আওয়ামীলীগের শোক দিবসে পরিবর্তনঃ ১৫ আগস্টের পরিবর্তে ১৫ জুলাই...
লিখেছেন লিখেছেন মডার্ন মুসলিম ১৬ জুলাই, ২০১৩, ০৮:১৩:৪৯ সকাল
১৫ জুলাই ২০১৩ সালে ট্রাইবুনাল ৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যে রায় প্রদান করেছে তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে।
কারন আওয়ামীলীগ এবং বামপন্থীরা মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবি নামক পরজীবিদের মাধ্যমে ৭১ থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশীদেরকে বিশ্বাস করাতে বাধ্য করেছে যে,
১. গোলাম আযম হলো রাজাকার প্রধান, ৩০ লাখ লোকের খুন এবং ২ লাখ নারী ধর্ষনের নির্দেশ দাতা এবং চরম জঘন্য এক লোক।
২. জামায়াত শিবির মানেই রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, স্বাধীনতা বিরোধী যেহেতু গোলাম আযম এই দলের প্রধান
জামায়াত শিবিরের মত একটি সৎ, যোগ্য এবং আদর্শিক রাজনৈতিক দলকে ধাবিয়ে রাখার কৌশল হিসাবে আওয়ামীলীগের মুল রাজনৈতিক হাতিয়ার ছিল এই একটি মাত্র ইস্যু এবং এই একটি মাত্র ইস্যু দিয়ে আওয়ামীলীগ গত ৪২ টি বছর বাংলাদেশ নামক রাস্ট্রটিকে চুষে খেয়েছে ঠিক জোকের মত। সুতারাং তাদের তৈরি করা ট্রাইবুনাল, প্রসিকিউটর, তাদের পাচাটা গোলাম বিচারক দিয়েও যে রায়টি দিয়েছে ( বিচারক স্বং বলছেন অপরাধের কোন প্রমান নেই আবার শাস্তিও দিলেন ৯০ বছর এই যেন মামুর বাড়ির আবদার) তাতেই দিবালোকের মত স্পস্ট হয়ে গেছে যে জামায়াত বা জামায়াতের কোন নেতা যুদ্ধাপরাধী বা রাজাকার ছিলেন না। সবই ছিলো সাজানো এবং মিথ্যা প্রপাগান্ডা। সুতারাং ১৫ জুলাই দল হিসাবে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটল এবং আগামীতে আওয়ামীদের ১৫ আগস্টের পরিবর্তে ১৫ জুলাই শোক দিবস পালন করতে হবে অথবা ১৫ আগস্টের পাশাপাশি ১৫ জুলাই ও শোকদিবস পালন করতে হবে, কারন ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছিল আর ১৫ জুলাই'২০১৩ দলের।
বিষয়: বিবিধ
১৭৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন