জীবিত জঙ্গি, মৃত জঙ্গি, নারী জঙ্গি, শিশু জঙ্গি ---

লিখেছেন লিখেছেন আবু নিশাত ০১ এপ্রিল, ২০১৭, ০১:২০:০৭ রাত

সিলেটের আতিয়া মহলে ৪/৫ দিন পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীর অভিযান, একের একের পর গুলি, গ্র্যানেড চার্য, রকেট লাঞ্চার নিক্ষেপ হলো । চার জঙ্গি পাওয়া গেল । সবাই মৃত । ১জন মহিলা, ৩ জন পুরুষ । আবার মৌলভীবাজার জেলায় একই ধরনের যুদ্ধের মাধ্যমে সাত জন জঙ্গী পাওয়া গেল । এরাও মৃত । এদের ২ জন মহিলা, ৪ জন শিশু এবং ১জন পুরুষ । আমার ভয় হয়, নারী এবং শিশুদের ধরতে যদি আমাদের সেনাবাহিনীকে এত কসরৎ করতে হয়, তবে একদিন মালদ্বীপ বা নেপাল আমাদের দেশকে আক্রমণ করার সাহস দেখাতে পারে !

মাথায় একটি বিষয় আসে না, গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর, আইন শৃংখলা বাহিনী সিভিল ড্রেসে নজরদারীর মাধ্যমে এ সমস্ত নারী, শিশু এবং দুই-একজন পুরুষকে গ্রেপ্তার করতে পারত । এত প্রচার এবং জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করার মধ্যে লাভটা কী ?

জোট সরকারের সময় আব্দুর রহমান এবং বাংলা ভাইসহ আরও অনেককে খুবই কম সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনী অপারেশন চালিয়ে জীবিত ধরতে পেরেছিল । আমাদের সেই সেনাবাহিনীর আজ এই বেহাল অবস্থা কেন ? তারা কি তাদের সেই দক্ষতা কি এখন হারিয়ে ফেলেছে ? তারা কেন নারী ও শিশুকে জীবিত ধরতে পারে না ?

বলা হয়েছে, এরা আত্মঘাতী । আত্মঘাতী হওয়া কি খুবই সহজ ? এদের গুরু আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইত আত্মঘাতীর মাধ্যমে তাদের জীবন বিলিয়ে দেয়নি । এরা কি গুরুর চেয়েও শক্তিশালী ?

বাংলাদেশে জঙ্গী নিয়ে বিতর্ক আছে । পাকিস্তান, ইরাক, সিরিয়া যে অবস্থা মোকাবেলা করছে, নিঃসন্দেহে আমরা সেই অবস্থানে নেই । আমাদের অবস্থা এদের চেয়ে অনেক ভাল । কিন্তু আমরা যেভাবে আত্মঘাতী বলে প্রচার করছি, জঙ্গী সৃষ্টিকারী সেই বিদেশী সংস্থা যদি সত্যিকারের আত্মঘাতী সৃষ্টি করে, তখন আপনার-আমার কারো জীবন নিরাপদ হবে না । তখন বাসে বোমা ফাটবে, ট্রেনে বোমা ফাটবে, মাকের্টে বা অফিসে বোমা ফাটবে ।

তাই যারা বিপথে গিয়েছে, তাদের সম্পর্কে যদি কোন গোয়েন্দা তথ্য থাকে, তবে তাদেরকে ধরা হউক এবং স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসা হউক । আলেম - ওলেমাদের মসজিদে সনাতন ওয়াজ বাদ দিয়ে কুরআন-সুন্নাহর রেফারেন্স ভিত্তিক ওয়াজ করা উচিত । আর যারা সরকার পরিচালনায় আছেন, যারা আইন-শৃংখলা বাহিনী বা গোয়েন্দা সংস্থায় আছেন, তারা জঙ্গী সৃষ্টিকারী বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা এবং এদেশের দালালদের প্রতি নজর রাখুন । আইন-শৃংখলা বাহিনীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে । কারণ, তাদের গুম ও ক্রস ফায়ারের কাহিনী জনগণের মধ্যে আস্থার সংকটের সৃষ্টি করেছে । আমরা যদি নিজেদের মধ্যে বিভেদের বৃক্ষটাকে কেটে না ফেলি, তবে একদিন হয়ত আমরা রাখাল বালকের মত বিপদে পড়ব ।

বিষয়: বিবিধ

১২৭৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382486
০১ এপ্রিল ২০১৭ সকাল ০৭:৩২
আনিসুর রহমান লিখেছেন : চার শিশু জঙ্গি হত্যা!! এই হত্যাকে আমি হত্যা বলতে রাজী নই। স্রেফ এটা খুন। কোন শিশুকে খুন করে জঙ্গী নাম দেওয়া মানবতার আপমান এবং অপরাধ। যারা প্রকৃত জঙ্গী তাদের অপরাধকে ছোট করে দেখা।
382489
০১ এপ্রিল ২০১৭ সকাল ১১:১৫
হতভাগা লিখেছেন : এক জায়গার লোককে গুম করে আরেক জায়গায় জঙ্গি বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগে জীবিত উদ্ধার করা হত , সংবাদ মাধ্যমে কথা বার্তা চলে আসতো । এখন সেই রিস্কে যেতে চায় না ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File