হে অবিশ্বাসীর দল,সংগ্রাম চালিয়ে যাও.. আমরা আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি..
লিখেছেন লিখেছেন অবারিত ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:৫০:২৭ রাত
এরাই হলো শাহবাগ আন্দোলনের মহান সংগঠক! এরাই তো সেই ব্যক্তিরা যারা শাহবাগে দাঁড়িয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করার দাবি জানায়।ইসলামি ব্যাঙ্ক,ইবনে সিনা,আমার দেশ,নয়া দিগন্ত বন্ধের আহবান জানায়; আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়; মাদ্রাসাকে জঙ্গী তৈরির কারখানা বলে। এরাই তো সেই কুলাঙ্গারের দল যারা আমাদের রাসূল (সা) কে অকথ্য ভাষায় অশ্লীল গালাগাল করে,এই মহাবিশ্বের রাজাধিরাজ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ কথাবার্তা বলে...আসিফ মহিঊদ্দিন ও তার সাগরেদরা যে সারা জীবন কিসের সংগ্রাম করেছে এবং আজকে শাহবাগে দাঁড়িয়েও কিসের সংগ্রাম করছে তা তার নিচের status টা পড়লেই বোঝা যায়।কিন্তূ আসিফ মহিঊদ্দিনদের সাথে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যে "তরুন প্রজন্ম" আজ তাদের সাথে গলা মেলাচ্ছে, তাদের দাবীর সাথে একাত্নতা প্রকাশ করছে,এই নাস্তিকদের করানো শপথের সাথে তোতা পাখির শেখানো বুলির মতন ঠোঁট মেলাচ্ছে...তারা যে আসলে কিসের সংগ্রাম করছে সেটা তাঁদের মুখ থেকেই খুব শুনতে ইচ্ছা করছে...
"মৃত্যু অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তাই মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করার সাহস আমার আছে বলেই মনে করি। ধর্মান্ধ মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে গত কয়েকবছর ধরেই লিখে যাচ্ছি অবিরাম, এই যুদ্ধে অনেক প্রিয় বন্ধু পেয়েছি, অনেক শত্রুও তৈরি হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। আদর্শিক শত্রু, ব্যক্তিগত শত্রু থেকে শুরু করে অনেক মানুষের প্রতিহিংসার শিকার হওয়াটাও আমার কাছে এত গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নয়। সমালোচনাকে গ্রহণ করি, প্রত্যেকের বাক-স্বাধীনতাকে সম্মান করি বিধায় ফেসবুক-ব্লগে জামাত শিবির হিজবুত তাহরির থেকে শুরু করে আমাকে গালিদাতা এবং মৃত্যু হুমকিদাতাদেরকেও ব্লক করি না। কারণ আমি মনে করি মানুষের চিন্তাশীলতার দরজাগুলো কখনও বন্ধ করে দেয়া যাবে না। এমনকি আমাকে যারা হত্যা করতে চেয়েছিল, আমাকে যারা নানাভাবে আক্রমন করেছে, তাদের প্রতিও আমার কোন বিদ্বেষ নেই। কারণ তারা জানে না তারা কী করছে। তাদেরকে এভাবেই শেখানো হয়েছে, মগজ ধোলাই করা হয়েছে, তাদেরকে হত্যা করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং মগজধোলাইয়ের প্রক্রিয়া যেদিন বন্ধ হবে, সেদিনই আমি ভাববো আমার উপরে আক্রমনের বিচার হয়েছে।
এই যুদ্ধে কতক্ষণ টিকে থাকবো জানি না। কিন্তু একটাই অনুরোধ থাকবে, মৃত্যুর পরে অনুগ্রহ করে আমাকে ধর্ম অন্তপ্রাণ অথবা প্রাচীন বা মধ্যযুগীয় কুসংস্কার সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল বলে প্রচার প্রচারণা কেউ চালাবেন না। আমি আমার পুরোটা জীবন ব্যয় করেছি এসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে, মৃত্যুর পরে আমি সেগুলোর কাছে পরাজিত হতে চাই না।
আমি চাই না আমার কোন জানাজা হোক। আমার জানাজার হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি বরঞ্চ আমাকে আরো ছোট করে ফেলবে। আমি জাতীয় বীর হতে চাই নি, জনপ্রিয় হবার ইচ্ছা আমার নেই। আমি আমার নিজের নীতি আদর্শ নিয়ে বেঁচে আছি এবং সেগুলো নিয়েই মৃত্যুবরণ করতে চাই। আমি যেমন, আমি সেটাই; দোষেগুণে পরিপুর্ণ একজন সাধারণ মানুষ, যে চিন্তা করতে শিখেছে। বাড়তি বিশেষণ বা নানা ধরণের শব্দ ব্যবহার করে আমার মৃত্যুর পরে আমাকে মহান বানাবার কোন প্রয়োজন নেই। আমার মরদেহ কোন মেডিকেল কলেজে দেয়া হবে, আমার চোখ থেকে শুরু করে সমস্ত অঙ্গপ্রতঙ্গ মানব কল্যানে ব্যবহৃত হবে। আমার চোখ দিয়ে আরেকজন অন্ধ মানুষ পৃথিবীর রঙ রুপ দেখবে, এর চাইতে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না। আমার কিডনি থেকে শুরু করে যা কিছুই ব্যবহার যোগ্য হবে, সেগুলো কোন অসুস্থ মানুষকে দিয়ে দেয়া হবে। আমার বাকিটা শরীর মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা নিয়ে গবেষণা করবে, যেন তারা মানবদেহ এবং অস্ত্রপাচার সম্পর্কে আরো অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে।
স্বর্গ নরকে বিশ্বাসী নই, এই পৃথিবীই আমার সবকিছু, এই দেশের মাটিই আমার ঠিকানা। যেই যুদ্ধ শুরু করেছিলাম আমরা সবাই মিলে, সেই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে, ভয় পেলে চলবে না। জয় আমাদের হবেই।"
>>>আসিফ মহিঊদ্দিন<<<
বিষয়: বিবিধ
১২৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন