সেই সমস্ত ভাই-বোনদের প্রতি যাদের সহানুভূতি ইসলামের পক্ষে নয়,কুফরের পক্ষে...
লিখেছেন লিখেছেন অবারিত ০২ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৫৭:১৩ সকাল
কুরআনের নিচের কয়টি আয়াতে গভীরভাবে চিন্তার খোরাক খুঁজে পেলাম...
কুফর ও ইসলামের যুদ্ধে যে ব্যাক্তির সমবেদনা ইসলাম ও মুসলমানদের পক্ষে নয়;কিংবা কুফরি ব্যবস্থা ও কাফেরের পক্ষে আল্লাহর কাছে তার কোনো আমল গ্রহণযোগ্য হওয়া তো দূরের কথা তার ঈমানই আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
আল্লাহ তা'লার লানত এই সমস্ত ব্যক্তির উপর..
এই সমস্ত মুনাফিকের আচরন,তাদের মুনাফিকী রোগের কারন,এবং এই সমস্ত লোকের পরিনতির কথা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূরা মুহাম্মদের ২০-২৮ আয়াতে এতো অসাধারন ও সূক্ষ্ ভাবে ব্যাখা করেছেন যে এর চেয়ে উত্তম ব্যাখা কল্পনাও করা যায়না...
২০) যারা ঈমান আনায়ন করেছে তারা বলছিলো, এমন কোন সূরা কেন নাযিল করা হয় না (যাতে যুদ্ধের নির্দেশ থাকবে) ? কিন্তু যখন সুস্পষ্ট নির্দেশ সম্বলিত সূরা নাযিল করা হলো এবং তার মধ্যে যুদ্ধের কথা বলা হলো তখন তোমরা দেখলে, যাদের মনে রোগ ছিল তারা তোমার প্রতি সে ব্যক্তির মত তাকাচ্ছে যার ওপর মৃত্যু চেয়ে বসেছে৷তাদের এ অবস্থার জন্য আফসোস৷
২১) (তাদের মুখে) আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি এবং ভাল ভাল কথা৷ কিন্তু যখন অলংঘনীয় নির্দেশ দেয়া হলো তখন যদি তারা আল্লাহর সাথে কৃত নিজেদের অঙ্গীকারের ব্যাপারে সত্যবাদী প্রমাণিত হতো তাহলে তা তাদের জন্যই কল্যাণকর হতো৷
২২) এখন তোমাদের থেকে এ ছাড়া অন্য কিছুর কি আশা করা যায় যে, তোমরা যদি ইসলাম থেকে ফিরে যাও তাহলে পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করবে এবং একে অপরের গলা কাটবে?
২৩) আল্লাহ তা’আলা এসব লোকের ওপর লা’নত করেছেন এবং তাদেরকে অন্ধ ও বধির বানিয়ে দিয়েছেন৷
২৪) তারা কি কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেনি, নাকি তাদের মনের ওপর তালা লাগানো আছে ?
২৫) প্রকৃত ব্যাপার হলো, হিদায়াত সুস্পষ্ট হওয়ার পরও যারা তা থেকে ফিরে গেল শয়তান তাদের জন্য এরূপ আচরণ সহজ বানিয়ে দিয়েছে এবং মিথ্যা আশাবাদকে দীর্ঘায়িত করে রেখেছেন৷
২৬) এ কারণেই তারা আল্লাহর নাযিলকৃত দীনকে যারা পছন্দ করে না তাদের বলেছে, কিছু ব্যাপারে আমরা তোমাদের অনুসরণ করবো৷আল্লাহ তাদের এ সলা-পরামর্শ ভাল করেই জানেন৷
২৭) সে সময় কি অবস্থা হবে যখন ফেরেশতারা তাদের রূহ কবজ করবে এবং তাদের মুখ ও ফিটের ওপর আঘাত করতে করতে নিয়ে যাবে?
২৮) এসব হওয়ার কারণ হচ্ছে,তারা এমন পন্থার অনুসরণ করেছে যা আল্লাহর অসন্তুষ্টি উৎপাদন করে এবং তাঁর সন্তুষ্টির পথ অনুসরণ করা পছন্দ করেনি৷ এ কারণে তিনি তাদের সব কাজ-কর্ম নষ্ট করে দিয়েছেন৷
(সূরা মুহাম্মদ:২০-২৮)
বিষয়: বিবিধ
১২০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন