বিভীষিকাময় কেয়ামত
লিখেছেন লিখেছেন মোঃজুলফিকার আলী ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৭:২৯:৩৮ সন্ধ্যা
মৃত্যূ এমনই বাস্তবতা ... জম্মিলেই মৃত্যু ...তা থেকে পালিয়ে কেউই বাঁচতে পারবে না। প্রত্যেকটি জাতির মৃত্যু আস্বাদন সুধা পাণ করবে... হে নবী আপনি বলুন- মৃত্যুর নিকট থেকে তোমরা যে পালিয়ে বেড়াচ্ছ- তা তোমাদেরকে একদিন না একদিন পাকড়াও করবে। তোমরা যেথাই থাক না কেন যদি তোমরা সুউচ্চু পর্বতে অবস্থান কর সেখানটায়ও...সকল জাতির ঘড়িঘন্টা নির্ধারিত... যখন নির্দিষ্ট সময় আসবে, তখন একদন্ডও আগপিছ হবে না।
আজ এ ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী। যাকে নিয়ে তোমরা অহংকার কর। স্বপ্নরাজ্য হিসেবে পরিগণিত করো... সুস্বপ্নের মোহময় পৃথিবীও সেদিন সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে... যখন কেয়ামত নিকটবর্তী অবস্থান ... আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরাস্তাকে সিংগায় ফু দেয়ার নির্দেশ করবেন .... ইসরাফিল ফেরেস্তায় সিঙ্গায় ফুকাবেন- অতঃপর তামাম পৃথিবী-পাহাড়-সমুদ্র সমুহ উত্তোলিত চুর্ণ বিচুর্ণে তুলার মতো শূণ্যে উড়বে...আকাশ ফেটে হবে খন্ডবিখন্ড... নক্ষত্রেরা ঝরে পড়বে একে অন্যের ওপর...চন্দ্র সূর্যের ভেতরে ঢুকে যাবে সূর্য তার ত্যাজস্বী কিরণ হারিয়ে নিষ্প্রোভ হবে। সমুদ্র সেদিন থাকবে উত্তাল উর্মিমূখর। কেয়ামতের ভূমিকম্পে সকল প্রাণীই মরে যাবে।
হে দুনিয়ার মানুষ তোমরা প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় কর.... যিনি একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী। জানো সেই স্থির কেয়ামতের প্রকম্পন কেমন বিভীষিকাময়? সেদিন স্তন্যদানকারীনি দুগ্ধ পোষ্য নিজের শিশুকে ভুলে যাবে। প্রত্যেক গর্ভধারিনীর গর্ভপাত ঘটবে। তোমাদের দৃষ্টিতে সব মানুষ হবে উম্মাদ ... আসলে ওরা উম্মাদ নয়। আল্লাহর আজাবই ভীষণ কঠিন। অতঃপর একটিমাত্র ফুৎকার .... কেবল একটিই ফু। প্রথম আঘাতে সারা জাহান চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে ছিটকে পড়বে। সমস্ত কবরকে করা হবে উম্মুচিত..... প্রত্যেকটি জাতি তখনই জানবে সেদিন.... আগের কি পাঠিয়েছে এবং পড়ে কি পাঠিয়েছে। কেয়ামতের ভয়াবহতায় আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ব্যতিত সকলেই মরে যাবে। সেদিন মহান আল্লাহর সত্বা ব্যতিরেকে ধ্বংসে নিমজ্জিত হবে সম্পূর্ণ মাকলুক। শুধুই মহামহিম মহানুভব আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা জীবিত থাকবেন।
তাফসিরে ইবনে কাসিরে বর্ণিত- যখন ইস্রাফিল (আঃ) সিঙ্গায় ফুৎকার দিবেন তখন সকলেই মরে যাবে। মালাকুল মউত মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে আল্লাহ তায়ালাকে বলবে হে প্রভূ সকলে মরে গেছে। তিনি জিজ্ঞেস করবেন আর অবশিষ্ট কেউ আছে? উত্তর দিবে হে আমার রব আপনি আর আপনি হলেন চিরজ্ঞীব। এ ছাড়াও বাকি রয়েছেন জিবরাইল মিকাইল ও আরশ বহনকারী ফেরেস্তারা। আল্লাহ তায়ালা বলবেন জিবরাইল মিকাইলের মৃত্যু হওয়া উচিত। মৃত্যুর ফেরেস্তা বলবে হে প্রভূ জিবরাইল ও মিকাইল মরে গেছে। আল্লাহ তায়ালা জিজ্ঞাস করবেন এখন আর কেউ বাকী আছে? সে উত্তর করবে আমি বাকি আছি আর আরশ বহনকারী ফেরেস্তারা। তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন আরশ বহকারীগণকে মরতে হবে..... তারাও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। আল্লাহ তায়ালা আবার জিজ্ঞাস করবেন এখন আর কেউ বাকি আছে? মালাকুল মউত বলবেন হে আমার রব এখন আপনি এবং আমি বাকি আছি। তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন তুমি তো আমার মাকলুকৃ... তুমিও মরে যাও। তিনিও তৎক্ষনাৎ মরে যাবে। শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালা বাকী থাকবেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা জমিনকে ভাজ করে ফেলবেন। এবং তিনতিন বার উদীপ্ত কন্ঠে বলবেন- আমি প্রতাপশালী.. আমি প্রতাপশালী..। আমি প্রতাপশালী। অতঃপর তিনি ত্যাজদিপ্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করবেন আজকের রাজত্ব কার? আজকের সার্বভৌমত্ব কার? আজকের এ অধিপত্য কার? জবার দেওয়ার মতো কেউই থাকবে না। নৈশব্দের মধ্যে তিনি পূণরায় উত্তর দেবেন আজকের রাজত্ব! আজকের সার্বভৌমত্ব!! আজকের অধিপত্য!!! পরাক্রমশালী একমাত্র আল্লাহর। ইবনে আমরের অপর হাদিসে আছে তিনি কিয়ামতের দিন আসমান জমিনকে ভাজ করে গুটিয়ে নেবেন। অতঃপর আল্লাহ সুবহাহু তায়ালা বলবেন আমি বাদশা! আমি প্রতাপশালী!! আমি অহংকারী!!! এরপর প্রতিপক্ষের জন্য প্রশ্ন ছুড়ে দেবে... দুনিয়ার রাজা বাদশারা কোথায়? ... দুনিয়ার প্রতাপশালীরা কোথায়? ... দুনিয়ার অহংকারকারীরা কোথায়? তখন আল্লাহ তায়ালা সুউচ্চ কন্ঠে তিন বার জিজ্ঞাসা করবেন আজকের রাজত্ব কার? আজকের সার্বভৌমত্ব কার? আজকের আধিপত্য কার? এতপর আবার নিজেই নিজের উত্তর দিবেন আজকের রাজত্ব... আজকের সার্বভৌমত্ব...আজকের অধিপত্য!! পতাপশালী একমাত্র আল্লাহর।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারেঃ ফেসবুকে প্রাপ্ত আল্লাহু আকবার ভিডিও ভাষ্য তথ্য।
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৬ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন