ধর্মদ্রোহিতার অর্থনীতি-৪ (গতকালের পর)
লিখেছেন লিখেছেন আজাদ আব্দুল্লাহ ০৩ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৫৩:০০ সকাল
ধর্মদ্রোহিতার অর্থনীতি-১(ভূমিকা পর্ব)
ধর্মদ্রোহিতার অর্থনীতি-২(ধর্মদ্রোহীতার অর্থনীতি সংজ্ঞা স্বরূপ পর্ব)
ধর্মদ্রোহিতার অর্থনীতি-৩ (ধর্মদ্রোহিতার অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য পর্ব)
স্বাধীনতা উত্তর ৪২ বছরে ধর্ম বিদ্বেষী কর্মকান্ড:
প্রত্যেকটি মানুষের জীবন রীতিই কিছু মানদন্ড দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে।ধর্ম তার মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড।অঞ্চলবিশেষে আবার এখানে কিছু ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।বাংলাদেশ তার মধ্যে এমন একটি অঞ্চল যেখানাকার মানুষের জীবন অনেকাংশে ধর্মীয় বিধি-বিধান ধারা পরিচালিত এবং প্রভাবিত। ধর্ম মূলত একটি জীবন ব্যবস্থা বা প্রনালির নাম, কিছু নিছক কার্যাবলী বা আচার অনুষ্ঠানের সমন্বয় নয়। বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত একটি দেশ যেখানে শান্তিপূর্নভাবে প্রত্যেক ধর্মের ব্যাক্তি নিজ নিজ ধর্মের আচার অনুষ্ঠান পালন করে থাকে।দুখঃজনক হলেও সত্য যে, এই দেশের বেশীরভাগ মানুষের ধর্ম ইসলাম হওয়া সত্ত্বেও সুন্দর এই ধর্মটি সবসময়ই কিছু তথা কথিত বুদ্দিজিবী এবঅং তাদের সহচরদের আক্রমনের লক্ষবস্তুতে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অব্যবহিত কাল পর থেকেই এই ধর্মদ্রোহী মহল সক্রিয় ছিল। তারা নামে নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করলেও তাদের লেখনি এবং কথা বার্তায় ইসলাম,ইসলামী অনুশাসন এবং ইসলামের মহান নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আক্রমনের শিকার হয়েছেন বহুবার। এরা নিজেদেরকে তথাকথিত মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্বির ধারক ও বাহক প্রগতিশীল হিসাবে দাবী করে এবং ধর্ম নিরেপেক্ষতার নাম নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষী চিন্তা চেতনা লালন করে।এতদিন এই ধর্মদ্রোহী শক্তি আলাদা আলাদাভাবে ইসলামকে আক্রমন করলেও শাহবাগে এসে তারা একত্রিত হয়েছে এবং চূড়ান্তভাবে ইসলামের বিরুদ্বে অবস্থান গ্রহন করেছে। এই ধর্মদ্রোহী শক্তির ইসলাম বিদ্বেষী রুপটি স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত সংগঠিত ইসলাম ধর্মবিরোধী কর্মকান্ড বিশ্লেষন করলে খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়।
এই সমস্ত ধর্মদ্রোহী কর্মকান্ডের পাশাপাশি জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন নীতিতে সূকৌশলে ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী বিষয়াবলী অন্তর্ভূক্ত করা হয়। যেমনঃ
• কো্রআনে বর্নিত উত্তরাধিকার আইনকে উপেক্ষা করে ২০০৯ সালে প্রনয়ন করা হয় নতুন নারী নীতি।
• ২০১০ সালে প্রনীত নতুন শিক্ষা নীতিতে ধর্মীয় শিক্ষাকে নগন্য হিসাবে উপস্থাপন করা হয় এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়।
• ২০১৩ সালে নতুন পাঠ্য বইয়ে কোরআনের আয়াতের বিকৃত অনুবাদ এবং ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন তথ্য পরিবেশন করা হয়।
উপরিউক্ত কিছু উদাহরণের বাইরেও আরো অনেক জাতীয় ও সামাজিক গুরত্বপূর্ণ ইসুতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রর্যায়ে এই ধর্মদ্রোহীদের ইসলাম বিদ্বেষী অবস্থান লক্ষ করা গেছে। সরকার সংবিধান থেকে আল্লহর উপর আস্থা ও বিশ্বাসের ধারা তুলে দিয়েছে। শিক্ষা থেকে ধর্মকে তুলে দিয়েছে। ইসলামের অপরিহার্য বিধান পর্দা করতে বাধ্য করা যাবে না বলে সারাদেশে ভয়াবহ নৈতিকতার ধ্বস নামিয়েছে। আজ সারা দেশ খুন-খারাবি ও অনাচার-ব্যভিচারে সয়লাব।
নেক্সট পর্বে আসছেঃ শাহবাগ অন্দোলন ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহীদের চূড়ান্ত বিদ্রোহ
(সাথে থাকুন)
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন