বিদেশের মাটিতে দেখা কবুতরের বিশাল খামার
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল গাফফার ১৫ জুন, ২০১৩, ১২:২১:১০ রাত
কবুতরকে কে না চেনে! কে না ভালবাসে ! আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব আমার দেখা সব চেয়ে কবুতরের বড় খামার । এমন খামার বাংলাদেশে কেউ দেখেছেন বলে মনে হয়না । আসুন জেনে নেওয়া যাক আমার দেখা বিশাল কবুতরের খামারের কিছু কথা ।
কবুতর আমাদের সবার পরিচিত, দেশের বিভিন্ন গৃহপালিত পশু-পাখিরদের মধ্য কবুতর সর্বাধিক জনপ্রিয় কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কবুতর পালন করা হয়- এর বাহ্যিক সৌন্দর্য্যগত দিকগুলোর কারণে। এছাড়া, সারা পৃথিবী জুড়ে কবুতরকে ধরা হয় শান্তির দূত হিসেবে। সারা পৃথিবী জুড়ে বহুবিচিত্র ধরনের ১২০ থেকে ২০০ জাতের কবুতর রয়েছে। আমাদের দেশে প্রায় ২০ জাতের কবুতর আছে, যার মধ্য গোলা, টাম্বলার, লোটান, শিরাজী সব চেয়ে জনপ্রিয় । আমাদের দেশে সাধারণত কবুতরকে মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়।
হাঁস-মুরগীর তুলনায় কবুতর পালন মোটেও ব্যয়বহুল নয়। দেশে বিদেশে মাংসে চাহিদা কমানয়ে বেড়েই চলেছে । বিশেষজ্ঞরা বলেন, কবুতরের মাংসে সাধারণ অন্যান্য পাখির মাংসের চাইতে প্রোটিনের পরিমান বেশি। ফলে আমিষের পাশাপাশি প্রটিনের বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য ও কবুতরের মাংস খাওয়া হয়ে থাকে।
বানিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে অনেকেই অল্প সময়ে এটাকে লাভ জনক ব্যবসা হিসেবে দাঁড়া করাতে পেরেছেন। । কবুতর জাত ভেদে দাম কম বেশি হয় । কবুতর অন্যন্য পশু- পাখির চেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি। এদের ডিম ফুটানোর হার ৯৮% যেখানে হাঁস-মুরগির ফুটানোর হার৮০ থেকে ৮৫% এছাড়াও অনেক কারণ আছে।
হটাৎ করে দেশে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম ,এর আগেও কয়েকবার সিদ্ধান্ত থাকলেও যাওয়া হয়নি । পাসবোর্ড ডেট না থাকায় ঝুলে আছি প্রায় দুই মাস যাবত , কাজ কাম বাদ দিয়ে খাই আর ঘুমায়, আর অপেক্ষায় থাকি কখন হেট অফিস থেকে ডাক পরে , আমি যে দেশে থাকি এই দেশটি আমার দেশ নয় , তাই চাইলেও সারা জীবন থাকতে পারবনা ।আমার দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি যেমনি হোক আমাকে খাব খেয়ে চলতেই হবে । যাই হোক কথা না বাড়ায় ।কবুতর আমার অনেক পছন্দের একটি পাখি! দেশে থাকা কালীন কবুতর পালন করতাম কিন্তু সেটি ছিল অতি নগন্য, পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করেছি কখনো , তাই ভাবছি দেশে যেয়ে বড়সরো করে একটা খামার দিব । বড় খামার দিতে হলে কেমন অর্থ প্রযোজন পরতে পারে! এই ধারণা নিতে চলে গেলাম আমার বাসা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সেখানে আমার বন্ধুর বিয়াই কাজ করেন ।হটাৎ করে তার আগমন , আমি দেশে যাব সে জানত , তাই বললো চল আমার বাসায় যাবি , এর আগেও যেতে চেয়েচিলাম কাজের চাপে যেতে পারিনি । বলার সাথে সাথে রাজী হয়ে গেলাম। পৌছতে পৌছতে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াও ঘুরে দেখতে পারিনি ,যাও দেখলাম ইলাহি কান্ড ।
পরের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকলাম , সকাল ৫টা সময় উঠেই দেখি সবাই ব্যস্ত ,কবুতর , মুরগির খাবার দিচ্ছে । সাথে সাথে ফটো তুললাম আর জানতে চেষ্টা করলাম ১ শত কবুতের জন্য কত কেজি , একেকটা আমবারে কত হাজার কবুতর আছে ? (আমবার মানে কবিতরের বাসস্থান ) পুরা খামারটিতে ৫ জন লোক নিয়োগ আছেন , এর মধ্য আমাদের দেশি ভাই ৩ জন তাদের বর্ণনা অনুযায়ী একটি আমবারে ১৩০০ পিস কবুতর আছে ।
হিসাব করে দেখলাম আমবার সংখ্যা ১২টি সব মিলিয়ে কবুতরের সংখ্যা ১৫৬০০ টি এর বাজার মুল্য কম করে হলেও জোড়া বাংলাদেশ ৮০০টাকা , সব মিলিয়ে ৬২৪০০০০ লক্ষ টাকা । একটি আমবার তৈ্রিতে খরচ হয়েছে ২৫০০০ হাজার রিয়াল বাংলাদেশ টাকায় ৫০০০০০ লক্ষ , তাহলে মোট আমবার তৈ্রিতে খরচ হয়েছে ৬০০০০০০ লক্ষ । এর মাঝখান দিয়ে বানানো হয়েছে মুরগির ঘর , এখানে ঘর সংখ্যা ৫ টি, তবে ঘর গুলো বড় নয় । একেকটা মুরগির ঘরে মুরগীর সংখ্যা ১১০০ থেকে ১২০০ শত সব মিলিয়ে ৭০০০ মুরগ মুরগি ।প্রতিদিন ডিম দেয় ১০০০ পিস , হিসাব করতে করতে মাথা পুরাটাই গরম পাশা পাশি ছাগল সংখ্যা ৩০০টি , ঘোড়া , কুকুর সব শেষে জানতে চাইলাম মাসিক আয় ব্যয় , আয় মাসিক ১০০০০০ রিয়াল এর মধ্য ব্যয় হয় ৩০০০০ রিয়াল । এখন বলেন কে কে এমন একটি খামার দেবার যোগ্যতা রাখেন । নিচে কিছু ছবি শেয়ার করছি ।
একে রাখা হয়েছে পাহারাদার মনে করে যাতে বিড়াল , শেয়াল, বহিরাগত কেউ আসলে ঘেউ ঘেউ করে ।
এটিই সেই আমবার এর ভিতরে ১৩০০ শত কবুতর ।
অপর সাইট
দূর থেকে দেখতে আমবার গুলো এমন ।
আমবরের ছাঁদ
কবুতরের বাচ্চা সংগ্রহ করছেন ।
মুরগ মুরগীর থাকার বাসস্থান ।
ছাগলের পাল
এই ছাগল গুলো খুবি ভদ্র আমার কাছে কেমারা দেখে সামনে এগিয়ে আসলো ।
কিছু ডিম এই মেশিনের মাধ্যমে ফুটানো হয় বাকি সব বিক্রি ।
ডিম ফুটানোর পর বাচ্চা ।
শেষে একটি ঘোড়ারও সন্ধান পেলাম । সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
বিষয়: বিবিধ
১২৬৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন