@@প্রবাসীর হাসি কান্না @@
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল গাফফার ০৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ০২:০৩:৪৮ রাত
ভিন্নতায়--------আর---------------------ভিন্ন------------স্বাদের
কত--------------------কিছুই--------------------------দেখি
থাকা ---------হলো======================দেখা-------------হলো
হলো-----==============অনেক=============------------- দিন
কাজের--------ফাঁকে---------------------ক্লান্তি-------------সরে
পায়না------------------কোনও------------------------- মিল
কাজের==================ধ্যানে==============মায়াহীনতায়
তবুও===================থাকতে================= হয়
কারণ!!!======জীবন=====মানে============যুদ্ধ====== করা
মনে----------নিয়ে------এ--------------প্রত্যয়............। ।
আসসালামু আলাইকুম।প্রবাস আসলে কী? প্রকৃত পক্ষে এর কোন সংজ্ঞা আমার জানা নেই । তবে প্রবাসী শব্দের অর্থ অনেকেই অনেক ভাবে ব্যাখ্যা দেন তা হলো ‘প্র’ মানে পর বা প্রেমহীন,আর ‘বা’ মানে বাড়িছাড়া, ‘সী’ মানে সীমার বাইরে বা সীমানার ওপারে। আমি যেটা বুঝি প্রবাস হলো পরিবারে অসচ্ছলতা দূর করার জন্য কিছু সময় কালের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা । এর কোন নির্দিষ্ট সীমা রেখা নেই , তবে লক্ষ প্রত্যকের এক,তাহলো অসচ্ছল পরিবারটিকে সচ্ছল করা ।অল্প সময়ের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে সচ্ছলতার হাতছানির দিকে অগ্রসর হওয়া । প্রবাস জীবন এমন এক অনিশ্চয়তা দিকে যাওয়া যেখানে পরিচিত বলে কিছু নেই, ভাষা সংস্কৃতি আইন-কানুন টোটালি ভিন্ন । এর মাঝে কেউ কেউ আলোর সন্ধান পেয়ে নিজেকে, পরিবার সমাজের জন্য উৎসর্গ করেন ।নিজের প্রতি ধ্যান-খেয়াল ভুলে গিয়ে পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। অনেক ক্ষেত্রে চাপিয়ে দেওয়ার নজিরও আছে । আমাদের দেশের প্রবাসীরা অন্য দেশের থেকে আলাদা, আমাদের দেশের উঠতি বয়সের ইয়াং ছেলেরা পরিবারের দায়িত্ব নিতে সদাই প্রস্তুত দেখা যায়।ফলে প্রবাসীদের বিশাল অংশ তরুণ যুবক , যাদের চোখে মুখে সুন্দর জীবন গড়ার স্বপ্ন সর্বত্র । অন্য দেশের প্রতি খেয়াল করলে দেখা যায় । পাকিস্তানী ,হিন্দি ,আফগানি এসব দেশের প্রবাসীরা অধিকাংশ বয়স্ক আনাড়ি তাদের অধিকাংশই বিবাহিত । আমি এ বিষয় নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে জানার চেষ্টা করেছি এরা এই বয়সে কেন প্রবাসী ? একেক জনের উত্তর একেক রকম তবে যতটুকু বুঝতে পেরেছি !বিবাহিত দাম্পত্য সময়টা এরা খুবি গুরুত্বদেয়, বাচ্চা-কাচ্ছা হবার পর এরা পরিবারের সবার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে।
আমাদের নতুন প্রজন্ম যে দেশেই অবস্থান করুক না কেনো সর্বক্ষেত্রে সাফ্যলতা দেখিয়েছে, প্রমাণ করেছে বাংলাদেশী যুবকেরা কথায় কাজে বিশ্বাসী।
বিশাল রেমিট্রেন্স প্রবাসীদেরই কৃতিত্ব ।দুঃখজনক হলেও সত্য প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দেশ ও পরিবার সচল হলেও প্রবাসীরা যখন দেশে আসে এবং ফেরত যায় প্রতি ক্ষেত্রে লাঞ্ছনা ও প্রবঞ্চনার শিকার হোন ।বাংলাদেশি প্রবাসিদের বড় এক অংশ অনভিজ্ঞ অদক্ষ তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের কারণে প্রবাসী সময়টুকুতে হয়ে উঠেন দক্ষ নিজ নিজ কর্মে।পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব মাথায় বহন করে শেষ সময়ে খালি হাতে ফিরতে হয় অনেককে।
