আওয়ামী যুদ্ধাপরাধী/রাজাকারদের বিচার কি বাংলার মাটিতে হবে না? এদের ফাসি হবে কবে? শাহবাগে যারা আছে তারা আওয়ামী রাজাকারদের ফাঁসি চায় না কেন? রহস্যটা কি?
লিখেছেন লিখেছেন মডার্ন মুসলিম ১২ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৫২:০৩ সকাল
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার একটি গেজেটের মাধ্যমে আনসার বাহিনীকে রাজাকার হিসাবে নামকরন করে। ঐ সময় রাজাকার বাহিনীর দায়ীত্বে ছিল বর্তমান সময়ের DC, SP এবং OC পদমর্যাদার প্রশাসনিক ব্যাক্তিবর্গ এবং সারা দেশের মেয়র-কমিশনার-মেম্বার-চেয়ারম্যানরাও রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন পাসাপাশি অনেক সিভিলিয়ান লোক ও ছিলেন। এক গবেষণায় দেখা যায় ঐ সময় কমপক্ষে ৯০% রাজাকার ছিল আওয়ামীলীগের লোক (সৈয়দ আবুল মকসুদ, ১৩/১১/২০০৭, প্রথম আলো) । দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করে এবং অন্য রাজাকার যাদের দলীয় খুঁটি খুভ মজবুত ছিল তারা আবার আওয়ামীলীগের সাথে মিশে যায় এমনকি অনেকে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়। অথচ আজকে জামায়াতের নেতাদেরকে বানানো হয়েছে সব বড় বড় রাজাকার। আসলে আওয়ামীলীগ এক আজব মেশিন যে মেশিনের এক দিক দিয়ে রাজাকার ডুকালে আরেকদিক দিয়ে মুক্তিযোদ্দ্বা হয়ে বের হয়। ১৯৭১ সালের বহু রাজাকার আওয়ামিলীগের সেই আজব মেশিনের ভিতরে আছেন । এর মধ্যে অন্যতম একজন স্বীকৃত রাজাকার শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। যেহেতু তিনি রাজাকার থেকে মুক্তিযোদ্ধা তৈরীর মেশিনের ভিতরে আছেন সুতারাং দিলীপ বড়ুয়া ইতিমধ্যে হাফ মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছেন বাকিটা শীঘ্রই হয়ে যাবেন। কারন বাকিটার জন্যে রাজাকার শাহরিয়ার কবির এবং মুনতাসির মামুনের অনুমুতি লাগবে। সেটা হলেই উনি পুর্নাংগ মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাবেন...............। এভাবেইতো ম খা আলমগীর এম পি, সাজেদা চৌধুরী এম পি, আশিকুর রহমান, ডাঃ আনোয়ার হোসেন এম পি (http://www.downvids.net/awami-razakar-287536.html) , খন্দকার মোশাররফ(হাসিনার বেয়াই) এবং নুরু রাজাকার সহ আরো অনেকে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে রাজাকার থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছেন.................. কিন্তু তাদেরকে এখন কেউ রাজাকার বলতে পারবেনা......কোন মুক্তিযোদ্ধাও যদি তাদেরকে রাজাকার বলে তাহলে সেই এখন রাজাকার হয়ে যাবে । ইতিমধ্যে এদেরকে রাজাকার হিসাবে চিহ্নিত করে কাদের সিদ্দিকী (https://www.facebook.com/mohammad.bhuiyan.3#!/photo.php?v=207919039353460&set=vb.384433844978567&type=2&theater), আ স ম রব এবং ড কামালেরা রাজাকার বনে গেছে......।। সুতারাং আপনারাও সাবধান.........।
ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন রাজাকার/ যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা :
১. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। লেবার মিনিষ্টার। হাসিনার বিয়াই । ৭১ সালে তার বাড়িতেই পাকবাহিনীর ক্যাম্প ছিলো। মোশারফের বাবা ছিলেন ফরিদপুরের শান্তি কমিটিরচেয়ারম্যান। ২. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের ৯ মাস ময়মনসিংহে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) ছিলেন। পাকিস্তান রক্ষার জন্য রাজাকার বাহিনীর নিয়োগ কর্তা ছিলেন। ৩. এইচ এন আশিকুর রহমান। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ। বর্তমানে রংপুর-৫ আসনের এমপি এবং অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে আশিকুর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা। ৪. সাজেদা চৌধুরী। সংসদ উপনেতা। পাকিস্তানের গেজেট করা রাজাকার। ৭/৮/১৯৭১ তারিখের পাকিস্তান সরকারের গেজেটবদ্ধ। ৫। ডাঃ আনোয়ার হোসেন, মঠবাড়িয়া আওয়ামীলীগের বর্তমান এম পি, ১৯৭১ সালে তার বাবা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন এবং সেও রাজাকার হিসাবে অসংখ্য লোককে হত্যা করে (http://www.downvids.net/awami-razakar-287536.html ) ৬. এ ছাড়া ১৯৯৬ এর কেবিনেটে জামালপুরের নুরু রাজাকারকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বানিয়ে ছিলো হাসিনা।
৭. বর্তমান শিল্প মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এই রাজাকার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে বলেছিল দুই কুত্তার কামড়া-কামড়ি...।। এখন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাচ্ছেন মহাজোটে গিয়ে...।।
সত্যি আজব দেশ ...।আজব মানুষ আমরা.. কারন আমরা কেঊ সত্যটা জানতে চাই না...। যার কারনে এই একটা ইস্যুতে দেশে এক ভয়াবহ অরাজগতা বিরাজ করছে...
বিষয়: বিবিধ
১৩১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন