@@-প্রতিশোধ-@@
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল গাফফার ০৪ মার্চ, ২০১৬, ০২:৪৯:২৮ দুপুর
শাখা নদীর তীর ঘেঁষে ওই যে পাহাড়ের মত উঁচু বাড়িটি দেখা যায়, ওই বাড়িটিই আকাশদের। তার দক্ষিণ পাশ দিয়ে ছোট্ট একটু সমতল জায়গা, সেখানেই সুমিদের বাড়ি। এই গ্রামে সব মিলিয়ে ২টি স্কুল। তার মধ্য ওই স্কুলটিই আগের, যে স্কুলে আকাশ সুমি পড়ে। সেই কবে থেকে জানাশোনা। যেদিন আকাশ দেশ ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছে তার একদিন আগেও সুমিকে বলে এসেছে। কিন্তু জানা হয়ে উঠেনি আকাশের জন্য সুমি অপেক্ষা করবে কি না? তবু মনের কোণে আশা, লেখাপড়াটা যদিও শেষ হলো না আর্থিকভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলে হয়তো সুমির বাবা-মা রাজি হয়ে যাবেন, সুমিও দ্বিমত করবে না। সেই থেকে শুরু আকাশের জীবনে প্রবাস নামক নতুন অধ্যায়ের। দিন যায়, রাত যায়, মাস যায়, যায় বছরও। রাতদিন কাজ আর কাজ। কাজ করতেই যেহেতু বিদেশ-বিভুইয়ে আসা, তাই কাজছাড়া থাকা মানেই সবদিকের লস। বিরামহীন কাজের ব্যস্ততা আর প্রবাসের অজস্র ঝড়ঝাঁপটার মাঝে সুমিকে নিয়ে আর ভাবা হয় না আকাশের। ওদিকে ওর লেখাপড়া প্রায় শেষের পথে, পাশাপাশি কমিউনিটি কিনিকে চাকরিও পেয়েছে সুমি। কয়েক বছরের ব্যবধানে সুদিন ফিরেছে আকাশের। কষ্টের বিনিময় পেয়েছে আর্থিক অসচ্ছলতা কাটিয়ে বাড়ি গাড়ি সবই হয়েছে এখন তার। এতটা বছর পরেও সুমিকে পাওয়ার জন্য মনটা তার ব্যাকুল।
নিজেকে অনেক বুঝানোর পরেও যখন মন যখন বুঝেনি তখন অনেক কষ্ট করে সুমির মোবাইল নাম্বার যোগাড় করে আকাশ। নিজেকে সংযত করতে না পেরে একদিন কথাও বলে সুমির সাথে। ব্যস ওই পর্যন্তই। তাদের মধ্য কথোপকথন হয়েছিল সেই টুকুই। আকাশের বন্ধুদের অনেকেই এখন বিয়ে করে সংসারী হয়েছে। তাদের কেউ কেউ আবার ভালো সরকারি চাকরিও করে। ওদের কথা ভাবতে ভাবতে সুমনের কথা মনে পড়ে আকাশের। কেন জানি বারবার সুমনই চলে আসছে চোখের সামনে। প্রবাসে আসার আগে সুমনের সাথে আকাশের বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল। সুমীকে পছন্দ করার ব্যাপারটা অজানা ছিল না সুমনের। গরীব ঘরের ছেলে সুমন, তাই লেখাপড়া শেষ করেও অনেকদিন কোনো চাকরি পায়নি বলে খবর পেয়েছিল আকাশ।
তবে শেষ পর্যন্ত নাকি খেটে খুটে কোনো এক কোম্পানিতে জয়েন করেছে কয়েক মাস আগে। ফেসবুকে খুঁজতে খুঁজতে একদিন সুমনকে পেয়ে গেল আকাশ। সেখানে বিয়ে শাদীর কথা হলে সুমন বলে, বেকার ছেলের কাছে মেয়ে দেবে। আকাশ সুমনকে সাহস দিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সুমন বলে, তাহলে তুমি চলে এসো তোমাদের পছন্দ মতই বিয়ে করব। এ কথা ওকথার এক পর্যায় আকাশ সুযোগ বুঝে সুমিকে বিয়ে করতে বলে! সুমি সুমনেরও জানা শোনা। আকাশের বিষয়টি ছাড়াও প্রাইমারিতে তারা এক সাথেই ছিল। পাশের গ্রামে সুমিদের অনেক জমিজমা থাকায়, প্রাইমারী শেষে তারা সেই গ্রামেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কিন্তু আকাশের এই প্রস্তাবে সুমন ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। বলে, সুমিকে নিয়ে তুমি সারাজীবন কবিতা লেখলা, আজ সেই সুমিকে আমার হাতে তুলে দিতে চাচ্ছ কেন বন্ধু? আকাশ জোরাজুরি করতে থাকলে সুমন বলে, আমাদের পারিবারিক অবস্থা তেমন ভালো না। আমার কাছে সুমিকে বিয়ে দিবে কী দেখে? আকাশ বলে, বন্ধু! চিন্তা করিস না। তোর সব ব্যবস্থা আমি করবো। তুই শুধু রাজি হয়ে যা। আমার ভালোবাসার মানুষটা তোর কাছে থাকলে আমি অনেক শান্তি পাবোরে বন্ধু। তোর আর আমার মাঝে কোনো তফাৎ আছে, বল? সুমন বলে, না ঠিক আছে! তারপরেও আমার জন্য তুই এত কিছু কেন করবি? আমি যে তোর কাছে চিরঋণী হয়ে যাবো। আকাশ বলে, বন্ধু তোর সব ঋণ শোধ হয়ে যাবে সুমিকে বিয়ে কর তারপরে বলব। এরপরই আকাশ শুরু করে তার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। প্রথমেই সুমনের ঘরদুয়ারের কাজ, আকাশ দেশে আসার আগেই সব কিছু শেষ হওয়া চাই। এদিকে যত টাকা লাগুক ভালো একটি চাকরি খোঁজ করতে বলে সুমনকে। কিন্তু সেটাতেও সফল হলো না সুমন। ওদের ওয়ার্ডে কোনো স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়নি এখনও।
সবার প্রাণের দাবি ছিল, এই ওয়ার্ডেও একটি স্কুল হোক। কিন্তু পর্যাপ্ত জমি না থাকায় স্কুলের বরাদ্দ এসেও ফিরে গেছে। এ কয় বছরে অনেক জমি-জমা করেছে আকাশ। তেমনি একটি জমি ছিল রাস্তার পাশেই। ওই জমিটিই স্কুলের জন্য দিয়ে দিল আকাশ। শেষ পর্যন্ত স্কুল প্রতিষ্ঠিত হোল। নিয়ম আছে, জমিদাতা অগ্রাধিকার সূত্র শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারে। সেই হিসেবই সুমনকে ওই স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হল। সব ঠিকঠাক করার ৬ মাস পর সুমির জন্য প্রস্তাব গেল সুমনদের পক্ষ থেকে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হলো সুমির বাবা-মা, রাজি হলো সুমিও। বিয়ের তারিখও ঠিক। আকাশের দেশে আসার হিসাব মাথায় রেখেই তারিখ ফেলেছে সুমন। কিন্তু বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসতেই আকাশ জানায়, জরুরি কাজ পড়ে যাওয়ায় কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে তার দেশে আসতে। তবে সুমনকে অনুরোধ করে কোনো অবস্থাতেই যেন বিয়ের তারিখ না পিছায়। সে কথা রাখতেই নির্দিষ্ট তারিখে ধুমধামের সাথে সম্পন্ন হয় সুমন-সুমির বিয়ে। আকাশ ছাড়া সুমনের কাছে পুরা বিয়ে অনুষ্ঠানটাই কেমন যেন লাগছিল, তবুও আকাশ ছাড়াই সুমিকে নিজের ঘরে তোলে সুমন। সুমন এ ব্যাপারে কারো কাছে মন খুলে কিছু বলতেও পারছে না। কারণ আকাশ আগেই বলে রেখেছে সুমনকে, ওর আর আকাশের বিষয়গুলো যেন কোন কাক-পক্ষীও না জানে। কয়েক সপ্তাহ পর আকাশ দেশে ফিরে। আকাশের কথামতই সুমন কাউকে বিষয়টি জানায়নি। বরং নিজেও কিছু কাজের কথা বলে ঢাকায় যায় আকাশকে নিয়ে আসতে। সেখানে কথাবার্তার এক পর্যায়ে সুমন আকাশকে বলে, বন্ধু! বিয়ে শাদীর ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নিলি? আকাশ একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, বিয়ে নিয়ে আর ভাবতে চাই না দোস্ত। তোরা সুখে থাক। এতেই আমার সুখ। আকাশের এসব কথা শুনে সুমন ব্যথিত হয়ে বলে, বন্ধু! আমার জন্য এত কিছু করলি। আর তোর জন্য কি আমি কিছুই করতে পারবো না? আকাশ বলে, এভাবে বলিস না দোস্ত। তুই আমার কথা রেখেছিস, এ জন্য আমি তোর কাছে অনেক কৃতজ্ঞ।
সুমন আবেগাপ্লুত হয়ে বলে, বন্ধু! তুই আমাকে নতুন জীবন দিয়েছিস। আমি যেন তোর বিশ্বাস ধরে রাখতে পারি। সেই রাত্রেই বাড়ি ফিরে সুমন। আকাশ ঢাকায় থাকায় ১০ দিন সুমন লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলে। কিন্তু সুমির চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। এক পর্যায়ে সুমির সন্দেহ বাড়তে থাকলে এই নিয়ে মন কষাকষি, মান অভিমান হয়ে যায় কয়েক দফা। অবশেষে সুমন স্ত্রীকে সব কথা খুলে বলতে বাধ্য হয়। বলে, বউ! আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম আমার বন্ধু আকাশকে আনতে। সে তোমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো ! তুমি ওকে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ও আমাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যাতে তোমার আব্বু- আম্মু আমার কাছে বিয়ে দেয়। আকাশ চাইছিলো না সব কিছু তুমি জেনে যাও। তাই আমরা একটু গোপনেই যোগাযোগ করছিলাম। সুমনের এসব কথা শুনে সুমির স্বপ্নের রাজ্যে নিমেষেই যেন সুনামির আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। আকাশ কেন শেষ পর্যন্ত এমন করছে সুমির বুঝতে বাকি নেই। আকাশ সুমিকে নিয়ে অনেক কবিতা লিখেছিল। সেগুলো পরে বই আকারেও বেরিয়েছে। বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার পরও আকাশের কবিতার বইয়ের একটি কপি সুমিকে গিফট পাঠিয়ে ছিল তার বড় আপুর মাধ্যমে। সেই দিন বইটি না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিল সুমি। বিষয়টি আকাশকে অনেক ব্যথা দেয়। আর যাই হোক, সুমির মত শিক্ষিত মেয়ের কাছ থেকে আকাশ কিছুতেই এটি আশা করেনি। আকাশ সে সময় অনেক আন্তরিক ছিল সুমির প্রতি। বিনিময়ে সুমির সেই আচরণই বোধ হয় আকাশকে এ কাণ্ডটি করতে বাধ্য করেছে। ১০ দিন পর এক বিকেলে আবার সুমনের দেখা হয় আকাশের সাথে। আকাশকে অনুরোধ করে, বন্ধু! আমার বাসায় কখন যাবি? সুমিকে দেখবি না? আকাশের 'না' সুমনকে আরো ব্যথাতুর করে তোলে। বাড়ি ফিরে আসার পর কয়েক দিন যাবত সুমনকে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। সবাই প্রশ্ন করে, কী হয়েছে তোর! তোকে বিমর্ষ লাগছে কেন! বউয়ের সাথে কিছু হয়েছে নাকি? আমার কিছুই হয়নি, আমি ভালো আছি বলে সবাইকে পাশ কাটিয়ে যায় সে। সপ্তাহ দুয়েক পর আকাশ একদিন ফোন করে সুমনকে জানায়, ছুটি কম। তাই এই মাসের শেষে যে কোনো দিন সে চলে যাবে। অনেক চেষ্টা করে সুমন নিজেকে স্বাভাবিক করে তোলে। সুমনকে আর আগের মত উদ্বিগ্ন উৎকণ্ঠায় থাকতে না দেখে সুমিও স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করছে। সকালে সুমন বলে, বউ শুনছ আজ বিকালে সদরে যাবো মার্কেট করতে। সেজেগুঁজে থেকে। সুমি অবাক হলেও সুমনের কথা মতই প্রস্তুতি নেয়। এদিকে আগেই সদরে পৌঁছে হোটেলে রুম বুক করে আকাশ। অপেক্ষা করতে থাকে সুমন ও সুমির জন্য। সুমন সিএনজি নিয়ে চলে আসে হোটেলের সামনে। হোটেলে ঢুকতে দেখে সুমি বলে, কী ব্যাপার! হোটেলে নিয়ে আসলা কেনো? আরে আসোই না! আকাশের বুক করা রুমে নক করতেই খুলে যায় দরজা। চোখ উঠাতেই সামনে আকাশকে দেখে সুমি। অনিচ্ছা সত্তে¡ও হাই-হ্যালো করে দুজন। কথাবার্তা চলার মধ্যেই- তোমরা বসে কথা বলো আমি একটু বাইরে থেকে আসছি, বলে সুমন চলে যায়। অনেকণ কথাবার্তার পরেও সুমন না ফিরলে সুমি তার ফোনে কল দেয়। দেখা যায় ফোন বন্ধ। উদ্বিগ্ন উৎকণ্ঠায় সুমি ভয়ে কাঁপতে থাকে। চিন্তা করতে থাকে সুমনের জন্য। কিন্তু আকাশ বিষয়টিকে পাত্তাই দেয় না। বরং সুমিকে বলে, কেন আমি আছি না? আজ রাত না হয় আমার পাশেই ঘুমাবে। আকাশের চোখে মুখে অস্বস্তিকর ও ভীতিকর কী যেন দেখতে পায়। ভয়ে সুমির শরীর নিস্তেজ হতে থাকে। ওই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। আকাশকে আজকাল দেখা যাচ্ছে না। স্কুল মাঠে যেখানে সব সময় আড্ডা দিত আকাশ, সেখানেও তাকে খোঁজ করে সুমন। কয়েক জন পুরোনো সহপাঠী ওখানে উপস্থিত, শুধু আকাশ নেই। তাদের সুমন জিজ্ঞেস করে আকাশের সম্পর্কে। এতে হাসাহাসি পড়ে যায় তাদের মধ্যে। কেউ কেউ সুমনের দিকে কেমন দৃষ্টিতে যেন তাকায়। একজন তো বলেই বসে, আকাশকে তো খোঁজ করবেই। আকাশের অর্থকড়ি দেখে কি আর মন মানে? কিন্তু তাই বলে শেষ পর্যন্ত নিজের বউকে দিয়ে স্বার্থ হাসিল করলা সুমন ভাই! হতভম্ব হয়ে পড়ে সুমন। এসবের মানে কী? বন্ধুরা বলে উঠে, মানে আবার কী ? জানো না কিছুই। তোমার বউ আকাশের সাথে রাত কাটায়। সুমন এবার বলে, কী বলছিস এসব? বন্ধুরা জবাব দেয়, আমরা আর বলি কী? বলে তো ভিডিওতে। ওই ভিডিওটা এখন সবার মোবাইলে। নিমেষেই সুমন বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। সমাজে এখন সে মুখ দেখাবে কী করে! আকাশের প্রতিশোধের অনলে ইমেজ সঙ্কটে সমাজে সুমন,সুমির জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে ...........।
বিষয়: বিবিধ
১৬২১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এইসব কথা শুনলে আমার ঘেন্না ধরে যায়! একটা বিয়ে করার জন্যইকি টাকা পয়সার মালিক হতে হবে? আর বেকার হয়ে মন্ত্রীর মেয়ে করার স্বপ্ন দেখার এতো স্বাদ হয় কেনো? আপনার অবস্থা যেমন, তেমনি একটি ঘরের মেয়েকে বিয়ে করাতে অসুবিধা কোথায়? টাকা পয়সা, অবস্থা সম্পন্ন হওয়ার চেষ্টার পেছনে যদি একমাত্র কারণ ভালো জায়গায় বিয়ে করা, তাহলে এই জাতীর কাছে দেশ ভালো কিছু আসা করতে পারেনা। আপনি ধনী ঘরের মেয়ে বিয়ে করতে না পারেন, এমন মেয়েকে বিয়ে করুন না, যে ধনী নয়, অন্য সব দিক থেকে আছে।
এই জাতীয় কথা শুধু সিনেমাতেই শোভা পায়, বাস্তবতার সাথে এর লেশমাত্র সম্পর্ক নেই। এটা কখনোই সম্ভব নয় নিজের মনের মানুষকে অন্যের হাতে স্বাচ্ছন্দে তুলে দেয়া। কোন পতিতার খদ্দরেও তার বউকে অন্যের হাতে সপে দেবোনা। ওই যে বলেবা, আমার বোন তো তোমারও বোন, আমার মা তোমারও মা, কিন্তু আমার বউ তোমার বউ না!!!!!
শেষের দিকটা ঠিক বুঝলাম না। সুমন কোথায় চলে গেলো আর কেনইবা গেলো। পূর্বের প্রেমিকের সাথে অন্তরঙ্গ হয়ে কথা বলতে দশ মিনিট সময়ই তো যথেষ্ঠ, এতো সময় দিয়ে সুমন কোথায় হারিয়ে গেলো, আবার লোকের মুখে শুনে অবাকও হয়, তারতো মরা উচিৎ! আর পিজিক্যাল রিলিশন যদি হয়েও থাকেও তা তো দুচারমিনিটের ব্যাপার নয়!!!! কিছুই মাথায় ঢুকছেনা!
এই লেখাটা মনে হয় আগেও একবার দিয়েছেন, হতভাগার খোঁচা খেয়ে ……..
এটাকে আমি প্রতিশোধ বলব না এখানে মেটার তো কোন দোষ পেলাম না ছেলেটা মেয়েটা একতরফা ভালবাসত এটা তার আধিকার আছে ,মেয়েটার না বলার অধিকার ও আছে ।
তবে ভাইয়া আপনি ঠিক ই বলেছেন সুমন কেন এমন করল !!!
আসলে সবাই তো আর একই রকম হয় না, ভালো মন্দ মিলেই পৃথিবী।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
প্রতিহিংসাপরায়ণ সমাজ ও তার জিম্মীদের কাহিনী ফুটে এসেছে লিখায়! সমাজ মুক্ত হোক এই দোআ! আপনার লিখনী আরো সমৃদ্ধশালী হোক!
মন্তব্য করতে লগইন করুন