মুসলিম বিরুরোধীদের ঐক্য,মুসলিম বিশ্বের অনৈক্য
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল গাফফার ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০১:৫৪:২৭ রাত
দু সপ্তাহ ব্যাপী মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য চলা সহিংসতায় সেই দেশের সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গাবিরোধী কঠোর অভিযানে অন্তত ৩০০০ হাজার রোহিঙ্গা নিহত ও অগণিত আহত হয়েছে । জাতিসংঘের হিসাবে প্রায় ৩ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্টি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এরিমধ্য । বিশ্ব মিড়িয়ায় রোহিঙ্গা নির্যাতনের ভয়াবহতার খবরে বিভিন্ন মুসলিম দেশ সোচ্চার হলেও বিশ্বে মানবিধিকার সংগঠন গুলো রহস্যজনক চুপ বা দ্বায় সারা মন্তব্য যা রোহিঙ্গা নির্যাতিত জনগোষ্টির জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনেনই বরং সুচিকে করেছে আরো অপ্রতিরুদ্ধ , চলমান সঙ্কটে বেপুরুয়া সুচি বিশ্বে নেতাদের বড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছেন । তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেসিপ এরদোগান ফোন করে রোহিঙ্গা চলমান সমস্যার উদ্বিগ্নর কথা জানিয়েছেন ! এছাড়াও ইন্দোনিশিয়ার পরারাষ্ট্র মন্ত্রী রেতনো মারসুদি সংক্ষিপ্ত সফরে মায়ানমার হয়ে বাংলাদেশে আসেন । চলমান রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার দেশ তীব্র ক্ষোপ প্রকাশ করে ,যথাসার্ধ বাংলাদেশের পাশে থাকা সহ মায়ানমারের সুচিকে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের জুড়ালো আহবান জানান । এছাড়াও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক অংসান সুচিকে ফোন করে বিদ্দমান সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের তাগিদ দেন যা মানতে অংসান সুচি অসম্মতি জানান । ছোট্ট দেশটিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সীমিত হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য এত বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্টিকে পুনর্বাসন করা অসম্ভব , কাজের অভাবে যেকোন অপরাধমূলক অপকর্মে জুড়িয়ে যেতে পারে , এবং উগ্রবাদী জনগোষ্টি মিসগাইড করে এই অঞ্চলকে অস্থির করতে পারে যা ভারতের জন্যও সুখকর নয় । বর্তমান সরকার এহেন সমস্যা বুঝতে পেরে আন্তর্জাতিক বিশ্ব মোড়লের কাছে আহবান জানান এবং শান্তি পূর্ণ সমাধান বের করে মায়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছেন । দক্ষিণ এশিয়ায় বড় দেশ চিন ও ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু তারা স্বাধীনতার পরবর্তী আমাদের অর্থনীতিতে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ বিনিয়োক করেছেন । বাংলাদেশের এই দূরদিনে তাদের নীরবতা বাংলাদেশের জন্য অপ্রত্যাশিত । মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান বাংলাদেশের আকাশ সীমায় একাধিক বার প্রবেশ কে যা অস্কানিমূলক। এহেন পরিস্থিতে ভারতের অকাট্য সমর্থন সুচিকে আরো বেপুরুয়া অনড় রেখেছে ।পাকিস্তানি জুলুমবাজ শাসক গোষ্টির জুলুম নির্যাতন থেকে বাংলাদেশী মুক্তিকামী মানুষের পাশে থেকে ভারত যে নজির স্থাপন করে তা আজ তার দ্বি নীতির কারণেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে । ভারত কী সত্যি সত্যি আমাদের পাকিস্তানির জুলুম , অত্যাচার থেকে বাঁচতে সমর্থন দিয়েছিল । দিলে এখন কেন মিয়ানমায়ের অবহিলিত জনগোষ্টি রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলছেন না ? চলমান সহিংসতায় মধ্য নরেন্দ্র মোদীর মিয়ানমার সফর দুদেশের যৌথ ঘোষণায় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়ে মুখ খুলেন নি , আরো অকাট্য সমর্থন সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে আহত করেছে । আজ মানবতা কোথায় , বিধবস্ত মানবতা । মুসলমানদের এহেন দিনে যাদের সোচ্চার হওয়ার কথা ছিল । সৌদি আরবের পবিত্র দু নগরীর খাদেম তারাও মানবতাকে করেছে কলুষিত । আজ ইসলাম রক্ষার নামে গঠিত ওআইসি ,সৌদি আরব ইসলামি দেশগুলো সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী , যেটা সমস্ত মুসলিম উম্মার উপকারার্থে আসা উচিত ছিল সেটাও আজ উম্মদের জন্য আশঙ্কা ফেরকাগত ( দল-মত ) বিদ্বেষ । এই সংগঠন গুলো শত্রুদের চেয়েও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বেশি কথা বলে । আজ সৌদি আরবের দৈনিক পত্রিকা আল-সার্ক আল-আওসাতে এক নিবন্ধে রোহিঙ্গা ইস্যুতে অংসান সুচির পক্ষেই বিশাদগার করেছে । যা মুসলিম উম্মার জন্য দীর্ঘ অশনিসংকেত , যার ফল হিসাবে দেখতে পাচ্ছি , ফিলিস্তিন , কাশ্মীর , ইরাক , বিশ্বে অগণিত নির্যাতিত মুসলমানরা আজ কঠিন বিপদে , মুসলিম উম্মার ঐক্য সম্মিলিত চেষ্টায় পারে এসব সমস্যার সমাধান করতে
বিষয়: বিবিধ
১০৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন