ক্রসফায়ার বা তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে দেশগড়ার আগামীদিনের আদর্শিক নেতৃত্বকে যারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করছে তাদের চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত হওয়া উচিৎ নয় কি?
লিখেছেন লিখেছেন মডার্ন মুসলিম ২৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:৩২:১৬ রাত
আজ বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চল থেকে একটি খবরই আসছে প্রতিনিয়ত, তাহল ক্রসফায়ার বা তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধ, যদিও স্থানীয় মানুষ যুদ্ধতো দূরে থাক প্রতিপক্ষের কোন বাহিনীও দেখতে পাচ্ছে না বড়জোর রাতের অন্ধকারে একটা বা দুটা গুলির শব্দ শুনছে আর সে গুলিতে অবশ্যই একজন নিরাপরাধ মানুষের জীবন যাচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন পরিকল্পিতভাবে ক্রসফায়ারের নামে নিরপরাধ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যার ফলে দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে পাশাপাশি নানান প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে যার মধ্যে অন্যতম কিছু প্রশ্ন...
১) ক্রসফায়ারের নামে যাদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে তাদের আসলে পরিচয় কি?
২) ক্রসফায়ার বা তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে যাদেরকে প্রকাশ্যে দিনের আলোতে বাড়িঘর অফিস আদালত বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ধরে নিয়ে রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হচ্ছে আসলে তাদের অপরাধ কি? তারা যদি অপরাধী হয়ে থাকে তবে কেন তাদের জানাযায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামছে?
৩) এই প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র মধ্যম বয়সের (২৫-৪০) তরুন নেতাদেরকে কেন হত্যা করা হচ্ছে?
৪) সরকারকে এইভাবে দেশের উচ্চশিক্ষিত এবং ভবিষ্যত আধুনিক ও উন্নত দেশগঠনের কারিগরদেরকে হত্যার লাইসেঞ্চ কে দিয়েছে? বাংলাদেশের প্রচলিত আইন আদালত কি এই হত্যাকান্ডের বৈধতা দিয়েছে?
৫) জাতিকে মেধাবী ও আদর্শিক নেতৃত্বশুন্য করার এইরকম জাতি বিধ্বংশী হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে দেশের তথাকথিত মানবধিকার সংস্থা, সুসীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী শ্রেনী, বেশিরভাগ মিডিয়া এবং উচ্চ আদালত নীরব কেন? নাকি এদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উৎসব চলছে?
.............যারা দেশকে ভালবাসেন, দেশের কল্যান চান এবং এই নারকীয় হত্যাকান্ডের স্বীকার আপনিও যাতে না হন তাদের সবার উচিৎ উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করা এবং এই রাস্ট্রীয় হত্যাকান্ড বন্ধের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা।
অচিরেই এই হত্যাকান্ড বন্ধ না হলে মনে রাখবেন আজ অমুক মায়ের বুক খালি হচ্ছে, অমুক বোন বিধবা হচ্ছে, অমুক সন্তান এতিম হচ্ছে কাল আপনার মাও সন্তান হারাতে পারে, আপনার স্ত্রীও বিধবা হতে পারে, আপনার সন্তানও এতিম হয়ে যেতে পারে এবং এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
সুতারাং এই নৃশংস হত্যাকান্ড বন্ধের জন্য প্রাথমিকভাবে যে কাজটি করা দরকার তাহলো যৌথ বাহিনী বা র্যাবের নামে যারা বাংলাদেশের যে প্রান্তেই এই হত্যাকান্ডে অংশ নিচ্ছে তাদের পরিচয় ছবিসহ জাতির সামনে তুলে ধরা এবং ব্যাপকভাবে প্রচার করা যাতে এদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ে এবং খুনিদেরকে সবাই চিনতে পারে যাতে অন্যরা সতর্ক হতে পারে পাশাপাশি আন্তর্যাতিক মিডিয়াতে প্রচারের ব্যবস্থা করা।
বিষয়: বিবিধ
১১২৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন