৭১ সালের বিহারী কাদের আর আব্দুল কাদের মোল্লা যদি একব্যক্তি না হয় তাহলে জাতির দায় মুক্তির জন্য নিন্মোক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিচার হবে না কেন?
লিখেছেন লিখেছেন মডার্ন মুসলিম ২৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:০২:৫১ রাত
আজ সুষ্পষ্ঠভাবে প্রমানিত যে, ৭১ সালের কসাই কাদের (বিহারী) আর রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ডের স্বীকার আব্দুল কাদের মোল্লা এক ব্যক্তি নন। নিচের ২টি ডকুমেন্টারিতেই সকল প্রমান রয়েছে।
Documentary 01: https://www.facebook.com/photo.php?v=608239299249733&set=vb.375125315894467&type=2&theater
Documentary 02: http://www.youtube.com/watch?v=8GO_wY2h5Uc
সুতারাং অন্যায়ভাবে নিরাপরাধ একজন বুদ্ধীজীবিকে হত্যার দায়ে যারা অপরাধী তাদের বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে হতে হবে। যদি ৪২ বছর আগে সংগঠিত অপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল হতে পারে (যদিও ৭২-৭৩ সালে একবার বিচার হয়েছে) তথাকথিত বুদ্ধীজীবিদের দাবি অনুযায়ী শুধুমাত্র জাতিকে দায়মুক্ত করার জন্যে এই বিচার, তাহলে অন্যায়ভাবে আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যার দায়ে কেন নিন্মোক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিচারের মাধ্যমে জাতিকে দায় মুক্ত করা হবে না?
১. শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যগন যারা রাজনীতিতে সক্রিয়
২. আওয়ামী লীগ ও তাদের সাথে জোটবদ্ধ দলের এমপি, মন্ত্রী ও অন্যান্য নেতারা
৩. ট্রাইবুনালের সাথে সংস্লিষ্ট বিচারপতি, প্রসিকিউটর, তদন্তকারী সংস্থা সহ অন্যান্যরা
৪. গাদানিক কমিটির নেতারা (শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, আনোয়ার হোসেন, জাফর ইকবাল গং)
৫. সুশীল সমাজের নামে ঐসকল কুশিল ব্যক্তিরা যারা এই অবৈধ ট্রাইবুনালের পক্ষে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে টক টক করেছে
৬. গণজাগরন মঞ্চের নামে মহাজোটের বি-টিম হিসাবে যারা লিড দিয়েছে এবং জাতিকে বিভক্ত করার মাধ্যমে নতুন ফ্যাসিজমের জন্ম দিয়েছে
৭. গ্লোব-জনকন্ঠ গং যারা প্রথম যুদ্ধাপরাদের ভুয়া প্রতিবেদন করে যার ধারাবাহিকতায় আজকের এই ক্যাংগারু ট্রাইবুনাল।
৮. ট্রান্সকম গ্রুপ-প্রথম আলো/ডেইলি স্টার গং যারা পতিত জনকন্ঠের ভুয়া রিপোর্টকে আরেকটু তেল-মশলা দিয়ে নতুন করে নিখুত জালিয়াতি এবং ধুর্তামির মাধ্যমে লজ্জাহীন প্রোপাগান্ডা চালিয়ে অবৈধ ট্রাইবুনাল থেকে জারজ রায় বের করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল
৯. Channel I, ATN, 71 TV, Independent TV সহ আরো কিছু ভারতীয় দাস মিডিয়া যারা জনকন্ঠ এবং প্রথম আলো গংদের ভুয়া প্রতিবেদনগুলোর সাথে আরো কিছু ডিজিটাল ছবি এবং ভিডিও জুড়ে দিয়ে বিভিন্ন নাটক সিনেমা বানিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে।
১০. দেশে বিদেশে বিভিন্ন মিডিয়া এবং সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ত্ব যারা যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন তৈরিতে সর্বাত্বক সহযোগিতা করেছে।
মীমাংসিত একটি বিষয়কে পুনর্জীবিত করে ট্রাইবুনাল ইস্যুতে উপরোক্ত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান আজ উন্নয়নশীল একটি দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করেছে সুতারাং বর্তমান এবং বভিষ্যত প্রজন্ম এই ভারতীয় দাসদেরকে কখনো ক্ষমা করবেনা।
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৩ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাধারন মানুষ আজ দমবন্ধ করা এক বিভীষিকায় বসবাস করছে - আর এর হাত হতে নিস্তারের জন্য চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হচ্ছে।
এই পাপী ও ঘৃন্য মহিলার রণমূর্তি - সারা বাংলায় আজ হাজার হাজার মানুষের চিন্তা চেতনায় যেমন পরিবর্তন আনছে তেমনি এর ডিমাইজ ও হিউমিলিয়েশান দেখবার প্রতিক্ষায় প্রতিনিয়ত আগ্রহী মানুষের সারি ও বাড়ছে।
আল্লাহ কাদের মোল্লাকে বেহেস্ত নসীব করুন আর যে সকল মুসলমান এ হত্যাকান্ড হতে তাকে বাচাতে কিছু করতে পারেন নি - তাদের কে আপনাকে চেনার জানার এবন আপনার নির্দেশিত পথে আমল করার শক্তি আরো বাড়িয়ে দিন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
মন্তব্য করতে লগইন করুন