হেসে নিন স্যার...এই দুনিয়াতো তাদেরই হাসার জায়গা পরকালে যাদের জন্যে 'হাসি' নামক বস্তুটি নির্ধারন করে রাখা হয়নি...
লিখেছেন লিখেছেন অবারিত ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:৫৪:২৬ রাত
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাড়ে তিন বছরের শিক্ষা জীবনে কম অভিজ্ঞতা হলোনা! সেই ফার্স্ট ইয়ার থেকে চরম বামপন্থি আর ইসলাম বিদ্বেষী শিক্ষকদের ইসলাম বিদ্বেষী কথা শুনতে শুনতে কেমন যেন চরম বিতৃষ্ঞা এসে গেছে এই বস্তুবাদী শিক্ষাব্যবস্থার আর এইসব ডিগ্রীধারী 'শিক্ষক' নামক জ্ঞানপাপীদের উপর।একেবারে প্রথম দিকে ক্লাসের মধ্যেই চরম প্রতিবাদ করতাম।পরে দেখলাম প্রতিবাদ করে লাভ নেই,কারণ এই মানুষগুলোর অন্তর বহু আগেই তালাবদ্ধ হয়ে গেছে।আর ক্লাসের ৮৫% student উনাদের কথাগুলোকেই সমর্থন দিচ্ছে...অত্যাধুনিক 'dijuce প্রজন্ম' বলে কথা! সবসময় প্রগতিশীলতার খোঁজে থাকায় স্বাভাবিক! তাই কিছুই করার ছিলনা...বাসায় এসে একা একা কাদঁতাম।ওরা আমার আদর্শকে আক্রমন করে কথা বলেছে,ইসলামের উপর আমাদের দৃঢ়তাকে কটাক্ষ করে প্রতিনিয়ত একে হাসাহাসির বস্তু বানিয়েছে...আমি কিছু বলিনি...শুধু আমার প্রতিপালক আল্লাহর কাছেই ফরিয়াদ জানিয়েছি।
সত্যি অনেক সহ্য করেছি আমি...কিন্তু আজ কেনো যেনো সহ্যের সমস্ত বাঁধ ভেঁঙ্গে গেছে...কারণ ওরা সেই মানূষগুলোকে নিয়ে হাসাহাসি করেছে যারা আল্লাহর দ্বীনকে এই দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠার জন্যে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে,প্রতি মুহূর্তে যারা আল্লাহর কাছে শহীদী মৃত্যু কামনা করে। শিক্ষক নামধারী এই 'মানুষগুলো' এবং আমার ক্লাসের অত্যাধুনিক dijuice প্রজন্ম ওই মানুষগুলোর শহীদী মরণের আকাঙ্খা নিয়ে বিদ্রূপ করেছে। অতঃপর তাদের বিদ্রূপ turn করেছে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর দিকে যে মানুষটি তাঁর পুরো জীবনকেই ব্যয় করেছে মানুষের কাছে মহাগ্রন্থ আল-কোরানের বাণী পৌঁছাতে।তাঁদের কাছে নাকি এই মানুষটির চোখ দেখলেই মনে হয় 'সে আদতেই লুইচ্চা'। এই মজলুম ব্যক্তি আসলেই তো এই নষ্ট মানুষদের মানব রচিত আইনের কাছে কোনো সু-বিচার চাননি। তিনি তো শুধু এই প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন যে তিনি সুবিচার চাইবেন শুধু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে রোজ হাশরের ময়দানে...যেদিন বিচারক হবেন সব বিচারকের বড় বিচারক,এই মহাবিশ্বের রাজাধিরাজ সম্রাট আল্লাহ গাফুরুর রাহীম,আর কাঠগড়ায় দাঁড়ানো থাকবে এই মিথ্যার বেসাতি বানানো আল্লাহর ভয়হীন অবিশ্বাসী মানুষগুলো। এবং প্রতিজ্ঞাটি করেই তিনি আমার শিক্ষক ও সহপাঠীদের চোখে বড় ভুল করে ফেলেছেন। পুরো ক্লাসে যখন হাসির বন্যা বয়ে যাচ্ছিলো আমি শুধু তখন ভাবছিলাম...হে মূর্খের দল তোমরা কি নিয়ে হাসছো?আল্লাহর কসম যদি তোমরা দৃঢ় বিশ্বাস করতে যে একদিন সমস্ত মানুষকেই তার জীবনের সমস্ত হিসেব নিয়ে তার মালিকের সামনে দাঁড়াতে হবে তাহলে কখনো তোমরা এইভাবে হাসতে পারতে না। তোমাদের তো কম চেনা হয়নি আমার...প্রায় চার বছর ধরেই তো দেখছি অবিশ্বাস আর মুনাফেকির সগর্ব প্রদর্শনী। এই কিছুদিন আগেই তো শুনলাম তোমাদের মুখে যে 'শহীদ' ব্লগার রাজীব হায়দার নতুন বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর!!
অতঃপর আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক,আপনি বললেন যে..."হ্যাঁ কাজের মতন একটা কাজ হয়েছে বটে শাহবাগে..বাংলার তরূন প্রজন্ম দেখিয়ে দিয়েছে তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে।"
খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হচ্ছিলো...তা কোথায় ছিল আপনার ও আপনার 'তরুন প্রজন্মের' প্রতিবাদ যখন ওই ধর্মদ্রোহী নাস্তিকগুলো আমাদের প্রিয় রাসূল(সা) কে নিয়ে অশ্লীল গালগল্প রচনা করেছিলো? অনেক বড় বড় কথাই তো বলছেন আপনি ও আপনার প্রিয় শিক্ষার্থীরা...দেশ ও জাতির কল্যান উদ্ধার করে ফেলছেন...কিন্তু কই আমাদের প্রিয় রাসূলের অবমাননা নিয়ে একটা কথাও কেনো বলছেননা?? তা বলবেন কেনো?আপনারা তো সেই ব্যক্তিবর্গ...আপনাদেরই একজনের ইসলাম বিরোধী কথাকে একদিন ক্লাসে কোরানের যুক্তি দিয়ে খন্ডন করতে চেয়েছিলাম...আমার সেই 'মহান' শিক্ষক সেদিন এই বলে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন যে "আমার সাথে কোরান নিয়ে কথা বলতে এসোনা,কোরান তোমার চেয়ে অনেক ভালো জানি!আমার সাথে বিতর্ক করতে আসলে হেরে যাবা মনে রেখো।" প্রতিবার এইভাবেই তো সত্যের যুক্তিকে থামিয়ে দেন আপনারা...
তা আপনাদের ইসলামের অবমাননা নিয়ে প্রতিবাদ না করারই কথা,আপনাদের চোখে সেটা তো আর তেমন কোনো বড় অন্যায় নয়!
বিষয়: বিবিধ
১১৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন