দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা থেকে কপি/পেষ্ট করা। মাদ্রাসা স্থাপন সংক্রান্ত বিষয়।
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ শামীম হোসাইন ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০২:৪৭:০৪ দুপুর
ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংসদে উত্থাপিত
দশ কিলোমিটারের মধ্যে একটির বেশি মাদরাসা থাকবে না
সংসদ রিপোর্টার : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ এফিলিয়েটিং ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৩' জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী প্রতি দশ কিলোমিটারের মধ্যে একটির বেশি মাদরাসা থাকবে না। আর কোন মাদরাসা শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকলেও ভিসি ও ট্রেজারার পদে নিয়োগ পাবেন না।
গতকাল বুধবার শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি পরীক্ষাপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়, এই বিধান অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত স্থানে একটি পৃথক ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করবে। বিশ্ববিদ্যালয় এর উপযুক্ত বিবেচনায় দেশের অন্য যে-কোন বিভাগীয় শহরে এর আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করতে পারবে।
বিলে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার এবং সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য সমন্বয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে পরিগণিত হবে।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা, দায়িত্ব শিক্ষাদান, মঞ্জুরি কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, মাদরাসা পরিদর্শক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্র, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা উন্নয়ন কমিটি, অধিভুক্ত কমিটি, নির্বাচনী বোর্ডের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কার্যাবলীসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া বিলে বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল, বার্ষিক প্রতিবেদন, বার্ষিক হিসাব, পরিদর্শক ও পরিদর্শন, মাদরাসায় শিক্ষাদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার মধ্যে সহযোগিতা, মাদরাসা সংক্রান্ত সাধারণ বিধান, বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যক্রম ভর্তি, পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি প্রণয়ন, প্রবিধান, শিক্ষার মাধ্যমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বিলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগের ক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা বিবেচনা করা হলেও মাদরাসার শিক্ষাকে বিবেচনা করা হয়নি। যার ফলে মাদরাসা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত কোন ব্যক্তি এসব পদে নিয়োগের সুযোগ পাবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার চ্যান্সেলরের সন্তোষ অনুযায়ী স্বপদে বহাল থাকবেন।
সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে জমিয়াতুল মোদাররেছীনের মহাসচিবকে রাখার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধিতে বলা হয়েছে, দশ কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক মাদরাসা অধিভুক্তি মঞ্জুর করা যাইবে না।
বিল উত্থাপন করে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে দেশের আলেম সমাজের আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিধান প্রণয়ন করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে দেশের আলেম সমাজের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
- See more at: http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=109172#sthash.ZYTXRse1.dpuf
বিষয়: বিবিধ
১৪৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন