বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচন নিয়ে জার্মান গণমাধ্যম যা বলছে
লিখেছেন লিখেছেন রিয়াজুল ০৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:০৭:৫৭ রাত
সহিংস, একতরফা, প্রহসন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জার্মানির গণমাধ্যমগুলোর বক্তব্য এইরকম। নির্বাচন নিয়ে দুই পক্ষের বিভক্তিতে গোটা দেশ এখন সহিংস হয়ে উঠেছে বলে জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল যে এই নির্বাচনের প্রতি কোন সমর্থন জানাচ্ছে না সেটিও বলা হয়েছে জার্মান পত্রিকার সংবাদে।
প্রহসন
'একটি প্রহসন মাত্র' বার্লিনের সংবাদপত্র টাগেসসাইটুং এর শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়, রোববারের নির্বাচনে দেড়শরও বেশি আসনে কোনো প্রার্থী থাকছে না, কারণ ইতিমধ্যে সেগুলোতে ফলাফল হয়ে গেছে। রোববারের ভোটে বাকি সবগুলো আসনেও যদি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হেরে যান তাতেও সরকার গঠন করতে তাদের কোন সমস্য হবে না। জার্মানির আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ডিডাব্লিউর জার্মান মাধ্যমের খবরে বলা হয়, নির্বাচনের আগেও নানা জায়গাতে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। এবং এটা ক্রমেই বাড়ছে। সহিংসতা ঠেকাতে গত কয়েকদিন আগে থেকে গোটা দেশে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
খালেদা গৃহবন্দী
ডয়চে ভেলের জার্মান মাধ্যম জানায়, বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া এখন গৃহবন্দী এবং তার নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচন বর্জন করছে। খালেদার দাবি নিরপেক্ষ একটি সরকারের জন্য, যারা নির্বাচন পরিচালনা করবে। জার্মান সংবাদ মাধ্যম এআরডির প্রতিবেদক ইয়ুর্গেন ভেবারমান ঢাকা থেকে লিখেছেন, নির্বাচন নিয়ে গোটা দেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিরোধীদের প্রতি নির্মম আচরণ করছেন অন্যদিকে বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া গৃহবন্দী হয়ে আছেন। হরতাল আর অবরোধের কারণে গোটা দেশ এখন স্থবির। বিশেষ করে দেশের বাকি অংশ থেকে রাজধানী ঢাকা প্রায় বিচ্ছিন্ন বলে মন্তব্য করেন জার্মান সাংবাদিক ভেবারমান। জার্মানির বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র ডি সাইট জানায়, বাংলাদেশের প্রধান দুই নেত্রীর মধ্যে গত বিশ বছর ধরে যে বৈরি সম্পর্ক চলছে তার পরিণতিতে বর্তমান অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বিদেশী পর্যবেক্ষক নেই
এই খবরটিও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে এসেছে জার্মানির পত্রিকাগুলোর খবরে। টাগেসসাইটুং জানায়, নির্বাচন স্বচ্ছ না হওয়ায় ইতিমধ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অন্যান্য দেশ। জাতিসংঘের মধ্যস্থতার উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ আর যুক্তরাষ্ট্র কোন পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরও হাসিনার সরকার তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
সহিংসতা
রোববারের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে সহিংসতার খবরগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে জার্মান সংবাদমাধ্যম। ডি সাইট পত্রিকা জানায়, নির্বাচনের আগের দিন অন্তত ৩৪টি কেন্দ্রে আগুন ধরানো হয়। হরতাল অবরোধ চলাকালে মলোটভ ককটেল ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানায় ডিডাব্লিউ। গত নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়।
বিষয়: বিবিধ
১০৫৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন