ওরা তিন বন্ধু ।
লিখেছেন লিখেছেন আবু নিশাত ০২ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:১৩:০০ সন্ধ্যা
ওরা তিন বন্ধু, প্রথমজন ছাত্রলীগ, দ্বিতীয়জন ছাত্র শিবির এবং তৃতীয়জন ছাত্রদল । দ্বিতীয়জনের সাথে বাম দিকে অবস্থানকারী প্রথমজনের তুলনায় ডানদিকে অবস্থানকারী তৃতীয়জনের একটু বেশি ভাল সম্পর্ক ছিল । বেশ ভালভাবেই তিনজনের দিন কাটছিল । কিন্তু ১৯৯০ সালের পর হতে ভারত নামক একটি দেশ হতে একটি বিষাক্ত আবহাওয়া তিন বন্ধুর দেশে প্রবেশ করল । তিন বন্ধুর মধ্যে যে গভীর সম্পর্ক ছিল, তাতে আস্তে আস্তে ফাটল ধরা শুরু করল । শেষ পর্যন্ত দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে ১ম বন্ধু তিন জনের মধ্যে একটি সভা আয়োজন করল । সভার আলোচনাগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম -
১ম বন্ধুঃ আমাদের ২য় বন্ধু ছাত্র শিবির করে । সে রাজাকার, আলবদর, স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে । আমার এবং তোমার (৩য় বন্ধু) দায়িত্ব হলো তাকে হত্যা করে দেশ প্রেমের চেতনা জাগ্রত করা ।
৩য় বন্ধুঃ (১ম বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে) যাই করো না কেন, আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে করবে ।
২য় বন্ধুঃ ভাই আমরা যারা ছাত্র শিবির করি, তাদের জন্ম স্বাধীনতার ২০ হতে ২৫ বছর পর হয়েছে । তাহলে আমরা কিভাবে রাজাকার, আলবদর এবং স্বাধীনতা বিরোধী হলাম ?
১ম বন্ধুঃ তোমার সংগঠনের পূর্ব-পুরুষরা রাজাকার, আলবদর এবং স্বাধীনতা বিরোধী ছিল, তারা পাকিস্তানপন্থি ছিল, তারা পাকিস্তানের মধ্যে আমাদের রেখে হত্যা-নির্যাতন করেছে ।
৩য় বন্ধুঃ (১ম বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে) তোমার যুক্তির ঐতিহাসিক দিক আছে ।
২য় বন্ধুঃ (১ম বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে) তোমার সংগঠনেরও পূর্ব পুরুষরা পাকিস্তানপন্থি ছিল । তোমরাই পাকিস্তান বানিয়েছ । তোমার নেতা শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” তা স্বীকার করেছেন । তাহলে পাকিস্তানপন্থি হওয়ার জন্য কেন আমাদের দোষারোপ করছ ?
১ম বন্ধুঃ আমরা প্রথমে পাকিস্তানপন্থি হলেও পরে আমাদের নেতাদের মগজ ধোলাইয়ের মাধ্যমে আমরা ভারতপন্থি হতে পেরেছি । তাই ত আমরা খুবই কম মূল্যে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য এবং জনসংখ্যা হ্রাসের জন্য অশিক্ষিত ও নিম্ন শ্রেণীর লোকদের সীমান্ত হত্যা ভারতের মাধ্যমে উপহার পাচ্ছি । কিন্তু এখনও তোমরা পাকিস্তানপন্থি রয়ে গেছ । তাই অবশ্যই তোমাকে হত্যা করা উচিত । এ ব্যাপারে তোমার (৩য় বন্ধুকে) স্পষ্ট মতামত দাও ।
৩য় বন্ধুঃ যা কর, তা করতে হবে আইনগতভাবে । ভবিষ্যতে যাতে এটি নিয়ে কথা না উঠে । কিন্তু একটি প্রশ্ন দেখা দিতে পারে, তুমি বলছ, এরা এখনও পাকিস্তানপন্থি, তোমার কাছে তার কি প্রমাণ আছে ?
১ম বন্ধুঃ অবশ্যই আছে । ওদের মুরুব্বী সংগঠন ‘জামায়াত’ এখনও পাকিস্তান জামায়াতের নাম ধারণ করে আছে । আর ছাত্র শিবির হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তান আমলের ‘ইসলামী ছাত্রসংঘ’ সংগঠনটি ।
২য় বন্ধুঃ তাই যদি হয়, তবে আওয়ামিলীগ সংগঠনের পিতৃ সংগঠন কোনটি ? মুসলীম লীগের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং আবুল হাসিম মুসলিম লীগের নাজিমউদ্দিন এবং আকরম খাঁ হতে আলাদা নতুন মুসলীম লীগ ‘আওয়ামি মুসলিমলীগ’ গঠন করলেন । আর এর পরে আবার খৎনা দিতে গিয়ে মুসলিম শব্দটি পড়ে গেল, তখন হয়ে গেল উর্দু শব্দযুক্ত পাকিস্তান আওয়ামিলীগ । তোমাদের আওয়ামিলীগের ‘আওয়াম’ শব্দটি উর্দু নয় কি ? শুধু শহীদ মিনারে ফুল দেও, কিন্তু সংগঠনের এই নামটি ত বাংলা করলে না ? তোমরা যারা আওয়ামিলীগ কর, তারা ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয়বার খৎনা দিতে গিয়ে মুসলিম শব্দটি ফেলে দিয়েছ, তাই দয়া করে বার্থরূমে চেক কর আমার কথাটি সত্য কিনা ? তোমাদের কেউ মগজ ধোলাই দেয় নাই, তোমরা দ্বিতীয়বার খৎনা দিতে গিয়েই সব হারিয়েছ । তাই তোমাদের নিজস্ব বলতে কিছু নেই । আর ছাত্রলীগ বলছ, এটির জন্ম ত মুসলিমলীগের ছাত্র সংগঠন মুসলিম ছাত্রলীগ হতে । দেখ (১ম বন্ধুর দিকে তাকিয়ে) তোমাদের আর আমাদের অনেক মিল আছে । শুধু দ্বিতীয়বার খৎনা দিতে গিয়ে তোমরা সবকিছু হারিয়েছ ! এই খৎনার যায়গাতেই পার্থক্য ।
১ম বন্ধুঃ (রাগান্বিত হয়ে) তোমাকে এখনই হত্যা করতে হবে । (১ম বন্ধু হত্যার জন্য যাবতীয় কাজ শুরু করে দিল) ।
৩য় বন্ধুঃ যা করবে, তা যেন আইন সম্মত হয় । ন্যয়বিচার যাতে প্রতিষ্ঠিত হয় ।
২য় বন্ধুঃ (মৃত্যু সন্নিকটে দেখে ১ম বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে) ঠিক আছে, বন্ধু তুমি আমাকে হত্যা কর, কোন আফসোস নেই । তবে একটু বল, এমন কী কারণে হত্যা করছ, যা সত্যিই আমার সংগঠনের পূর্বপুরুষরা করেছে ?
১ম বন্ধুঃ এই ত এসেছ মূল কথায় । তোমার সংগঠনের পূর্ব পুরুষরা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করেনি ।
২য় বন্ধুঃ যুদ্ধ করবে কিভাবে ? শুনেছি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেননি । (৩য় বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে) কি বন্ধু ? কথাটি সত্য কিনা ?
৩য় বন্ধুঃ অবশ্যই শেখ মুজিব স্বাধীনতার ডাক দেননি । ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান ।
১ম বন্ধুঃ (খুবই রাগ করে) ঈতিহাস বিকৃত করবে না । জিয়াউর রহমান মোটেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় নাই । সে ছিল পাকিস্তান সরকারের বেতনভূক্ত সামান্য মেজর ।
৩য় বন্ধুঃ (আরও রাগ করে) এটিই ইতিহাস । তিনি (বঙ্গবন্ধু) যদি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, তবে ২৬ শে মার্চ আওয়ামিলীগের দলীয় পত্রিকা ইত্তেফাকে কেন খবর আসল ২৭শে মার্চ সারা দেশে হরতাল হবে ? জিয়াউর রহমান ২৬ শে মার্চ নিজেকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন । তাই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং স্বাধীনতার ঘোষক ।
১ম বন্ধু ঃ (আরও উত্তেজিত হয়ে ) জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দালাল ছিল । সে পাকিস্তানের এজেন্ট ছিল ।
৩য় বন্ধু ঃ (আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে) ঃ জিয়াউর রহমান না, শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের -------- । তিনি পাকিস্তানীদের সাথে আঁতাত করে ২৬শে মার্চ ধরা দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান এবং তার মেয়ের জামাই ওয়াজেদ মিয়া পাকিস্তান সরকারের অধীন চাকুরী করেছেন বলে, তার বইতে স্বীকার করেছেন ।
২য় বন্ধুঃ ভাই আমাদের মধ্যে ঝগড়া বন্ধ করা কি উচিত নয় ? আসলে আমাদের তিন জনের মধ্যে অনেক মিল আছে । আমরা তিন জনেই পাকিস্তানের দালাল । দেখ আমাদের ১ম বন্ধু বলছে, আমরা পাকিস্তানের দালাল, ৩য় বন্ধু তুমি বলছ আমাদের ১ম বন্ধু পাকিস্তানের দালাল, আবার ১ম বন্ধু বলছে তোমরাও (৩য় বন্ধু) পাকিস্তানের দালাল । তাহলে কী দাড়াচ্ছে ? আমরা সবাই আমাদের প্রথম দেশ পাকিস্তানের দালাল !
১ম বন্ধুঃ (জোরে চিৎকার করে) এ দেশে যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে, তাদের থাকার অধিকার নেই । (এ কথা বলেই ১ম বন্ধু ইয়া বঙ্গবন্ধু বলে ৩য় বন্ধুকে আঘাত করল )
৩য় বন্ধুঃ (আঘাত প্রাপ্ত হয়ে) এ দেশের মাটি জিয়াউর রহমানের মাটি । এখানে শহীদ জিয়া ছাড়া কেউ থাকবে না (বলেই ইয়া জিয়াউর রহমান বলে ১ম বন্ধুতে আঘাত করল )
২য় বন্ধুঃ (মৃত দুই বন্ধুর কাছে বসে ) বন্ধুরা তোমরা দুজন নাই, কিন্তু আমি আছি । সৎকারের দায়িত্বটা আমার কাধে তোমরা দুজন দিয়ে গেলে । আমি দুঃখিত, আমি তোমাদের সৎকার বঙ্গবন্ধু বা জিয়াউর রহমানের নামে করতে পারলাম না, আমি আল্লাহর নাম নিয়ে তোমাদের সৎকার করলাম এবং তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা বঙ্গবন্ধু এবং জিয়াউর রহমানের কাছে করতে পারলাম না, মহান আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলাম ।
১ম ও ৩য় বন্ধু মৃত্যুর পর অদৃশ্য জগতে প্রবেশ করল । সেখানে তারা অবাক নয়নে দেখল, এক জায়গাতে বঙ্গবন্ধু, ইয়াহইয়া খান, জুলফিকার আলী ভুট্টো, জেনারেল আব্দুল হামিদ (৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান), জিয়াউর রহমান এবং ইন্দিরা গান্ধি বসে কথা বলছেন ।
ভুট্টোঃ মুজিব তুমি পাকিস্তান ভাঙ্গলে কেন ?
বঙ্গবন্ধুঃ আমি মোটেই ভাঙ্গি নাই । আমি সে সময় প্রেসিডেন্ট ইয়াহইয়া খানকে বলেছিলাম, আপনি প্রেসিডেন্ট থাকুন, আর আমার হাতে প্রধানমন্ত্রিত্ব দেন । তিনি যদি তা করতেন, তবে দেশ ভাঙ্গত না ।
ইয়াহইয়াঃ মুজিব, তুমি বলেছিলে আমি প্রেসিডেন্ট, তুমি প্রধানমন্ত্রি, আমি রাজী ছিলাম । কিন্তু সমস্যা বাধালো ভুট্টো এবং জেনারেল হামিদ । তারা তোমাকে প্রধানমন্ত্রি চাইছে না ।
বঙ্গবন্ধুঃ তা হলে পাকিস্তান ভাঙ্গার দায়ভার আমার উপর পড়বে কেন ? এটি ত ভুট্টো, জেনারেল হামিদ এবং সর্বোপরি দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনার উপর পড়বে ।
ভুট্টোঃ বুঝলাম মুজিব, ভুলটা আমার এবং জেনারেল হামিদের । কিন্তু এ ধরনের রাজনৈতিক সমস্যা ত থাকবেই । একে বলে পলিটিক্স । কিন্তু পলিটিক্স করতে গিয়ে দেশ ত ভাঙ্গতে পারে না ।
বঙ্গবন্ধুঃ এমন পলিটিক্স করা উচিত নয়, যাতে দেশ ভাঙ্গে ।
ভুট্টোঃ মুজিব, তুমি কিন্তু একই ধরনের পলিটিক্স করেছ । বক্তৃতা ছিল অসম্ভব গরম গরম ।
বঙ্গবন্ধুঃ দেখ আমার দলে তাজউদ্দিন এর মত লোকেরা ছিল । এদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে কিছু এদিক সেদিক কথা বলতে হয় ।
জেনারেল হামিদঃ আসলে মূল সমস্যা সৃষ্টি করেছে জিয়াউর রহমান । সে কেন স্বাধীনতার ঘোষণা দিল ? (জিয়াকে উদ্দেশ্য করে) দেখ জিয়া, তুমি সে সময় পাকিস্তান আর্মির একজন মেজর ছিলে । তোমার শপথ ছিল দেশের অখন্ডতা রক্ষা করা । তুমি তোমার শপথ রক্ষা করনি কেন ?
জিয়াঃ আমার কী দোষ ? চট্টগ্রামে আওয়ামিলীগের কিছু লোক জোরে ধরল, স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার জন্য । আমি বললাম, এতে আমার কোর্ট মার্শাল-ল হবে । ওদের জোরাজোরিতে আমি শেষ পর্যন্ত ঘোষণা দিলাম । আর দেখুন সেনাবাহিনী যদি ২৫শে মার্চ রাতে এভাবে মানুষ না মারত, তবে কি এ পরিস্থিতির উদ্ভব হত ?
ইন্দিরা গান্ধিঃ (মুচকি হেসে বললেন) তোমরা বিতর্ক করছ । কিন্তু এখনও ভিতরে যেত পারনি । আসলে জিয়ার ঘোষণায় তেমন কিছু হত না । কিন্তু তোমরা পাকিস্তানীরা তাজউদ্দিন ছেড়ে দিয়ে বোকার মত মুজিবকে গেপ্তার করলে । যার ফলে তাজউদ্দিন মুজিবের হাতের ক্ষমতা পেয়ে গেল । আমরাও তাকে আমাদের মত কাজে লাগালাম । সে থাকার কারণেই তোমাদেরকে আমি ভাঙ্গতে পেরেছি এবং হাজার সালকা বদলা নিতে পারলাম।
বঙ্গবন্ধুঃ জ্বি, কিন্তু আপনি আপনার উদ্দেশ্য পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেননি । আমি এসেই আপনাকে বাধ্য করেছি, আপনার সৈন্য বাংলাদেশের মাটি হতে ফিরিয়ে নিতে । শুধু তাই নয়, আপনার তাজউদ্দিনকে আমি ৭৪ সালে মন্ত্রিসভা হতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছি । বাকী কাজ করেছে জিয়া । সে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সৈন্য পাঠিয়ে বাংলাদেশ ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র রুখতে পেরেছিল ।
ইন্দিরা গান্ধিঃ তা ঠিক । তবে আমার উত্তরসূরীরা এখন অন্যভাবে কাজ করছে । দেখি তোমাদের জনগণকে সিকিমের জনগণের মত বোকা বানানো যায় কিনা ?
হঠাৎ করে তাদের আলাপ বন্ধ হয়ে গেল । কারণ তারা দেখতে পেলেন, তাদের মাঝে ২০/২১ বছরের দুটি ছেলে এসে পড়েছে । কম বয়সী দুটি ছেলেকে দেখে বঙ্গবন্ধু তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা এত কম বয়সে এখানে আসলে কিভাবে ? তোমাদের ত এখন পৃথিবীতে থাকার কথা । জিয়াউর রহমানও বঙ্গবন্ধুর পাশে দাড়িয়ে বললেন, তোমরা কথা বলছ না কেন ? দুই বন্ধু শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে পরস্পরের দিকে তাকিয়ে থাকল ।
বিষয়: বিবিধ
২৪২১ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ আবু নিশাত।
আপনি তো দেখি জব্বর মানুষ ,,চালিয়ে যান লিখে লিখে এগিয়ে যান
সংক্ষেপে এতটুকু বলব, প্রথম দিকে জিয়াউর রহমান স্বাধিকার আন্দোলনের সাথে একমত ছিলেন না । তার বক্তব্য ছিল,''You know I am a deceipline Army . I can not take the risk of my job and life . You politiceans are created the problems and make the country unstable . what do you think you will libarate the country . It is not possible. Situation will be under control within short time.'' এই বক্তব্যটি তিনি দিয়েছিলেন, তখনকার চট্টগ্রামের আওয়ামি নেতৃত্বকে । কিন্তু ২৬শে মার্চ যখন মেজর জিয়া ল্যাফটেনেন্ট শমশের মুবিনের মাধ্যমে জানতে পারলেন, সেনানিবাসে বাঙ্গালী সৈন্যদের নিরস্ত্র করা হচ্ছে, তখনই তিনি তার করণীয় ঠিক করেন এবং নিজেই ড্রাফট করে নিজেকে বিপ্লবী সরকারের প্রধান করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন । পরে ২৭শে মার্চ আওয়ামী নেতাদের চাপাচাপিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ হতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ।
দুটি সত্য আওয়ামীলীগ বলে না, ২৭শে মার্চ, ১৯৭১ আওয়ামীলীগ হরতাল ডেকেছিল, ৮ই মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ, ১৯৭১ পর্যন্ত কি আলোচনা হয়েছিল, তা আজও অজানা। এমনকি সে সময় সাংবাদিকদের সামনে তা জানাতে বঙ্গবন্ধু অস্বীকারও করেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সংক্ষেপে এতটুকু বলব, প্রথম দিকে জিয়াউর রহমান স্বাধিকার আন্দোলনের সাথে একমত ছিলেন না । তার বক্তব্য ছিল,''You know I am a deceipline Army . I can not take the risk of my job and life . You politiceans are created the problems and make the country unstable . what do you think you will libarate the country . It is not possible. Situation will be under control within short time.'' এই বক্তব্যটি তিনি দিয়েছিলেন, তখনকার চট্টগ্রামের আওয়ামি নেতৃত্বকে । কিন্তু ২৬শে মার্চ যখন মেজর জিয়া ল্যাফটেনেন্ট শমশের মুবিনের মাধ্যমে জানতে পারলেন, সেনানিবাসে বাঙ্গালী সৈন্যদের নিরস্ত্র করা হচ্ছে, তখনই তিনি তার করণীয় ঠিক করেন এবং নিজেই ড্রাফট করে নিজেকে বিপ্লবী সরকারের প্রধান করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন । পরে ২৭শে মার্চ আওয়ামী নেতাদের চাপাচাপিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ হতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন