ছেলেটি নাম নিরব ( ১)
লিখেছেন লিখেছেন আব্দুল গাফফার ০৯ জুন, ২০১৩, ০২:১৪:৪১ দুপুর
নিরব পরিবারের সবার ছোট্র ও আদরের , ছোট্ররা নাকি বেশি দুষ্ট হয় সেও ব্যতিকম নয় । সুযোগ পেলেই বড়দের কাজে ব্যাঘাত সহ বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন করা, একদিন তার বড় ভাইয়াকে বলছে , ভাইয়া কবি বড় নাকি বিজ্ঞানী বড় ? কবির বেতন বেশি না বিজ্ঞানীর বেতন বেশি ? এমন হরেক রকমের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ভাইয়াটি বিরক্ত হয়ে যেতেন ।
আচ্ছা নিরব , তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও ? বড় হয়ে আমি কবি বিজ্ঞানী উভয়ই হতে চাই , নিরবের আকাশকুসুম স্বপ্ন শুনে ভাইয়া যেনে আকাশ থেকে পড়ে । নিরব পড়ালেখায় তেমন মনোযোগী ছিলনা । এই নিয়ে বড় ভাইয়া মাঝে মধ্য বেত আঘাত করতেন ।
বড় ভাইটি নিরবকে লেখাপড়ায় মনোযোগী করতে বিভিন্ন লোভ দেখাতেন যেমন নিরব আজ এই কবিতাটি যদি মুখস্ত করতে পারও তাহলে তোমাকে ১০ টাকা দিব , নিরব লোভে লোভে পড়ালেখায় মনোযোগী হলেও দীর্ঘ সময় তা জারি ছিলনা । নিরব ছোট্র বেলায় থেকেই খেলা-দোলায় পটুক ছিল ।
সামনে ১৬ ডিসেম্বর গ্রামের একদল কলেজ পড়ুয়া ছাএরা উদ্যোগী হয় বিজয়দিবস পালনের , গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান চাল, গম, যে যেভাবে পারে সংগ্রহ করে । ১৬ ডিসেম্বরে বিভিন্ন খেলার আয়োজন ছিল , নিরব ১০০ মিটার দূর প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে , আনন্দহারা নিরব ।
পরবর্তী সময়ে নিরবের পথ চলায় এই অর্জন টুকু অনেক উৎসাহ প্রেরণা যুগিয়েছে । নিরব প্রাইমারি অধ্যায়ন কালেই ক্লাসমেট লাল টুকটুকে এক মেয়ের মায়াজালে প্রেমের সাগরে হাবুড়ুবু খেতে থাকে , ছোট বেলার এই সময়টা যে মেয়েকেই দেখবে সেই মেয়েকেই ভাল লাগবে , কিন্তু নিরবের বেলায় ছিল উল্লাটা , সে মেয়েটাকে ভুলতে পারিনি । নিরবের জন্য মেয়েটিকে অনেক সময় বিভান্তিতে পড়তে হয়েছে , একদিন নিরব স্কুলে অনুপস্থিত , স্কুলের টিচার মাঠ থেকে ময়লা আবর্জনা সাফ করতে সবাইকে নির্দেশদেন । নিরবের বন্ধুরা নিরবকে জুড়িয়ে মেয়েটিকে আজে-বাঝে বলতে থাকে , অবশেষে মেয়েটি বিরক্ত হয়ে স্যারের কাছে বিচার দেয় । সহসায় স্যার ছেলেদের ডেকে বেত আঘাত করেন কিন্তু দুষ্ট ছেলে গুলো স্যারের কাছে বিচার দেওয়ায় , মেয়েটির ফিরতি পথে আটকিয়ে মারধুর করে, এর পরে স্যারকে পুনরায় বিচার দিলে আরও মারবে বলে সতর্ক করে দেয় ।
নিরবের ভাল লাগাটা এক তরফা ছিল, মেয়েটি তাকে ভালবাসত কিনা তবে তাকে যে ঘৃনা করত না এতটুকু বুঝতে পেরেছিল ।
পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া অবস্থাই তার বাবা অন্য গ্রামে চলে যায় । ওই গ্রামে অগাত ক্ষেতি জমি চাষ-আবাদ , সামনে পরীক্ষা বাধ্য হয়েই ওই গ্রাম থেকে আসতে হত , রাস্তার পাশে অনেক দাড়িয়ে থেকেছে নিরব তাকে সামনা সামনি বলে দিবে কত ভালবাসে, প্রিয়মানুষ টিকে ঘিরেই তার পৃথিবী , কিন্তু না বলা কথাটি আজো বলা হলনা । পরীক্ষার শেষে রেজাল্ট বের হয় নিরব তার গ্রামের হাইস্কুলে আর মেয়েটি সেই গ্রামের পাশেই এক হাইস্কুলে ভর্তি হয় ।
চলবে ইনশাআল্লাহ
জীবনে প্রথম গল্প লেখলাম হাসবেন না ,
সবার সহযোগিতা চাই
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন