@@ফেলে আসা মধুর স্মৃতি@@
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল গাফফার ১৫ জুলাই, ২০১৫, ০৪:০২:৩৮ রাত
সময়ের পালা বদলে কত কিছুই বদলায় ইচ্ছায় অনিচ্ছায় ,যা কিছু অবিশ্বাস্য , বাস্তবে সামনে এসে দাঁড়ায় ।যা মেনে নেওয়া ছাড়া কিছু করার থাকেনা
প্রিয় বন্ধুরা এমনি এক বাস্তবতায় চলতি মাসের ১ তারিখে বদলি হয়ে চলে এলাম ২০১১ এক সময় যেখানে অবস্থান করে ছিলাম সেখানে । হঠাৎ বদলি তাও আবার রমজান মাসে ! যাই হোক আল্লাহ পাক হয় তো আমার ভাল চেয়েছেন । এখানে চলে আসা পর থেকেই পিছনের কিছু স্মৃতি আমাকে সব সময় তাড়া করে বেড়াচ্ছে ,কারণ আমি প্রবাসে যেখানেই যে অবস্থানেই থেকেছি দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিকল্পনা করে ডিউটি শেষে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করেছি যাতে করে প্রবাস নামক নিঃসঙ্গ জীবনটাকে উপভোগ করা যায় । আমি যেখান থেকে চলে আসলাম সেখানে বলতে গেলে সবি ছিলো বিশেষ করে ৫০০ শতাধিক কবুতর
শাক-সবজির বাগান , আট সদস্যার লোকবল নিয়ে কাজের ফাকে টক-ঝাল মিষ্টি খুনসুটি , শুক্রবারের জুমা মসজিদে যাওয়া । মসজিতটির কথায় বেশী মনে পড়ছে । আমার বাসা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সুদর্শন মাসাল্লাহ বলতেই হয় । মরুর বুকে এত সুন্দর মসজিদ না দেখলে বিশ্বাসই হবেনা । যে দিন প্রথম জানতে পারলাম এর পর এই মসজিদটা দেখার জন্য বেকুল ছিলাম , ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কয়েক জন মিলে রওনা হলাম , যাচ্ছিতো যাচ্ছি মরুর বুকে প্রাণী কুলের কোন অস্তিত্ব আছে বলে মনেই হবে না । মাঝে মধ্য ঘূর্ণি ঝড়ের কবলেও পড়তে হয়েছে ,
কিন্তু কিছু করার নেই মসজিদে নামাজ না পড়ে যাচ্ছিনা । অবশেষে ২ কিলোমিটার দূর থেকে কাঙ্ক্ষিত আয়ুন আল জুরার রাজা ফাহাদ গ্র্যান্ড মসজিদের উপর চোখ পড়ে
মদিনার আদলে মসজিতটি তৈরি করা হয়েছে ।
জুমার খুৎবার এখনো বাকি এরি মধ্য কয়ে হাজার গাড়ি পার্ককিং !
পার্ককিং করেই সামনে আগাইতে থাকলাম ,সামনে দেখি আজব ইলাহি কাণ্ড ! শাক-সবজির বাজার পাশেই হাঁস -মুরগি ,
কবুতর , কচ্ছব ,খুরগুশ , কাসিম , টিয়া পাখি কি নেই সুবাহানাল্লাহ ! সবজির বাজার , হাঁসমুরগির বেচা-কেনা এগুলো সবি কিন্তু সাময়িক আছরের আগেই সব পরিষ্কার অন্যসব দিনের মতই । দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে নামাজ শেষে কম মূল্যে প্রয়োজনীয় জিনিস পাতী কিনতে পারেন । আমরাও প্রতি সপ্তাহে সেখান থেকেই নামাজ শেষে কিনা-কাটা করতাম । আরেকটু এগিয়ে যেতেই অজু করছে সবাই আমরাও অজু সেরে মসজিদের ভিতরে চলে গেলাম । কি সুন্দর কারুকার্য সত্যিই হাজার হাজার মানুষের মধ্য নামাজ পড়ার তৃপ্তিই আলাদা ।নামাজ শেষে একটা ছবি উঠলাম
চেষ্টা করতাম জুমার নামাজ ওখানে পড়ার জন্য মাঝে মধ্য সময় স্বল্পতার জন্য হয়ে উঠেনি । মসজিদটি নির্মাণ কাজ আসলে কবে শেষ হয়েছে জানা যায়নি । তবে উইকিপিডিয়া থেকে যতটুকু জানা যায় মসজিতটি বর্তমান সৌদি আরবের অর্থ মন্ত্রী ইব্রাহিম আবদুল আজিজ আল আসাদ অর্থ মন্ত্রী ইব্ররাহিম জন্ম স্থান আয়ুন আল জুয়া দান করা জমির উপর এটা নির্মাণ করেন । মসজিতটিতে বিভিন্ন সুবিধাও রয়েছে যেমন কুরআন আবৃত্তি ক্লাস, A'tikaf কক্ষ, খুচরা স্পেস, মহিলাদের জন্য বিশেষ কক্ষ, এবং ক্রীড়া এবং বিনোদনমূলক ক্লাব । আয়ুন আল জুয়া এটি সৌদি আরবের আল কাশিম প্রদেশে উত্তর-পশ্চিম বুরাইদা হতে ৩০ কিলোমিটার দূরে হাইল রোডে অবস্থিতি। আজ খুবি মনে পড়ছে ফেলে আসা সেই মধুর স্মৃতি গুলো , আয়ুন আল জুয়া সমন্ধে আরো জানতে এখানে চাপুন
বিষয়: বিবিধ
২২১৩ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই ছবিটা কিসের ?
সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করলেন - মাশা আল্লাহ !
মসজিদটির বর্ণনার জন্য জাযাকাল্লাহ খাইর
মাথার চুল টেনে-টুনে করছেন যে সাব !
আমাদের মসজিদগুলি কেন এমন কমপ্লেক্স হয়ে উঠেনা।
কেউ আমায় ভালো বাসে কিনা,
জানিনা
শুধু জানি ভালো বেসে যাই
যাকে ভালো লাগে আমার ।
কি পাব কি পাবনা! নেই মনে সেই ভাবনা
ভালো লেগেছে তাই ভালো বেসে যাই
নিত্য করি শুভকামনা সরি
মন্তব্য করতে লগইন করুন