প্রত্যক প্রবাসীর সীমাব্ধতা আছে কারণ এ দেশটা প্রবাসীদের বাপ-দাদার নয়। প্রত্যকেই অপেক্ষায় থাকেন নিজ দেশে পরিবার পরিজন নিয়ে পরবর্তী সময়টুকু সবার সাথেই কাটানোর।
প্রবাস জীবন অনেককে অনেক কিছু দিয়েছে আবার অনেক কিছু থেকে করেছে বঞ্চিত ,যা পূরণ হবার নয় । কাঙ্ক্ষিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত যাইহোক প্রবাসিরা দেশে ফিরছেন প্রতিনিয়ত । দক্ষ প্রবাসি দেশে এসে হয়ে যাচ্ছেন অদক্ষ । কাজ না পেয়ে অন্যের অনুগ্রহে চলতে হচ্ছে । ব্যবসা-বানিজ্যেও সবার সহযোগিতা না পেয়ে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসা ছেড়ে দিতে ।বিয়ে শাদীর ক্ষেত্রেও প্রবাসীরা অবহেলিত ।আমি আগেই উল্লেখ করেছি প্রবাসীদের বিশাল অংশ যুবক, প্রবাস সময়টুকুতে অনেকের বিয়ের বয়স পার হচ্ছে। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে কেউ কেউ পাত্রী দেখতে বললে দেওয়া হয় পরিবারের সবার প্রতি অনাস্থা অবিশ্বাসের অপবাদ ।আমি নিজেও একজন ভুক্ত ভোগী প্রবাসী বলে। দুর্ভাগ্যজনক সবার অনিচ্ছা অবহেলায় শেষ পর্যন্ত বিয়ে হলেও প্রত্যাশা এমন ছিল না । প্রবাসীর প্রতি পরিবার সমাজের এই অদায়িত্বশীল আচরণ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে ।দেশ ও সমাজের প্রতিটি উন্নয়ন মূলক কাজে প্রবাস ফেরত দক্ষ শিক্ষিত নাগরিকদের যৌথ উপযুক্ত সুযোগ দেওয়া হলে দেশ- বিদেশে উভয় ক্ষেত্রে তারা অবদান রাখতে সক্ষম হবে ।সমৃদ্ধ হবে আমাদের অর্থনীতি । বন্ধ হবে প্রবাসীদের নিয়ে সৃষ্ট সব সমস্যা ।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুধু অভাব অনটন কিংবা পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সবাই বিদেশ যায় বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। অনেকেই রঙ্গিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে অথবা রাতারাতি বড়লোক হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবার জন্যও যায়। বিদেশে মুচি, মেথরগিরি করতে কোন অসুবিধা হয়না, অথচ দেশে ছোটখাট কিছু করতে বললে জাত যায়।
তাই কোন ধরণের প্রশিক্ষণ না নিয়ে অন্যান্য বিদেশি কোটোপিতদের দিকে তাকিয়ে নিজেকেও তাদের জায়গায় কল্পনা করে এবং পাড়ি জমায় অনিশ্চিত গন্তব্যে। কাজ পেয়ে গেলে সঞ্চয় না করে খালি উড়ায়, হঠাৎ যখন চাকুরী শেষ, তখন হাফুস! না সেখানে কিছু করতে পারে, না দেশে এসে। তাই সবকিছুর আগে এবং পরে, কথা এক্টাই, যারা সত্যিকার অর্থে যোগ্য, তাদের কোথাও না কোথাও কিছু করে খেতে পারে। সরকার এই করেনা সেই করেনা, এটা যেমন সত্য, তার চেয়ে বড় সত্য বিদেশিদের অযোগ্যতাও।
ঐ আপনাকে বলিনি কিন্তু! আপ্নিতো আমার ভাই তাইনা!
পুরুষ মানুষের জন্মই হয়েছে টাকা ইনকাম করার জন্য । টাকা ইনকাম করা কষ্ট সেটা দেশেই হোক আর প্রবাসেই হোক ।
তবে পার্থক্য হল দেশে থাকলে সবাই মিলে একসাথে থাকা যায় তবে ঝগড়াঝাটি হলে ও আর প্রবাসে থাকলে বিরহের অনলে পুড়তে হয় এই আর কি !!
বাকী লিখার ব্যাপারে একমত ।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
দূর গমনে আসি
ভিন্নতায় আর ভিন্ন স্বাদের
কত কিছুই দেখি
থাক,হলো
দেখা হোল,
হলো অনেক দিন
কাজের ফাঁকে ক্লান্তি সরে
পায়না কোনও মিল
কাজের ধ্যানে মায়াহীনতায়
তবুও থাকতে হয়
কারন!!!
জীবন মানে যুদ্ধ করা
মনে নিয়ে এ প্রত্যয়............। ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন