কিশোর সমিতির সাফল্য : ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বয়স্কদের চোখে মুখে আনন্দের ঢেউ
লিখেছেন লিখেছেন হাসান কবীর ২১ আগস্ট, ২০১৩, ১১:২৭:৫২ সকাল
ভৈরব কালীপুরের ‘কিশোর সমিতি’র উদ্যোগে মঙ্গলবার ‘বয়স্কদের সাথে ঈদ পুনর্মিলনী ও মত বিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগত বয়স্কদের চোখে-মুখে দেখা যায় আনন্দের ঢেউ। দুস্থ অসহায় বয়স্কদের মুখে হাসি ফুটাতে পেরে আনন্দিত কিশোর সমিতি কর্তৃপক্ষও। সমিতির সাধারণ সম্পাদকের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতিই আনন্দের স্বাক্ষর বহন করে।
১৯৫৭ সালে কিশোর সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে কালীপুর গ্রামের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বিশেষ করে রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, স্কুল প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, দুস্থদেরকে আর্থিক অনুদান প্রদান, গরীব ছাত্রদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও আর্থিক অনুদান প্রদান, হত দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও শীতবস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কালীপুর গ্রামের রাস্তা, প্রাইমারী স্কুল ও গোরস্থান নির্মাণ ইত্যাদি।
বর্তমানেও কিশোর সমিতি নানাবিধ সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ আগস্ট ২০১৩ মঙ্গলবার আয়োজন করে ‘বয়স্কদের সাথে ঈদ পুনর্মিলনী ও মত বিনিময় সভা’র। গ্রামের হত দরিদ্র ২০ জন বয়স্ককে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়। বিকাল পাঁচ ঘটিকায় বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও কিশোর সমিতির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে সমিতির হলরুমে সভার কার্যক্রম আরম্ভ হয়। অনুষ্ঠানে শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাও. আব্দুল হান্নান সা’দী। শুভেচ্ছা বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম লিটন অত্র অনুষ্ঠানে উপস্থিতিত হবার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন- আপনারা আমাদের দাওয়াত গ্রহণ করে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছেন। আপনাদের এ অনুপ্রেরণা আমাদেরকে আরো সামনে এগিয়ে যেতে আলোর মশাল হিসেবে কাজ করবে। সেই সাথে এ ধরণের ব্যতিক্রম অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সভাপতি বক্তব্যে অধ্যক্ষ আবদুল মতিন কিশোর সমিতি প্রতিষ্ঠালগ্নে কালীপুরের সামাজিক অবস্থা তুলে ধরার পাশাপাশি কিশোর সমিতি কর্তৃক সম্পাদিত সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরেন। কিশোর সমিতির বর্তমান কমিটিকে সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।
সভায় আমন্ত্রিত বয়োবৃদ্ধদের সুখ-দুঃখের পাশাপাশি তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেয়া হয় এবং তাদের মাঝে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের আশ্বাস দেয়া হয়। বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় শেষে তাদের মাঝে নিজ তরফ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন অধ্যক্ষ আবদুল মতিন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক হুসেন আলী, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হাজী মোঃ খলিলুর রহমান, কবি হাসান কবীর প্রমুখ।
সমিতির ব্যবস্থাপনায় আগত অতিথিগণ প্রীতি ভোজে অংশগ্রহণ করেন। ভোজন পর্ব শেষে সভাপতির অনুমতিক্রমে মুনাজাতের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন মাও. মুস্তাকিম।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন