প্রগতিশীল হিজড়ারা-৩

লিখেছেন লিখেছেন আজাদ আব্দুল্লাহ ২৩ মার্চ, ২০১৩, ০১:৫৬:৫৯ দুপুর

প্রগতিশীল হিজড়ারা-১

প্রগতিশীল হিজড়ারা-২

ধর্ম চেতনাঃ-

আপনি যদি একজন হিজড়াকে তার ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, সে বলে ধর্ম আমাকে কি দিল, আমরা বঞ্চিত হয়েছি। ধর্ম এবং ধর্মভিত্তিক সমাজ আমাদের গ্রহণ করে নেয়নি। কোন মসজিদ বা মন্দিরে আমাদের স্থান নেই (কথাটি সম্ভবত সত্যি নয়। আমি যতটুকু জানি তাতে ইসলামে হিজড়াদের কে অন্যান্য সকল মানুষের মতই দেখতে বলা হয়েছে। তাদের সামাজিক, ধর্মীয় ও পারিবারিক অধিকার অন্যান্য সকল মানুষের মত একই। বৈবাহিক ক্ষেত্রে তাদের শারীরিক লিঙ্গের ভিত্তিতে বিপরীত লিঙ্গের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে শারীরিক এবং মানসিক স্টাটাসের যেকোন ডিসক্রিপেনসি কে ইসলাম পরীক্ষার বিষয় হিসেবে ঘোষনা করে বলেছে যার যত বড় পড়িক্ষা তার প্রতিদান তত বড়। এবং এ পরিক্ষার বিষয় প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই বিদ্যমান। যেমন টি সুরা বাকারাতে বলা হয়েছে--"আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো ভয়, ক্ষুধা, সম্পদ এবং ঘাটতি(শারীরিক/মানসিক) এবং ফল-ফলাদি(প্রাচুর্যতা এবং সফলতা) দিয়ে।"আর যৌনতায় অক্ষমদের বিয়ে না করতে বলা হয়েছে। আর অন্যান্য ধর্মের বিধান সম্পর্কে আমার জানা হয়ে ওঠে নি। তবে এই বিষয়ে ইসলামের উপর্যুক্ত বক্তব্যগুলো আমার সীমাবদ্ধ পড়াশোনার ভিত্তিতে বলেছি। এর সত্যতা ও সঠিকতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ইসলামী পন্ডিতদের বক্তব্যই চূড়ান্ত।) যেহেতু ধর্ম আমাকে কিছু দেয়নি বা ধর্ম থেকে কিছু পাই নি, কাজেই ধর্ম বা স্রষ্টা নিয়ে আমি ভাবি না।

একজন বামপন্থী ছেলে বা মেয়ের সাথে কথা বললেও আপনি শুনতে পাবেন যে পৃথিবীর যত অনাচার, বিশৃংখলা হচ্ছে তার পেছনে ধর্মই দায়ী। তাই এরা ধর্মহীন জীবন ও ধর্মহীন সমাজ তৈরী এবং সর্বত্র ধর্মবিদ্বেষ ও ধর্মদ্রোহিতা ছড়িয়ে সামাজিক বন্ধন, পারিবারিক বন্ধন এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে একটি সংস্কারবাদী গ্রুপ বলে মুহাম্মাদ (স) নিজের কথা আল্লাহর বাণী হিসেবে প্রচার করলেও উদ্দেশ্য হয়ত মহৎ ছিল। কিন্তু বাস্তবে কোন মহৎ ফলাফল নেই।

যৌনাচারঃ-

হিজড়াদের নির্দিষ্ট কোন যৌনাচার নেই। কেউ বিপরীতকামী, কেউ সমকামী, কেউ উভকামী ইত্যাদি ইত্যাদি। বামপন্থীদের মধ্যেও আমরা কদর্য যৌনাচার ও চিন্তা দেখতে পাই। কাউকে কাউকে সমকামীদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। এটি অভ্যাস নয় বরং জেনেটিক ব্যাপার ইত্যাদি বিষয়ে তর্ক বিতর্ক করতে এবং বই লিখতে দেখা যায়। এ বিষয়ে তাদের একটি পাবলিকেশন ও প্রচার আন্দোলনও রয়েছে। আবার যৌনকর্মীদের পুনর্বাসনের এবং শুদ্ধতার পরিবর্তে অবাধ যৌনাচার অব্যাহত রেখে কিভাবে এইডস মুক্ত থাকা যায় সেগুলো নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতেও তাদেরকে দেখা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় পতিতার কাছে গিয়ে এসে বন্ধুদের কাছে এদেরকে শ্রেণীহীন ও সাম্যতার দৃষ্টিকোন থেকে দেখার পরামর্শ দিতেও দেখা যায়। এমনকি মুক্তমনা এবং সমতার নামে এদেরকে যৌনপল্লী থেকে ঘুরে এসে বন্ধুদের সাথে গল্প করতেও দেখা গেছে। নগ্নতাই অশ্লীলতা নয় এবং সমাজের safety bulb হিসাবে যৌনপল্লী থাকা দরকার এ ধরণের কথা অহরহ এদের কাছে শোনা যায়। দেহব্যবসা কে আদিমতম পেশা হিসেবে আখ্যায়িত করে এর প্রয়জনীয়তা সম্পর্কে আওয়ায তুলতেও দেখা যায় এদের। মোটামুটিভাবে এদের সকলকেই বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ককে মুক্তমন এবং প্রগতিশীলতার একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে প্রচার করতেও দেখা যায়। এই বামপন্থীদের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই কদর্য চিন্তা এবং আচারের প্রসার ঘটানোর ঐকান্তিক প্রয়াস যেমন পরিলক্ষিত হয় তেমনি যারা এগুলোর বিরোধীতা করে, তাদের কে প্রতিক্রিয়াশীল, মৌলবাদী,পশ্চাৎমুখী এবং প্রগতির শত্রু বলে আখ্যায়িত করে, এবং নিজেদেরকে প্রগতির পরিব্রাজক দল (প্রপদ) হিসাবে দাবী করতেও দেখা যায়। শুনেছি পাগল নাকি নিজেকে সুস্থ্য এবং অন্য সবাইকে অসুস্থ্য বলে মনে করে। বামপন্থীদের এই অস্বাভাবিকত্বকে তারা প্রগতিশীলতা, বা supernormal জিনিস হিসাবে চালাতে চায়। যদিও সাধারণ মানুষ এগুলোকে অধঃগতি, উচ্ছন্নে যাওয়া, নষ্ট হওয়া এবং abnormal activities হিসাবেই জানে। বিয়ে বহির্ভূত যৌনাচার এর লাইসেন্স দিতে চায় এরা।

পুরো লেখা এখানে

বিষয়: বিবিধ

১১৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File