সাম্প্রদায়িকতা কি শুধু ধর্মীয় হয় ?

লিখেছেন লিখেছেন আবু নিশাত ২৩ মার্চ, ২০১৩, ১২:০৯:২০ রাত

বর্তমান সময়ে সাম্প্রদায়িকতা একটি ঘৃণ্য বিষয় হিসেবে সবার কাছেই স্বীকৃত । এখন প্রশ্ন হলো, সাম্প্রদায়িকতা বিষয়টি বলতে আমরা কী বোঝে থাকি ? যারা নিজেদেরকে প্রগতিশীল হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন,তারা সাম্প্রদায়িকতার খুবই সংকীর্ণ অর্থে সংজ্ঞা প্রদান করেন । তাদের সংকীর্ণ চিন্তা-ধারার কারণেই সাম্প্রদায়িকতা ধারণাটি শুধুমাত্র ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে । কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা ধারণাটি ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার মাধ্যমে হতে পারে ,আবার বর্ণভিত্তিকও হতে পারে বা অন্যকোন উপাদানের ভিত্তিতে সংগঠিত সম্প্রদায়ভিত্তিক হতে পারে । যখন একই সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেদের লাভ-লোকসান ,ন্যয়-অন্যায়, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আর্থিক-অনার্থিক সুবিধাদি নিজের সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে চিন্তা-ভাবনা করে এবং সবসময় অন্য সম্প্রদায় হতে নিজ সম্প্রদায়ের প্রাধান্য নিশ্চিত করতে চায়, তখনই সামপ্রদায়িকতা জন্ম লাভ করে । আর এক্ষেত্রে সম্প্রদায় ধর্মের ভিত্তিতে গঠিত হলে, তাকে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, ভাষার ভিত্তিতে হলে,ভাষাভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা, বর্ণ ভিত্তিক হলে বর্ণভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা, অঞ্চল ভিত্তিক হলে আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িকতা জন্ম লাভ করবে ।

মানবজাতি বিভিন্ন উপাদান দ্বারা নিজেদেরকে বিভক্ত করে রেখেছে । যেমন বর্ণের ভিত্তিতে কালো এবং সাদা । এখন কালো বর্ণের লোকেরা যদি চিন্তা করে,পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য সমস্ত বস্তুগত উপাদান সাদা বর্ণের লোকদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে রয়েছে এবং সাদারা রয়েছে এগিয়ে । ফলে কালোরা তাদের বিভিন্ন অধিকার অর্জনের জন্য,তাদের সংস্কৃতি, চিন্তাধারা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবাই এক প্লাটফরমে চলে আসল । এক্ষেত্রে কালোরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য বৈধ-অবৈধ সমস্ত উপায়-উপকরণ ব্যবহার করা শুরু করল,নিজেদের জন্য যা বৈধ, অপরের জন্য তা অবৈধ মনে করা শুরু করল, তখনই সাম্প্রদায়িকতা বিস্তার লাভ করে । এক্ষেত্রে একজন কালো অন্য একজন কালোকে শুধু এ কারণেই সমর্থন করবে যে, লোকটি বর্ণের দিক হতে কালো । একইভাবে একজন সাদা অন্য একজন সাদাকে শুধুমাত্র এ কারণেই সমর্থন করবে যে, লোকটি বর্ণের দিক হতে সাদা । সাম্প্রদায়িকতার চুড়ান্ত পরিণতি হলো দাঙ্গা এবং সে দাঙ্গায় বহু প্রাণের বিনাশ ঘটে ।

সাম্প্রদায়িকতা যেমন বর্ণের দিক হতে পারে, তেমনি ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার ভিত্তিতে হতে পারে । এক্ষেত্রে কোন বৈরী সময়ে এক ভাষাভিত্তিক জাতি অন্য ভাষাভিত্তিক জাতি বা অঞ্চলভিত্তিক জাতি হতে নিরাপদ থাকে না । এ বিষয়ের উদাহরণের জন্য খুব বেশি দূরে যেতে হবে না । বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির জীবন বা প্রাণের মূল্য যেমন পাহাড়ীদের নিকট নিরাপদ নয়, তেমনি পাহাড়ীদের জীবণ বা প্রাণের মূল্য বাঙ্গালীদের নিকটও নিরাপদ নয় । এক্ষেত্রে উভয় পক্ষই দাড়িয়ে আছে,পরস্পরের প্রাণ বধ করার জন্য । অবশ্য বর্তমানে পার্বত্য চুক্তির কারণে সহিংসতার পরিমাণ কিছুটা কম হচ্ছে ।

আমি ‘এস বি’ ব্লগে “আমাদের স্বাধীনতা” নামক লেখায় উল্লেখ করেছিলাম,১৯৪৭ সালের পর আওয়ামিলীগ ভাষা ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়ে দিয়েছিল, যা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ নামে বিস্তার লাভ করেছিল । এই সাম্প্রদায়িকতার দ্রুত ফল আওয়ামিলীগ পেয়েছিল ৫৪ এর নির্বাচনে জোটবদ্ধ জয়ের মাধ্যমে । পরবর্তীতে আওয়ামিলীগ বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা কাজে লাগিয়ে একটি শক্তিশালী দলে পরিণত হয় । এই সময়ে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতাকে কেউ সরাসরি চ্যালেন্জ করেনি । তবে ভাষাভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতার কারণে ৭১ এর পূর্বে বিভিন্ন সময়ে শিল্প-কারখানায় বাঙ্গালী এবং বিহারী দাঙ্গা হয়েছিল এবং সে দাঙ্গায় যথেষ্ট পরিমাণ মানুষ মারা গিয়েছিল । ৭১ এর পর বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতাকে চ্যালেন্জ করেন সন্তু লারমার পিতা মানবেন্দ্র লারমার নেতৃত্বে পাবর্ত্য চট্টগ্রামের অবাঙ্গালী উপজাতীয় লোকেরা । তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবুর রহমান অবাঙ্গালী উপজাতীয়দের বাঙ্গালী হওয়ার পরামর্শ দেন । ফলে অবাঙ্গালী উপজাতীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে এবং সে অসন্তোষকে কাজে লাগায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত । এক্ষেত্রে অবাঙ্গালী উপজাতীয়রা শান্তি বাহিনী গঠন করে বাঙ্গালীদের হত্যা শুরু করে এবং পাবর্ত্য চট্টগ্রামকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলে । প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সেনা অভিযানের মাধ্যমে শান্তি বাহিনীকে দমন করেন এবং একই সাথে ভাষা ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ সংবিধান হতে বাদ দিয়ে ভৌগলিক সাম্প্রদায়িকতা ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ যুক্ত করেন । প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে ভৌগলিক সাম্প্রদায়িকতা ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ যুক্ত করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারী সমস্ত সম্প্রদায়ের লোকদের একই সম্প্রদায়ের অধীনে নিয়ে আসেন । বৃটিশ যাওয়ার পর ১৯৪৭ হতে বর্তমান বাংলাদেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার কারণে কোন ব্যক্তি প্রাণ হারায় নি । কিন্তু আওয়ামিলীগের ভাষাভিত্তিক বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের কারণে বাঙ্গালী-বিহারী সংঘাত , বাঙ্গালী-উপজাতী সংঘাতের মাধ্যমে প্রচুর লোক প্রাণ হারিয়েছিল ।

উপরের ভৌগলিক সাম্প্রদায়িকতা শুনে অনেকেই চিন্তায় পড়তে পারেন,এটি আবার কোন ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ? আসলে এই ভৌগলিক সাম্প্রদায়িকতা বর্তমানে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং বিশ্বের নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটাচ্ছে । যেমন আমেরিকানরা মনে করে, বিশ্বের যে কোর স্থানের সম্পদ বিশেষকরে তেল সম্পদ লুন্ঠন করতে গিয়ে অন্য কোন দেশ দখল করা এবং ঐ দেশের নিরীহ লোকদের হত্যা করা মোটেই দোষণীয় নয় । আমাদের সীমান্তে ভারতীয়রা আমাদেরকে গুলী করে মারে,এজন্য যে,ওরা ভৌগলিক দিক হতে ভারতীয় এবং আমরা বাংলাদেশী । ভারত নদীতে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করছে,এজন্য যে,ওরা ভৌগলিক দিক হতে ভারতীয় এবং আমরা বাংলাদেশী।

ধর্ম ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা বর্ণ এবং ভাষা ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতার অনুরূপ । যদি কোন দেশে ধর্ম ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা বিস্তার লাভ করে,তবে ঐ দেশে একই ধর্মের সাদা বা কালো মানুষ ,বাংলা বা ইংরেজি বা উর্দুভাষী লোকেরা অন্য ধর্মের সাদা বা কালো মানুষ ,বাংলা বা ইংরেজি বা উর্দুভাষী লোকদের আক্রমণ করবে ,অন্যায়ভাবে হলেও নিজেদের অধিকার একচেটিয়াভাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবে ।

সাম্প্রদায়িকতা অঞ্চল ভিত্তিকও হতে পারে । এক্ষেত্রে প্রতিটি অঞ্চলে বসবাসকারী লোক নিজেদের অঞ্চলের ভিত্তিতে নিজেদের মধ্যে ঐক্য স্থাপন করে এবং নিজেদেরকে ঐ অঞ্চলের রক্ষক বলে মনে করে । যেমন ধরুন, পঞ্চাশ জন লোক টেকনাফে ভ্রমণের জন্য গেল । সেখানে তাদের কোন একজন টেকনাফের কারো সাথে ঝগড়া করল বা তাকে আঘাত করল । যদি এটা হতে কোন বড় বিবাদ বাধে, তবে দেখা যাবে যে, টেকনাফের লোকেরা ঐক্যবদ্ধভাবে ঐ ৫০ জন লোককে আক্রমণ করেছে । এক্ষেত্রে ৫০ জনের মধ্যে কে নিরাপরাধী এবং কে অপরাধী, তা দেখার বিষয় নয় । আবার ৫০ জন লোকের দায়িত্ব হল, সম্মিলিতভাবে টেনাফের লোকদের প্রতিহিত করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করা ।

সাম্প্রদায়িকতা গ্রাম ভিত্তিকও হতে পারে । এক্ষেত্রে ‘আমপূর’ গ্রামের লোকদের একতা স্থাপিত হয় ,নিজ গ্রামের সীমার মধ্যে বসবাসকারী লোকদের নিয়ে । আবার একইভাবে ঐক্য স্থাপিত হয় ‘কাঠালপূর’ গ্রামের লোকদের মধ্যে । তাই তাদের মধ্যে যদি কোন বিবাদ বাধে,তবে প্রতিটি গ্রামের লোকদের দায়িত্ব হল অপর গ্রামের লোকদের ভালভাবে পিটানো । শুধু মারামারি নয় ,চাকুরির ক্ষেত্রেও দেখা যায়,‘আমপূর’ গ্রামের লোকেরা তাদের গ্রামের লোকদেরকে অগ্রাধিকার দিবে এবং ‘কাঠালপূর’ গ্রামের লোকেরা তাদের লোকদেরকে অগ্রাধিকার দিবে । ইউনিয়ন নির্বাচনের সময় এ ধরনে সাম্প্রদায়িকতা দেখা যায় । এক্ষেত্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী তার নিজ গ্রাম এবং পাশাপাশি গ্রাম হতে বেশি ভোট পেয়ে থাকেন ।

আধুনিক সমাজে সাম্প্রদায়িকতা রাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে । এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো কিছু নীতি,আদর্শ ইত্যাদি উপস্থাপন করে তাদের নিজ ব্যানারে লোক সমাগম করে । প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মী মনে করে , তাদের দলীয় নীতি,আদর্শ,অন্য দলের নীতি,আদর্শ হতে উত্তম । এক্ষেত্রে উভয় দলের মধ্যে যদি কোন সংঘাত বাধে, তবে এক দলের কর্মীর মহান দায়িত্ব হল অপর দলের কর্মীর প্রাণ বধ করা । দলীয় সাম্প্রদায়িকতার উদাহরণ আমাদের দেশে খুবই বেশি রয়েছে । প্রায় প্রতিদিন এ ধরনের সাম্প্রদায়িকতার কারণে লোকদের প্রাণহানি ঘটে । কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের হাতে বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছিল এজন্য যে, ছাত্রলীগ মনে করেছিল, সে (বিশ্বজিত) শিবির নামক সংগঠন করে । যদি ছাত্রলীগের হত্যাকারীরা সত্যিকারভাবে জানত যে, বিশ্বজিত সনাতন ধর্মের লোক এবং সে শিবির করে না, তবে অবশ্যই বিশ্বজিতের প্রাণ রক্ষা পেত । এক্ষেত্রে বিশ্বজিতের প্রাণ গিয়েছে রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতার কারণে ।

যারা প্রগতিশীলতার কথা বলেন, যারা সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমাজ গঠনের কথা বলেন, তারা কিভাবে সে সমাজ গঠন করবেন ? কারণ আপনি যে দিকে যাবেন, সে দিকেই রয়েছে সাম্প্রদায়িকতা । যেমন বাংলাদেশে যারা বারবার নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী বলেন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের কথা বলেন, তারা নিজেদেরকে কিভাবে অসাম্প্রদায়িক করবেন ? যেহেতু ধর্মের প্রতি তারা বিরাগভাজন বেশি, তাই তারা সিদ্ধান্ত নিলেন ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করার । কিন্তু ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ গ্রহণ করে, তারা নিজেরাই ভাষা ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দিয়েছেন । অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বাংলাদেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা নিরীহ লোকদের প্রাণহানি ঘটায় নি কিন্তু ভাষাভিত্তিক বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের সাম্প্রদায়িকতা অসংখ্য সংখ্যালঘু বিহারীদের প্রাণ সংহার করেছে, আবার মার খেয়ে বিহারীরা সংগঠিত হয়ে বাঙ্গালীদের প্রাণ বধ করেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয়রা বাঙ্গালীদের মেরেছে এবং বাঙ্গালীরা উপজাতীয়দের মেরেছে । আজকের বাংলাদেশে অনেক বাঙ্গালীই বিহারীদের শিল্প-কারখানা, বাড়ীঘর নিজেদের দখলে রেখেছেন । যখন ৭২-৭৫ সালে রাষ্ট্রিয়ভাবে বাঙ্গালী সাম্প্রদায়িকতাকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হল, তখন বিহারীদের মালিকানাধীন পাটকল, বস্ত্রকল, সূতামিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা রাষ্ট্রিয় মালিকানায় চলে আসে ।

পৃথিবী সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত হবে কিভাবে ? এটি সম্ভব যদি সব মানুষ একই সম্প্রদায়ভূক্ত হয়ে যায় । কিন্তু এটি কি সম্ভব হবে ? এক্ষেত্রে ভাষাভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হলে সারা পৃথিবীতে একটিমাত্র ভাষা থাকতে হবে । বর্ণ ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হলে সাদা বা কালো বর্ণ দূর হয়ে একই বর্ণের মানুষের প্রয়োজন । ধর্ম ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হলে সারা পৃথিবীতে একই ধর্মের মানুষ থাকতে হবে । গ্রাম বা অঞ্চল ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হলে সারা পৃথিবীকে কোন অংশে বিভক্ত করা যাবে না । আধুনিক সংগঠন ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হলে সারা পৃথিবীতে একটিমাত্র সংগঠন থাকতে হবে । রাষ্ট্র ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হলে সারা পৃথিবীতে একই রাষ্ট্র থাকতে হবে এবং সে রাষ্ট্র এক ইউনিট হতে হবে অর্থাৎ কোন প্রদেশ বা অঙ্গরাজ্য থাকতে পারবে না । এভাবে পৃথিবী হতে সাম্প্রদায়িকতাকে নির্মূল করা সম্ভব হবে কিনা, তা বিচার পাঠকরাই করবেন । আর যদি নির্মূল করা না যায়,তবে চিন্তা করতে হবে কিভাবে সাম্প্রদায়িকতার দুষ্ট প্রভাব কমানো যায় ।

বিষয়: বিবিধ

৫৮৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File