আসহাবে কাহাফ
লিখেছেন লিখেছেন মোঃজুলফিকার আলী ১৮ জুন, ২০১৩, ০৮:১৪:০৪ রাত
পৃথিবীতে যাদের ইমানী শক্তির সাহস ও ধৈর্যে মুগ্ধ হলেন আল্লাহ
যাদের কাহিনী কুরআনেই লিপিবদ্ধ আছে
এবং যাদের শত শত বছর ঘুমানোর রহস্য উম্মোচিত হলো
যাদের জন্যেই গুহায় কত না সুন্দর ব্যবস্থা ছিল....
যা ছিল জ্ঞানী ব্যক্তির চিন্তার খোরাক
ইঙ্গিতবহ কেয়ামতের পুনুরুত্থান নিদর্শন।,
দু’শত পঞ্চাশ সাল। তারতুজ নগরীর পুত্তলিক সম্রাট দাকি ইউনুস
বছরের একটি দিন রাজ দরবার প্রাঙ্গণে মেলার উদযাপন করতো
উন্মুক্ত থাকতো নানান রঙ্গের প্রতিমার শিল্পকর্ম প্রদশর্নে
সেরা প্রতিযোগি প্রতিমা সেজদায় নত হত সকল মানুষ
এসব পূজারীদের দেখে রাজ পরিবারের ওরা সাত জন
মূর্তির সন্মুখে মাথা নত করতে অপারগা প্রকাশ ছিল দৃঢ়
আল্লাহর প্রতি ভালবাসার একনিষ্ঠ তাকওয়ায় নিবেদিত ছিল
যার ফলেই সম্রাট গায়ের পোষাক তুলে নিল
তাদের দিয়েছিল তিন দিনের আলটিমেটাম
পুতিমার পূজা নয়তো মৃত্যুদন্ড......
রাতের আঁধারে সাতজন সলাপরামর্শে সিদ্ধান্ত একত্রিত হল
লোকালয় থেকে দূরে কোখাও নিজর্নে চলে যাওয়া
প্রভূ ভক্ত কুকুরের জুরি নেই তাই শত প্রতিরোধেও সঙ্গে নিতে হল
প্রভূর এ পছন্দনীয় যুবকদ্বয়ঃ ইয়ামলিখা, মাকসালিনা,
মাসলিনা, তামলিখা, তাবারনুস, সাদয়ুনুস, মারনুস ও কুকুর ক্বাতমির।,
আল্লাহ যাদেরকে গুহায় তিনশত নয় বছর ঘুমিয়ে রেখেছিল
যাতে কষ্ট না হয় তজ্জন্য এপিঠ ওপিঠ করিয়েছে
সূর্যের আলোক যাতে দেহের ক্ষতিকারক না হয় সেজন্য
সকাল সন্ধার সূয ডানে বামে আভা স্নিগ্ধ মোলায়েম ছিল
কত না আরামদায়ক করে রেখেছিল গুহার ভেতর। ,
খৃষ্টান বিশদগণ রাসুল (সঃ)কে আসহাবে কাহাফ কি জিজ্ঞেস করল
তিনি অহির মাধ্যমে সবিস্তারে জানালেন
আবাক দৃশ্যত তাদের অনেকে ইসলাম গ্রহণে ছায়াতলে মিলিত হলেন। ,
যখন আল্লাহ তাদের জাগিয়ে তুলল পরস্পর কথপকথন
এক পর্যায় প্রচন্ড ক্ষুধায় নিজের কাছে থাকা পুরনো কয়েন নিয়ে
একজনকে বাজারে পাঠাল লোকালয়ে লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গেল
রাজ দরবারে... বাদশাহ বাইদুসিস জিজ্ঞাসাবাদে
তবেই বেরিয়ে এল তিন শত বছরের পুরনো রহস্য ইতিহাস। ,
এভাবে আল্লাহ ঈমাদারকে পুরস্কৃত করেন বিশেষ আবহে
তারা দোয়া করেছিল রহমত ও সফলতার জন্য তাদের দিয়েছ
আমি যে ক্ষুদ্র প্রাণ দুর্বল ঈমানী শক্তি পাপিষ্ট নিকৃষ্ট জন,
আমাকে রেখোগো প্রভূ ঈমানী শক্তির সেই মুসলমানের সহবস্থান। ,
বিষয়: সাহিত্য
২১৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন