতুন প্রজন্ম, আমরা এতদিন একটি গোলক ধাধার মধ্যে ছিলাম কারন নাটক-সিনেমা এবং ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের কে দারুনভাবে মোটিভেট করা হয়েছে যে, ইসলাম পন্থী বা ইসলামী শাসন ব্যবস্থার কথা যারা বলে বা বলবে তারাই রাজাকার, তারাই যুদ্ধাপরাধী, তারাই স্বাধীনতা বিরোধী, তারাই বাংলাদেশ বিরোধী । আমরাও এতদিন ভালোভাবেই এই ট্যাবলেট গিলেছি। জাতিকে এই ট্যাবলেট সফলতার সাথে গিলানোর বিনিময়ে নাস্তিকদের উস্তাদ বাকের ভাই (আসাদুজ্জামান নুর) এমপি পর্যন্ত হয়ে গেছে। অনেকে মন্ত্রী হওয়া সহ অনেক জাতীয় খেতাবেও ভুষিত হয়েছেন।
যাই হোক তারপর ও আমরা এতদিন ক্ষুধার্ত কাকের মতো অপেক্ষায় ছিলাম কবে এই রাজাকারদের বিচার হবে এবং জাতির ঘাড় থেকে গ্লানি দূর হবে এর মাধ্যমে জাতির সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, কিন্তু ওমা এই কি দেখলাম ......
এতদিন আমরা নাটক-সিনেমা এবং ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়ায় (জনকন্ঠ, মতি আলো গং) দেখতে দেখতে যেটাকে কিছুটা সত্য বলে জানতাম এখন দেখি এটা পুরোটাই সাজানো নাটক। মিথ্যার তেলেসমাতি এবং অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে বিচারের অন্তরালে ইসলামী ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী নেতাদের কে হত্যার এক সুগভীর ষড়যন্ত্র। রাখে আল্লাহ মারে কে......।।
আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভিনদেশী এক মিডিয়ার কল্যানে সব গোমর ফাঁস হয়ে গেলো। আর এই নাটকের যবনিকাপাত ঘটালো British Media The Economist এবং দেশীয় এক সাহসী মিডিয়া আমারদেশ পত্রিকা। একে একে পৃথিবীর প্রায় দুইশতাদিক মিডিয়ায় এই কেলেংকারী প্রকাশিত হইয়ে গেল।
সুতারাং এখন সত্য প্রকাশিত হয়ে গেছে আমরা চিনতে পেরেছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে ইসলামের ও মানবতার শত্রু এরা কারা। এখন সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে গনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার এবং এদেরকে চিরতরে বাংলাদেশ থেকে উতখাত করার।
নতুন প্রজন্ম আজ জেগেছে বাংলাদেশের সাধারন মানুষের উচিত সত্যের পতাকাবাহী ইসলামী শক্তিকে সহযোগিতা করা। কারন মুক্তিযুদ্ধ-রাজাকার নাটক খেলা শেষ। নাস্তিকদের উস্তাদ-শারগিদ সবার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে এখন প্রয়োজন শুধু উন্নত ব্যবস্থা গ্রহন ।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং আব্দুল কাদের মোল্লার একই মামলায় পরস্পর বিরোধী রায়ে এটি এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট এই ট্রাইবুনালের সবকিছুই সরকার কতৃক সাজানো। এমনকি চাক্ষুস কোন স্বাক্ষী ছাড়া পৃথিবীর সকল আইনকে বৃদ্দ্বাংগুলি দেখিয়ে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্দ্বে যে রায় দেওয়া হয়েছে তা বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর সকল বিচার ব্যবস্থাকে কলংকৃত করা হয়েছে পাশাপাশি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। স্কাইপি কেলেংকারীতে সাবেক চেয়ারম্যান নিজামুল হক বলেছেন, সাইদীরটাতো কন মামলাই না, এখানে আইনের তেমন কিছু নেই এবং এটা গ্রাম্য সালিশের মত এরপরও সরকার গেছে পাগল হইয়া তারা সাঈদীর রায় (ফাঁসি) আগে চায়। নতুন চেয়ারম্যান এসে আরেকটু অভিনয় করে পূর্বেকার তৈরীকৃত রায়ই (ফাঁসি) পড়েছেন। আমরা সাধারন মানুষ, আমাদের দাবি একটাই-মিথ্যার উপর দাঁড়ানো এই ট্রাইবুনাল এখনি বাতিল হোক। এই ষড়যন্তের সাথে জড়িত সকল রথি-মহারথিদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা হোক, বিচারকের নামে ইবলিশের দোস্তগুলো যেন বাদ না পড়ে। নতুবা সাধারন জনতা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। তখন কারো রক্ষা হবে না। সরকারের ও রক্ষা হবেনা।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন